প্রক্টরিয়াল বডির পাঁচজনের পদত্যাগ গোপন রেখে তিনজনকে অব্যাহতি
Published: 19th, February 2025 GMT
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে চাপের মুখে প্রক্টরসহ প্রক্টরিয়াল বডির পাঁচজন পদত্যাগ করেছেন। তবে তিন দিন আগে দেওয়া পদত্যাগপত্র গোপন রেখে বুধবার তিনজনকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা জানিয়েছে ববি প্রশাসন। পাশাপাশি সহকারী অধ্যাপক ড. সোনিয়া খান সনিকে নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এ টি এম রফিকুল ইসলাম, সহকারী প্রক্টর মো.
জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক ফয়সাল মাহমুদ জানান, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শূন্যপদে ড. সোনিয়া খান ভারপ্রাপ্ত প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করবেন।
পদত্যাগী সহকারী প্রক্টর ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক মো. ইলিয়াস হোসেন বিকেলে জানান, প্রক্টর এবং তিনিসহ চার সহকারী প্রক্টর রোববার একসঙ্গে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। তিনি পদত্যাগপত্রে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েছেন। কেন সবাই পদত্যাগ করলেন এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অন্যরা কেন পদত্যাগ করেছেন তা তারা বলবেন।
আরেক সহকারী প্রক্টর মো. সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি শুনেছেন যে, তাঁকে অব্যাহতি দিয়েছে। তবে পদত্যাগের বিষয়ে তিনি এখনই মন্তব্য করতে চাননি। অব্যাহতি দেওয়া প্রক্টর এ টি এম রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রশাসন তাঁকে যে কোনো কারণে অব্যাহতি দিতে পারে। তবে তিনি পদত্যাগ করেছেন কিনা এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
আরেক সহকারী প্রক্টর আলমগীর হোসেন জানান, তিনি ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে বাড়িতে আছেন। উপাচার্য তিনজনকে অব্যাহতি দিয়েছে বলে শুনেছেন। সহকারী প্রক্টর থেকে পদত্যাগ করেছেন কিনা এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নৈতিক দিক থেকে আমরা অনেক কিছু ভাবি। এ বিষয়টি ফোনে নয় সামনে এসে বলব।’
এ ব্যাপারে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, উপাচার্যের নির্দেশে নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর হিসেবে সহকারী অধ্যাপক ড. সোনিয়া খান সনিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে আগের প্রক্টর কিংবা সহকারী প্রক্টরদের পদত্যাগের বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেননি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পদত য গ পদত য গপত র ল ইসল ম সহক র
এছাড়াও পড়ুন:
মানুষের প্রয়োজনে না এলে সেই সংস্কার কাজে আসবে না: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রম যদি মানুষের প্রয়োজনে না আসে, শিশুদের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করতে না পারে, শিশুদের জন্য নিরাপদ জীবন গড়ে দিতে না পারে, তাহলে সে সংস্কার কোনো কাজে আসবে না।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ মাঠে ‘গণতান্ত্রিক পদযাত্রায় শিশু’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
আমরা বিএনপি পরিবার আর মায়ের ডাক যৌথভাবে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে গুমের শিকার বিভিন্ন ব্যক্তি ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া শিশুদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকার শিশুদের (গুমের শিকার ব্যক্তিদের সন্তান) পুনর্বাসনের জন্য একটি স্পেশাল সেল গঠন করবে। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, কাজটি হয়নি। আশা করব, দেরিতে হলেও অন্তর্বর্তী সরকার তাদের জন্য কিছু করবে।’
অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত গুম কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘একটি কমিশন করা হয়েছে। এই কমিশন এখন পর্যন্ত একটা রিপোর্ট নাকি করেছে। কিন্তু তাদের এই যে খোঁজ করা, এ বিষয়ে খুব বেশি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে মনে হয় না।’
গুমের শিকার ব্যক্তিদের নিয়ে আয়োজিত কোনো অনুষ্ঠানে এলে ‘ভারাক্রান্ত হন’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ পরিবারগুলো যে ত্যাগ স্বীকার করেছে, আমরা কিন্তু সেই ত্যাগ অনেকেই করতে পারিনি। যখন মঞ্চে দাঁড়িয়ে শিশুদের বলতে শুনি যে আমি আমার বাবাকে দেখতে চাই, বাবার হাত ধরে স্কুলে যেতে চাই, ঈদের মাঠে নামাজ পড়তে যেতে চাই, তখন আমি আমার আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।’
গুমের শিকার বিভিন্ন ব্যক্তি ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া শিশুদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ মাঠে, ২৯ জুলাই