লোহিত সাগরে একটি জাহাজে হামলা চালিয়ে সেটি ডুবিয়ে দেওয়ার দাবি করেছে ইয়েমেনের ইরানসমর্থিত হুতিরা। সোমবার এক বার্তায় গোষ্ঠীটি জানায়, রোববার গুলি, রকেট ও দূরনিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরকভর্তি নৌকা ব্যবহার করে চালানো হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজটি ডুবে গেছে। আন্তর্জাতিক জলসীমায় চলতি বছর এটি তাদের প্রথম হামলা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাহাজটির গ্রিক পরিচালনা কোম্পানি স্টেম শিপিং রয়টার্সকে বলেছে, তারা স্বতন্ত্রভাবে বিষয়টি যাচাই করতে পারেনি। জাহাজটি ডুবে গেছে কিনা, রয়টার্সও তা তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করতে পারেনি।
হুতিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে জানান, জাহাজটির ক্রুরা তাদের নৌবাহিনীর সতর্কবার্তা ও কল উপেক্ষা করার পর জলযানটিতে হামলা চালানো হয়। জাহাজটি ডুবিয়ে দিতে মানুষবিহীন দুটি নৌকা, পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ও তিনটি ড্রোন ব্যবহার করা হয়।
পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড কিংডম মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন্স এবং ব্রিটিশ নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান আমব্রের তথ্য অনুযায়ী, প্রথমে আটটি ছোট বোট থেকে জাহাজটিকে (ম্যাজিক সিজ) লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এরপর স্বচালিত গ্রেনেড ছোড়া হয়। জাহাজটির সশস্ত্র রক্ষীরা এর জবাব দেন। এর কিছুক্ষণ পর মানুষবিহীন চারটি দূরনিয়ন্ত্রিত নৌকা ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে জাহাজটিতে আঘাত হানা হয়।
হুতিরা জানিয়েছে, তারা ডুবে যাওয়া লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী বাল্ক ক্যারিয়ার ‘ম্যাজিক সিজ’-এর ১৯ নাবিককে জাহাজটি ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ হ জট
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের প্রস্তাবিত নীতিতে ইন্টারনেটের দাম ২০% বাড়বে: আইএসপিএবি
সরকারের প্রস্তাবিত নীতিমালায় বিভিন্ন ফি ও চার্জ আরোপের কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার খরচ আরও অন্তত ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে বলছেন দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতারা।
ইন্টারনেটের দাম বাড়ার বিষয়টি দায়িত্বশীল নেতৃত্বের হাতে ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন সেবাদাতারা।
আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানায়।
সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ফিক্সড টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডারদের (এফটিএসপি) জন্য একটি গাইড লাইনের খসড়া করেছে। এ নিয়ে আপত্তি তুলেছে আইএসপিএবি।
নতুন গাইডলাইনে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ রেভিনিউ শেয়ার এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের জন্য ১ শতাংশ দিতে হবে। এ ছাড়া এফটিএসপি অপারেটরদের ক্রয়মূল্য ১৪ শতাংশ বাড়বে।
আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, টেলিযোগাযোগ খাত নিয়ে সরকার তার উদ্দেশ্য থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং জনগণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না। সরকার ভুল পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
আমিনুল হাকিম বিদ্যমান নীতির সঙ্গে প্রস্তাবিত নীতির তুলনামূলক উপস্থাপনা তুলে ধরে বলেন, বিদ্যমান নীতিতে সরকার এই খাত রেভিনিউ শেয়ারিং, সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল এবং ভ্যাটসহ ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ পায় কিন্তু নতুন নীততে তা ৪০ দশমিক ২৫ শতাংশ হবে। সরকারি নীতিতে শহর ও গ্রামে বৈষম্য বাড়বে।
আমিনুল হাকিম বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসা সরকার বৈষম্য উপহার দিচ্ছে। সরকার একদিকে ইন্টারনেটের দাম কমানোর কথা বলছে, অন্যদিকে নিজেরা দাম বাড়াচ্ছে। তিনি আরও বলেন, স্টারলিংকের জন্য সরকার লাইসেন্স ফি ধরেছে ১০ হাজার ডলার অর্থাৎ ১২ লাখ টাকা। কিন্তু দেশের আইএসপিদের জন্য তা ২৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, স্টারলিংককে এত সুবিধা দেওয়ার কারণ কি?
সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিএবি বলেছে, প্রস্তাবিত খসড়া গাইডলাইনে মোবাইল অপারেটরদের ফিক্সড ওয়্যারলেস একসেস এবং লাস্ট মাইল ফাইবার সংযোগের মাধ্যমে ফিক্সড কানেক্টিভিটি দেওয়ার স্পষ্ট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যা দেশীয় এবং নিজস্ব বিনিয়োগে গড়ে ওঠা আইএসপিগুলোর জন্য চরম অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করবে। এ ছাড়া বড় প্রভাব পড়বে সাধারণ গ্রাহকের ওপর।