ট্রায়াল রুমে নারীর ভিডিও ধারণ, ইরফান সাজ্জাদের ক্ষোভ
Published: 26th, August 2025 GMT
ট্রায়াল রুমে গোপন ক্যামেরায় নারীদের ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় এক কাপড়ের শোরুমের বিরুদ্ধে। এ ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ।
গতকাল রাতে উত্তরার একটি হাসপাতালের বিপরীতে অবস্থিত শোরুমে ঘটনাটি ঘটে। পরে ইরফান সাজ্জাদ ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও প্রকাশ করে বিষয়টি জানান।
আরো পড়ুন:
সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য করে তোপের মুখে স্বাধীন খসরু
ইরফান সাজ্জাদ লিখেন, “খুব জঘন্য একটা ঘটনার সাক্ষী হলাম আজ। ওই শো-রুমের ট্রায়াল রুমে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো ছিল। আমার পরিচিত এক মেয়ে সেখানে পোশাক পরীক্ষা করতে গিয়ে ক্যামেরা টের পায়। সাহসিকতার সঙ্গে বিষয়টি দোকানদারকে জানালে উল্টো তাদেরকে আটকে ফেলতে চায়। কিন্তু তাদের চিৎকারে আশপাশের কিছু লোক সাহায্য করতে এগিয়ে আসলে দোকানের কয়েকজন কর্মচারী পালিয়ে যায়।”
এরপর ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছায়। তা জানিয়ে ইরফান সাজ্জাদ লেখেন, “ভুক্তভোগীর মতে, কর্মচারীদের পালিয়ে যেতে বিল্ডিংয়ের লোকজন সাহায্য করে! এর মধ্যে পুলিশ আসে এবং লোকটির মোবাইলে এ রকম অসংখ্য ভিডিও পাওয়া যায়!”
সতর্ক করে ইরফান সাজ্জাদ লেখেন, “লোকটি দেখতে দাড়িওয়ালা ভদ্রলোক টাইপের! সাবধান থাকবেন আপনারা চারপাশে সব ভদ্র বেশি নরপিচাশ!”
এ ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক ইরফ ন স জ জ দ
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের প্রস্তাবিত নীতিতে ইন্টারনেটের দাম ২০% বাড়বে: আইএসপিএবি
সরকারের প্রস্তাবিত নীতিমালায় বিভিন্ন ফি ও চার্জ আরোপের কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার খরচ আরও অন্তত ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে বলছেন দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতারা।
ইন্টারনেটের দাম বাড়ার বিষয়টি দায়িত্বশীল নেতৃত্বের হাতে ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন সেবাদাতারা।
আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানায়।
সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ফিক্সড টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডারদের (এফটিএসপি) জন্য একটি গাইড লাইনের খসড়া করেছে। এ নিয়ে আপত্তি তুলেছে আইএসপিএবি।
নতুন গাইডলাইনে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ রেভিনিউ শেয়ার এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের জন্য ১ শতাংশ দিতে হবে। এ ছাড়া এফটিএসপি অপারেটরদের ক্রয়মূল্য ১৪ শতাংশ বাড়বে।
আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, টেলিযোগাযোগ খাত নিয়ে সরকার তার উদ্দেশ্য থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং জনগণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না। সরকার ভুল পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
আমিনুল হাকিম বিদ্যমান নীতির সঙ্গে প্রস্তাবিত নীতির তুলনামূলক উপস্থাপনা তুলে ধরে বলেন, বিদ্যমান নীতিতে সরকার এই খাত রেভিনিউ শেয়ারিং, সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল এবং ভ্যাটসহ ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ পায় কিন্তু নতুন নীততে তা ৪০ দশমিক ২৫ শতাংশ হবে। সরকারি নীতিতে শহর ও গ্রামে বৈষম্য বাড়বে।
আমিনুল হাকিম বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসা সরকার বৈষম্য উপহার দিচ্ছে। সরকার একদিকে ইন্টারনেটের দাম কমানোর কথা বলছে, অন্যদিকে নিজেরা দাম বাড়াচ্ছে। তিনি আরও বলেন, স্টারলিংকের জন্য সরকার লাইসেন্স ফি ধরেছে ১০ হাজার ডলার অর্থাৎ ১২ লাখ টাকা। কিন্তু দেশের আইএসপিদের জন্য তা ২৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, স্টারলিংককে এত সুবিধা দেওয়ার কারণ কি?
সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিএবি বলেছে, প্রস্তাবিত খসড়া গাইডলাইনে মোবাইল অপারেটরদের ফিক্সড ওয়্যারলেস একসেস এবং লাস্ট মাইল ফাইবার সংযোগের মাধ্যমে ফিক্সড কানেক্টিভিটি দেওয়ার স্পষ্ট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যা দেশীয় এবং নিজস্ব বিনিয়োগে গড়ে ওঠা আইএসপিগুলোর জন্য চরম অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করবে। এ ছাড়া বড় প্রভাব পড়বে সাধারণ গ্রাহকের ওপর।