দেশের কারাগারগুলোকে মাদকমুক্ত করতে সেপ্টেম্বর মাসকে মাদকবিরোধী কার্যক্রমের মাস ঘোষণা করে ১ সেপ্টেম্বর থেকে অভিযান শুরু করেছে কারা অধিদপ্তর। এর অংশ হিসেবে মাসজুড়ে কারারক্ষী ও বন্দীদের ডোপ টেস্টও (মাদক গ্রহণ পরীক্ষা) করা হবে।

‎আজ মঙ্গলবার দুপুরে কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) আবুল বাশারের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমান বিশ্বে মাদকের ভয়াবহতা প্রকট রূপ ধারণ করেছে। বাংলাদেশের বর্তমান আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটেও মাদকের প্রভাব সর্বগ্রাসী রূপ ধারণ করছে এবং তা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলেছে। দেশের কারাগারগুলো এই ক্ষতিকর প্রভাবের বাইরে নয়। এরই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ জেল কর্তৃপক্ষ সেপ্টেম্বর মাসকে মাদকবিরোধী কার্যক্রমের মাস হিসেবে ঘোষণা করে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ জেল মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে কারাগার এলাকায় মাদক নির্মূল করতে স্থানীয় কারা প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহায়তায় বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আসা দর্শনার্থী ও কারা অভ্যন্তরে প্রবেশকালে সব বন্দী এবং কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশেষ তল্লাশি এবং কারারক্ষী, বন্দী, আগত দর্শনার্থীদের জন্য মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক কার্যক্রম।

জেল কর্তৃপক্ষ আরও বলেছে, এই কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে সম্প্রতি কারা অধিদপ্তর নিজস্ব ডোপ টেস্টের মাধ্যমে সন্দেহভাজন কারাবন্দী ও কর্মচারীদের ডোপ টেস্ট করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যাতে সম্ভাব্য মাদকসেবীদের চিহ্নিত করে তাদের অধিকতর নজরদারি এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থার আওতায় আনা যায়।

কারা অধিদপ্তরে সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (গণমাধ্যম ও উন্নয়ন) জান্নাত-উল-ফরহাদ আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, ১৪ সেপ্টেম্বরে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে এক বন্দীকে কাপড়চোপড় দিতে আসেন বন্দীর এক স্বজন। সেই কাপড়চোপড়ের ভেতর থেকে কিছু গাঁজা জব্দ করেন কারা কর্মকর্তারা। এ ছাড়া গত ২৭ জুলাই ওই কারাগারের আরপি গেটে তল্লাশি চালিয়ে এক দর্শনার্থীর কাছ থেকে ৩২ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স প ট ম বর ম দকব র ধ গ রহণ

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনে জোরালো ভূমিকা পালন করবে আনসার: ডিজি

আসন্ন জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা জোরালো ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় নির্বাচনে আনসার-ভিডিপির ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা মহড়া ও চতুর্থ ধাপের আনসার কোম্পানি প্লাটুন সদস্যদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেছেন বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আব্দুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, আনসার সদস্যরা ভোট কেন্দ্রগুলোর প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তারা ভোট কেন্দ্রের অভ্যন্তরে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রের নিরাপত্তা এবং ভোটাধিকার প্রয়োগের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে কাজ করবেন।

ডিজি আরো বলেন, সাধারণত নির্বাচনে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে অস্ত্রধারী এবং অস্ত্রবিহীন নারী ও পুরুষ আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে একটি দল মোতায়েন করা হয়। আনসার বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক হয়ে কাজ করবে এবং নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করা হবে।তিনি

জানান, আনসার বাহিনী প্রথমবারের মতো ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম চালু করেছে, যেখানে প্রতিটি সদস্য সদর দপ্তরের সঙ্গে ডিজিটাল সিস্টেমে যুক্ত থাকবেন।

ঢাকা/এমআর/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ