সোনারগাঁয়ে মেঘনায় কারা চাঁদাবাজি করে আমরা জানি : ইমতিয়াজ বকুল
Published: 4th, February 2025 GMT
সোনারগাঁয়ের মেঘনায় কারা চাঁদাবাজী করে আমরা জানি। আপনি চাঁদাবাজী করবেন আপনি বসুন্ধরার মালিকের গাড়িতে চড়বেন এ দায় বিএনপি নেবে না। এ দায়ভার খালেদা জিয়া কিংবা তারেক রহমান নেবে না। যারা চাঁদাবাজী করছেন তাদের জন্য এলামিং।
মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজারে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ সভাপতি অধ্যাপক ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ভিপি নুরুল হক নুর সোনারগাঁ এক জনসভায় মেঘনার চাদাবাজীর কথা বলে গেছেন।
তিনি বলেন ৫ আগষ্টের আগে যেসব নেতাকর্মী আমাদের সাথে ছিল সেসব নেতাকর্মীই আমাদের জন্য যথেষ্ট। আওয়ামীলীগের দোসরদের আমাদের দলে প্রয়োজন নেই। আমরা আওয়ামীলীগের মেম্বারদের চেয়ারম্যান বানাবো না। আমরা চাঁদার জন্য শিল্প কারখানা বন্ধ করবো না।
আমরা নিজের দলেরর লোকদের নামে মামলা দেব না। আমাদের বুকে যে সাহস আছে তা জাতীয়তাবাদের সাহস এটা তারেক রহমানের সাহস।
তিনি বলেন, তারেক রহমান বলেছেন হিন্দু মুসলমান বৈদ্ধ খ্রিষ্টান সবাইকে নিয়ে একটি মালা গাঁথার জন্য। এ মালা হবে ঐক্যের মালা।
তিনি একটি পক্ষের সমালোচনা করে বলেন, আমাদের কিছু রাজনৈতিক বন্ধু সুক্ষভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে। বন্ধুরা আপনারা আপনাদের আর্দশ বাস্তবায়ন করেন বিএনপি বিএনপির আদর্শ বাস্তবায়ন করবে। দেশে অনৈক্য সৃষ্টির চেষ্টা করবেন না। আমরা এক সাথে সবাই মিলে ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন কিেরছ। এ ঐক্য ধরে রাখুন।
বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন যুবদলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও আলোচনায় সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপি সহ- সভাপতি হাজী মো.
আলোচনা সভা শেষে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ র জন য উপজ ল রহম ন ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।