চট্টগ্রামে জঙ্গি মামলা থেকে খালাস পেলেন মুফতি ইজহার
Published: 4th, August 2025 GMT
১৪ বছর আগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে হওয়া মামলায় খালাস পেয়েছেন চট্টগ্রামের লালখান বাজার মাদ্রাসার মহাপরিচালক ও ইসলামী ঐক্যজোটের সাবেক চেয়ারম্যান মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী। আজ সোমবার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামের বিচারক আবু হান্নান এ রায় দেন।
ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি আবদুস সাত্তার সরোয়ার আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষীরা অপরাধ প্রমাণ করতে পারেননি। এ জন্য আদালত আসামিদের খালাস দিয়েছেন।
মামলায় মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরীসহ আট আসামি খালাস পান। বাকি সাত আসামি হলেন মাহফুজুর রহমান, আবুল ফাত্তাহ, আবুল কালাম, সালাউদ্দিন ভূঁইয়া, মাওলানা নোমান, মাওলানা সাব্বির ও আবদুল্লাহ আল আমিন।
২০১০ সালের ১৩ ডিসেম্বর রাউজান রাবারবাগান গোদারপাড় এলাকার পাহাড়ে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পাওয়ার দাবি করে র্যাব। সেদিন ঘটনাস্থল থেকে ধর্মীয় বইসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে ওই ঘটনায় মুফতি ইজহারসহ আটজনের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদের অভিযোগ এনে বিস্ফোরক ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়। বিস্ফোরক মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।
মুফতি ইজহারের আইনজীবী আবদুস সাত্তার প্রথম আলোকে বলেন, সে সময় র্যাব তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের নির্দেশে জঙ্গি নাটক সাজিয়েছিল। কিন্তু সাক্ষ্যপ্রমাণে তা প্রমাণ করা যায়নি। এ জন্য আদালত খালাস দিয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শেরপুরে কৃষককে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ
শেরপুরের শ্রীবরদীতে সুদের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে এক কৃষককে বেঁধে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে দহেরপাড় গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী মো. আকবর আলী রবিবার (২ নভেম্বর) শ্রীবরদী থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ পাওয়ার তথ্য গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার জাহিদ।
আরো পড়ুন:
নামাজরত বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, ৩ পুলিশ আহত
মুন্সীগঞ্জে ড্রেনের ভেতরে মিলল ২৩টি ককটেল, আটক ১
অভিযুক্তরা হলেন, দহেরপার গ্রামের মৃত নুজ বাউনের ছেলে আবু সামা ওরফে বুইজে (৬০), মৃত তরি মিয়ার ছেলে বনিজ উদ্দিন (৫০) ও মৃত ডায়ে শেখের ছেলে আব্দুল বারেক (৩০)।
ভুক্তভোগী আকবর আলীর বলেন, “প্রায় এক বছর আগে তিনি বারেকের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা সুদে নেন। চুক্তি অনুযায়ী তিনি প্রতি মাসে চার হাজার টাকা করে সুদও পরিশোধ করে আসছেন। সম্প্রতি মূল টাকা ফেরত দিলেও অতিরিক্ত আরো দুই হাজার টাকা দাবি করেন বারেক। এ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।”
তিনি বলেন, “গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পরিকল্পিতভাবে তারা আমার বাড়িতে প্রবেশ করে। তারা আমাকে লাঠিপেটা করে গুরুতর আহত করে। একপর্যায়ে আমাকে রশি দিয়ে বেঁধে টেনে-হিঁচড়ে আবু সামার বাড়িতে নিয়ে যায়। তার বাড়ির সামনের রাস্তার সিমেন্টের খুঁটির সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করে। পরে স্থানীয়রা আমাকে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।”
শ্রীবরদী থানার ওসি আনোয়ার জাহিদ বলেন, “আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ