ভালোবাসার মাসে মুক্তি পেতে যাচ্ছে প্রেম ও বিরহের গল্পে নির্মিত নাটক ‘বিষাক্ত বকুলের গল্প'।
সুদীপ্ত সাইদ খানের রচনা ও পরিচালনায় নাটকটির প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন এ সময়ের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেতা ইমতু রাতিশ ও জনপ্রিয় মুখ জারা জয়া। এ জুটি আগেও দর্শক নন্দিত নাটক উপহার দিয়েছেন দর্শকদের।
নির্মাতা সুদীপ্ত সাইদ খান বলেন, “ভিউ বাণিজ্যের এই সময়ে বেশির ভাগ নাটকই নির্মিত হয় লোক হাসানোর জন্য। সেখানে স্যাড রোমান্টিক গল্প নিয়ে কাজ করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা সেই ঝুঁকিটাই নিয়েছি। আমরা গল্পকেই প্রাধান্য দিয়েছি। আমাদের পুরো টিমের চেষ্টা ছিল একটি সুন্দর কাজ উপহার দেওয়ার। প্রত্যেকেই ভালো অভিনয় করেছে, সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। টেকনিশিয়ান টিমের প্রতি আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ।”
আরো পড়ুন:
মারা গেছেন ‘আমি বাংলার গান গাই’ খ্যাত শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়
বাবা-মা হতে চলেছেন পরম-পিয়া
নায়ক ইমতু রাতিশ বলেন, “খুব ভালো গল্প, কো-আর্টিস্ট, ম্যাকিং সবকিছুই দারুণ ছিল। ফলে কাজের অভিজ্ঞতা দারুণ। আমি কতটুকু দিতে পেরেছি জানি না। তবে বরাবরের মতোই আমি আমার কাজের সঙ্গে সৎ এবং মেধার সর্বোচ্চ দেওয়ার চেষ্টা করেছি।”
জারা জয়ার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে ইমতু বলেন, “জারা জয়া আমার পুরোনো সহযোগী। এর আগেও বেশ কিছু জনপ্রিয় নাটকে আমরা যুগল ছিলাম। তাই জয়ার সঙ্গে এই নাটকে স্ক্রিন শেয়ার করতে পেরে আমি বেশ আনন্দিত।”
জারা জয়া বলেন, “ব্যতিক্রমী একটা গল্প। আমাকে কেন্দ্র করেই এগিয়েছে কাহিনি। আমি আমার সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ইউনিটের সবাই খুব সহায়তা করেছে। আশা করছি কাজটা দর্শক পছন্দ করবে।”
নাটকটিতে আরো অভিনয় করেছেন রকি খান, জয় রায়, তাসনিম ডিম্পল, এইচ এস রোকনসহ আরো অনেকে।
চিত্রগ্রহণ করেছেন অনিক খান। সহযোগী পরিচালক ছিলেন এ কে এম হেদায়েতুল বিপ্লব। সহকারী পরিচালক ছিলেন আরিফ রাহুল। নাটকটি সম্পাদনা করেছেন রাসেল পারভেজ। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক করেছেন ব্যাজ হারুন।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ‘মেলা' ইউটিউব চ্যানেলে উন্মুক্ত হবে নাটকটি।
ঢাকা/রাহাত/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ছ ন ন টকট
এছাড়াও পড়ুন:
গেইল-পেরেরাদের পারিশ্রমিক, হোটেল বিল না দিয়েই লিগের আয়োজকেরা পালিয়েছেন
টুর্নামেন্টের নাম ইন্ডিয়ান হেভেনস প্রিমিয়ার লিগ বা আইএইচপিএল। ভূস্বর্গ খ্যাত কাশ্মীরে আয়োজিত টুর্নামেন্টটি ক্রিস গেইল, থিসারা পেরেরাদের জীবনে নিয়ে এসেছে মহা বিড়ম্বনা। বিশ্ব ক্রিকেটের নামি এই খেলোয়াড়দের হোটেলে রেখে শহর থেকে পালিয়ে গেছেন লিগের আয়োজকেরা। খেলোয়াড়, ম্যাচ কর্মকর্তাদের পারিশ্রমিক দেওয়া হয়নি, পরিশোধ করা হয়নি হোটেলের বিলও।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে। গত ২৫ অক্টোবর আট দল নিয়ে শুরু হওয়া আইএইচপিএল শেষ হওয়ার কথা ছিল ৮ নভেম্বর। কিন্তু শনিবার সকালে খেলোয়াড়দের জানানো হয়, কারিগরি কারণে দিনের খেলা বাতিল করা হয়েছে। এরপর রোববার সকালে হোটেলে থাকা খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা জানতে পারেন, আয়োজকেরা আগের রাতে শ্রীনগর ছেড়ে চলে গেছেন।
হোটেল কর্তৃপক্ষ জানায়, আয়োজকদের কাছ থেকে তারা কোনো বিল পায়নি। সেই সময় প্রায় ৪০ জনের মতো খেলোয়াড় ও কর্মকর্তা হোটেলেই আটকা পড়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) কর্মকর্তা মেলিসা জুনিপার আইএইচপিএলে আম্পায়ারিং করতে গিয়েছিলেন। শ্রীনগরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আয়োজকেরা হোটেল থেকে পালিয়ে গেছেন। তারা হোটেল, খেলোয়াড় বা আম্পায়ার কারও বিল পরিশোধ করেননি। আমরা হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমঝোতায় এসেছি যেন সবাই বেরিয়ে যেতে পারে।’
শ্রীনগরের যে হোটেলে খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের রাখা হয়েছিল, সেখানকার এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘আয়োজকেরা ১০ দিন আগে খেলোয়াড়দের জন্য ১৫০টি কক্ষ চেয়েছিলেন। তাঁরা বলেছিলেন, ক্রিস গেইলের মতো তারকার কারণে কাশ্মীরের পর্যটন উপকৃত হবে। কিন্তু রোববার সকালে দেখি তাঁরা উধাও হয়ে গেছেন। আমাদের বিলও দেননি। গেইলসহ কয়েকজন খেলোয়াড় শনিবারই হোটেল ছেড়ে চলে গেছেন।’
গেইল ছাড়াও টুর্নামেন্টে খেলতে গিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার থিসারা পেরেরা, নিউজিল্যান্ডের জেসি রাইডার, দক্ষিণ আফ্রিকার রিচার্ড লেভি এবং ওমানের আয়ান খান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টুর্নামেন্টের প্রচারণায় যে সব পোস্টার ব্যবহার করা হয়েছে, তার একটিতে বাংলাদেশের সাকিব আল হাসানের ছবিও বড় আকারে দেখা গেছে।
ভারতের সাবেক ক্রিকেটার পারভেজ রসুল এই টুর্নামেন্টে খেলেছিলেন। তিনি জানান, কয়েকজন বিদেশি খেলোয়াড় হোটেলে আটকা পড়েছিলেন। পরে ব্রিটিশ হাইকমিশনের সহায়তায় তাঁরা বেরিয়ে যান, ‘এক ইংলিশ আম্পায়ার হাইকমিশনে যোগাযোগ করেছিলেন’।
স্থানীয় এক ক্রিকেটার জানান, আয়োজকেরা সম্ভবত ধারণাই করতে পারেননি এমন একটি টুর্নামেন্ট চালাতে কত বড় বাজেট প্রয়োজন। শেষ মুহূর্তে স্পনসররা সরে যাওয়ায় অর্থ সংকট তৈরি হয়েছিল, ‘প্রথম দিন নির্ধারিত পোশাকও ছিল না, স্থানীয়ভাবে কিনে আনা হয়েছিল। কোনো খেলোয়াড়ের সঙ্গেও লিখিত চুক্তি করা হয়নি।’
টুর্নামেন্টটির আয়োজক ছিল যুবা সোসাইটি মোহালি নামের একটি সংস্থা। সহযোগিতায় ছিল জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর স্পোর্টস কাউন্সিল। কাউন্সিলের এক কর্মকর্তা জানান, আইএইচপিএল সভাপতি আশু দানি পুলিশের ছাড়পত্র ও মাঠ ব্যবহারের অনুমতি নিয়েছিলেন, ‘তারা আমাদের টাকা দিয়েছে। এখানে সরকারের সরাসরি সংশ্লিষ্টতা নেই। কেন লিগ মাঝপথে বন্ধ হয়ে গেল, আমরা জানি না।’
তবে ২২ অক্টোবরের একটি সরকারি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জম্মু ও কাশ্মীরের বিভাগীয় কমিশনার অংশুল গার্গের সভাপতিত্বে আইএইচপিএল নিয়ে এক প্রস্তুতি সভার কথা উল্লেখ ছিল, যেখানে অনুমান করা হয়েছিল বকশি স্টেডিয়ামে ২৫–৩০ হাজার দর্শক উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু বাস্তবে দর্শক উপস্থিতি ছিল হতাশাজনক। টিকিটের দাম কমিয়েও সাড়া মেলেনি।
এ ব্যাপারে বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁর মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।