মাদক সেবনের অভিযোগে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরিচালক ইমতিয়াজ জুবায়েরসহ (৩৬) চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে দিনাজপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালসংলগ্ন এলাকা থেকে মাদক সেবন অবস্থায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ইমতিয়াজ জুবায়ের ওরফে সজীব বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব শাখার উপপরিচালক হিসেবে কর্মরত। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর কবির বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তাকে পুলিশ আটক করেছে। যদি কোনো কর্মকর্তা অনৈতিক কাজের দায়ে কোনো মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হন, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী পরবর্তী সময় কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।

গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ি এলাকার আলমগীর চৌধুরীর ছেলে আবদুল্লাহ আল ফারুক (৩৭), চারুবাবুর মোড় এলাকার আবদুল খালেকের ছেলে আমিনুল রসুল (৪০) ও বড় বন্দর এলাকার কাওসার আহমেদের ছেলে জাকির হোসেন (৩৬)।

থানা–পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালসংলগ্ন এলাকায় একটি মোটর মেকানিক গ্যারেজের গোপন কক্ষে নিয়মিত মাদক সেবনের আড্ডা বসে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রাতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। ইয়াবা সেবনকালে ওই চারজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়।

দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান বলেন, আটক চারজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।

ওসি মতিউর রহমান জানান, জেলা পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯টি মাদক মামলায় ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযানে ৮১টি ট্যাপেন্ডাটল ট্যাবলেট, ১৫৪ গ্রাম গাঁজা ও ৫৪টি ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে হঠাৎ দুদকের অভিযান

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রধান কার্যালয়ে আজ রোববার হঠাৎ অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইপিবির আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন মেলায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে ডলারে ঘুষ নিয়েছেন সংস্থাটির এক উপপরিচালক, এমন অভিযোগে ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোয় ‘ডলারে ঘুষ নেন ইপিবির এক কর্মকর্তা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ঘটনা তদন্ত করতে এরপর তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে ইপিবি। কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা ওঠে আসে।

তবে এক বছরের বেশি সময় পার হলেও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি ইপিবি। দুদক সম্প্রতি এ বিষয়ে অনুসন্ধান করার জন্য একটি দল গঠন করে এবং ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ আমলে নিয়েই দুদক আজ অভিযান পরিচালনা করেছে বলে জানা গেছে।

জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের এক উপপরিচালকের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ ছিল। এ অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই দুদকের তিন সদস্যের একটি দল আমাদের কার্যালয়ে আসে। আমরা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করেছি। বিষয়টি অনুসন্ধান পর্যায়ে আছে।’

ইপিবি গঠিত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইপিবির অনুমোদন ছাড়া ১৪টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জামানত বাবদ ১৫০ ডলার করে নেওয়া ঠিক হয়নি।’ আরও বলা হয়, চীনের কুনমিংয়ে ২০২৩ সালের আগস্টে অনুষ্ঠিত একটি মেলায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে জামানত নেওয়া হয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া।

দুদকের সূত্রগুলো বলছে, ২০১৭ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পরিমাণের পে–অর্ডার দিয়েছেন মেলায় অংশগ্রহণকারীরা, ইপিবির এক উপপরিচালক আত্মসাতের উদ্দেশ্যে এত দিন সেগুলো নিজের জিম্মায় রেখে দিয়েছিলেন। দুদক সরেজমিন ইপিবি কার্যালয়ে এসে পে-অর্ডারগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করেছে, তবে কিছু উদ্ধার হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে হঠাৎ দুদকের অভিযান