পাহাড়ধসে বন্ধ সাজেক সড়ক, পর্যটকবাহী গাড়িসহ আটকা বহু যান
Published: 24th, July 2025 GMT
রাঙামাটিতে বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের বাঘাইহাট-সাজেক সড়কে নন্দরাম এলাকায় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে সড়কটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়েছে। এ কারণে আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সাজেকে যাতায়াতকারী সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ আছে। সড়কের দুই পাশে আটকা পড়েছে বহু যান। এগুলোর মধ্যে পর্যটকবাহী গাড়িও আছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রাতভর ভারী বৃষ্টির কারণে ওই পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। টানা বৃষ্টির কারণে গতকাল রাতেই ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে বৃষ্টি কমলে ভোরে যান চলাচল শুরু হয়। তখনই স্থানীয় বাসিন্দারা বাঘাইহাট-সাজেক সড়কে পাহাড়ধস দেখতে পান।
স্থানীয় বাসিন্দা সুজিত চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে কখন পাহাড়ধস হয়েছে, তাঁরা কেউ বুঝতে পারিনি। সকালে যানবাহন চলাচল শুরু হলে বিষয়টি নজরে আসে।’
পাহাড়ধসের ঘটনা জানাজানির হওয়ার পর সাজেক থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে এক্সকাভেটর (খননযন্ত্র) না থাকায় মাটি সরানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
রাঙামটি ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, তাঁদের মাটি সরানোর কোনো সরঞ্জাম নেই। তাই মাটি সরানো যাচ্ছে না।
সড়কের মাটি সরানোর কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। আজ সকালে রাঙামাটিতে বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প হ ড়ধস
এছাড়াও পড়ুন:
নিবন্ধন না থাকায় টাঙ্গুয়ার হাওরের ১২ হাউসবোটকে জরিমানা
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের নিবন্ধন না থাকায় সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকবাহী ১২টি হাউসবোটের মালিককে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের স্পেশাল অফিসার, মেরিন সেফটি (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) থান্দার কামরুজ্জামান আজ রোববার দিনভর হাওরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পর্যটকবাহী হাউসবোট নীলজলকে ১৫ হাজার, মেঘদূতকে ১৫ হাজার, স্বপ্নকে ১৫ হাজার, হাওরের সুলতানকে ৩০ হাজার, মায়াবতীকে ২৫ হাজার, নীলাঞ্জনাকে ৩০ হাজার, ডুবসাঁতারকে ২০ হাজার, জমিদারকে ১৫ হাজার, জলঘুড্ডিকে ১৫ হাজার, জলছবিকে ১৫ হাজার, হাওর ক্রুজকে ১৫ হাজার, বেগ বেঞ্জার হাউসবোটকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা থান্দার কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, নৌযানগুলোর নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। কিন্তু টাঙ্গুয়ার হাওরে যেসব হাউসবোটকে জরিমানা করা হয়েছে, সেগুলোর কোনো নিবন্ধন ছিল না। তিনি বলেন, অনেক বিষয় যাচাই করে নিবন্ধন দেওয়া হয়। বিশেষ করে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থাসহ আরও কিছু বিষয় গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। কিন্তু অনেক হাউসবোটে সেগুলো নেই।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হাসেম বলেন, ‘হাওরের প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম অব্যাহত আছে। আজ নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের একটি দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে।’