রাজশাহীতে বিএনপির ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলি, ককটেল বিস্ফোরণ
Published: 7th, March 2025 GMT
রাজশাহীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হয়ে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। এসময় গুলি বিনিময়, ককটেল বিস্ফোরণ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে এক পুলিশ সফস্যসহ তিনজন আহত হয়েছেন। এসময় তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং একটি বাড়ি ও বিএনপির একটি অফিস ভাঙচুর করা হয়।
আহতরা হলেন- মেট্রোপলিটন পুলিশের বিশেষ শাখার কন্সটেবল তোফাজ্জল হোসেন, স্থানীয় বাসিন্দা সনি ও এক রিকশাচালক। আহতরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর দড়িখড়বোনা এলাকার মুন রাবেয়া টাওয়ার থেকে যুবলীগ নেতা সাব্বির বাবুকে ধরিয়ে দেয় মহিলা দলের নেত্রী লাভলী। এর জেরে শুক্রবার সন্ধ্যায় বিএনপির এক পক্ষের লোক এসে লাভলীর বাড়িতে ভাঙচুর করে। হামলাকারীরা সেখান থেকে সরে গেলে পরে নগরীর দড়িখড়বোনা এলাকায় লাভলী গ্রুপের সৃ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে নগরীর শালবাগান পর্যন্ত। এর পর থেকে দড়িখড়বোনা, শালবাগান ও রেলগেট এলাকায় থেমে থেমে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে নগর পুলিশ কমিশনার আবু সুফিয়ান বলেন, তারা নিজেরাই সংঘর্ষে জড়িয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় পুলিশের এক সদস্য আহত হয়েছেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, থানায় কোনো পক্ষ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ স ঘর ষ ককট ল ব এনপ র স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
উপদেষ্টা আসিফের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
কুমিল্লার মুরাদনগর স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় আসিফ মাহমুদের পক্ষের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্য রয়েছেন।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে উপজেলা সদরের আল্লাহ চত্বরে ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসী জানান, বুধবার বিকেলে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সদরের আল্লাহ চত্বরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জড়ো হন। সমাবেশ লক্ষ্য করে পার্শ্ববর্তী জেলা পরিষদের মার্কেট থেকে কয়েকটি ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হন, তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্যও রয়েছেন।
আরো পড়ুন:
কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবে বিএনপির অভিযোগ বক্স, যা পাওয়া গেল
সরকারের একটি অংশ অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে: তারেক রহমান
মিছিল নিয়ে আসা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মিনাজুল হক বলেন, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপির লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। মিছিল নিয়ে আসার পর শত শত ইটপাটকেল ছুড়ে আমাদের ধাওয়া দিতে থাকে। আমাদের অনেক সমর্থক আহত হন।”
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিএনপির মুরাদনগর উপজেলার আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন বলেন, “তারা হামলা করার পর আমাদের ছেলেরা প্রতিরোধ করেছে।”
কুমিল্লার মুরাদনগর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আমিন কাদের খান জানান, আজ মুরাদনগর সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ চলছিল। এ সময় পাশে অবস্থান করা কিছু লোক বিনা উসকানিতে তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপরে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করে।
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ