ইরানে দুই জ্যেষ্ঠ বিচারককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার রাজধানী তেহরানে সুপ্রিম কোর্টের কাছে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুই বিচারক হলেন মোহাম্মদ মোগিসেহ এবং আলী রাজিনি। তাদের হত্যার বিষয়টি দেশটিতে বিচারকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। তারা দুজন আদালতের দুটি আলাদা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন।সূত্র- বিবিসি পার্সিয়ান

বার্তাসংস্থা ইরনা জানিয়েছে, হামলার ঘটনা ঘটেছে তেহরানের আর্ক স্কয়ারে। এ ঘটনার পর বিচারকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাদের কাছে কীভাবে হামলাকারী পৌঁছাল সেটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ।

সরকারি সংবাদমাধ্যম ফার্স নিউজ জানিয়েছে, হামলায় তিন বিচারককে টার্গেট করা হয়েছিল। এরমধ্যে দুজন নিহত হলেও, অপর একজন বেঁচে গেছেন। তবে হামলাকারী হামলার পরপরই আত্মহত্যা করে। এ মুহূর্তে তার পরিচয় এবং হামলার কারণ জানার চেষ্টা চলছে।

দেশটির বিচার বিভাগ এক বিবৃতিতে বলেছে, “হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে এক সশস্ত্র হামলাকারী। আদালতের বাইরে বিচারকদের হত্যার পর সে নিজেকে হত্যা করে। এ দুই বিচারক জাতীয় নিরাপত্তা অপরাধ, সন্ত্রাসবাদ এবং গুপ্তচরবৃত্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন। তারা দুজন ছিলেন অভিজ্ঞ এবং সাহসী।”

বিবৃতিতে বিচার বিভাগ আরও বলেছে, “প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে সুপ্রিম কোর্টে হামলাকারীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না। এছাড়া আদালতে ভিজিটর হিসেবেও যায়নি।”

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০

বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ