তিন পার্বত্য জেলায় ২ হাজার কোটি টাকার ফলের ব্যবসা
Published: 9th, March 2025 GMT
রাঙামাটির কুতুকছড়ি বাজারে রাস্তার ওপর সারি সারি আনারসের স্তূপ। ব্যাপারীর জন্য অপেক্ষা করছেন বাগানি ও মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ীরা। সেখানে কথা হয় বাগানি এফেন চাকমার সঙ্গে। তিনি ১৪ হাজার আনারসের চারা রোপণ করেছিলেন। সেই আনারসের কিছু বিক্রির জন্য এনেছেন বাজারে। চট্টগ্রাম ও রাঙামাটি সদর থেকে ব্যাপারীরা গেলে এসব আনারস বিক্রি করবেন। আনারস ছাড়াও অন্যান্য ফলের চাষও করেন তিনি।
এবার পাহাড়ে আনারসের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানান বাগানিরা। সে কারণে দাম তুলনামূলকভাবে কম। এ ছাড়া সদ্য শেষ হওয়া কুল, বাউকুল, কমলা, রাম্বুটান, জাম্বুরাসহ অন্যান্য ফলের ফলনও বাড়ছে তিন পার্বত্য জেলায়। আর পেঁপের আবাদ বছরজুড়ে। এখন বাগানিদের অপেক্ষা আম, কাঁঠালের।
পার্বত্য অঞ্চলে প্রচলিত ফলের পাশাপাশি অপ্রচলিত ফলের আবাদও দিন দিন বাড়ছে। এর মধ্যে লটকন, কমলা, ড্রাগন, বলসুন্দরী কুল, রাম্বুটান, কাজুবাদাম, কফি, মাল্টা, কামরাঙা, সফেদার চাষ বেড়েছে। বেড়েছে আয়ও। গত অর্থবছরে দুই হাজার কোটি টাকার বেশি ফল বিক্রি হয়েছে তিন পার্বত্য জেলায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, যা এযাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ, দুভাবেই ফলের চাষ হচ্ছে পাহাড়ে। কৃষি সম্প্রসারণ রাঙামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো.
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুই দশক আগে পাহাড়ে বাণিজ্যিকভাবে ফল চাষ শুরু হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ফল উৎপাদিত হয় প্রায় ১৯ লাখ টন। মোট বাগান এলাকা ছিল ১ লাখ ৭ হাজার ৭২৯ হেক্টর। এর আগের অর্থবছরে মোট ফলের উৎপাদন ছিল প্রায় ১৮ লাখ ৩৫ হাজার টন। মোট বাগান এলাকা ছিল ১ লাখ ৬ হাজার ২১১ হেক্টর।
যেসব ফলের চাষ হয়— তিন পার্বত্য জেলায় যেসব ফলের আবাদ ও ফলন বাড়ছে আম, কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, আনারস, লিচু, মাল্টা, ড্রাগন, কুল, বাউকুল, আপেল কুল, রাম্বুটান, জাম্বুরা, লটকন, কমলা, বলসুন্দরী কুল, কাজুবাদাম, কফি, কামরাঙা ও সফেদা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাঙামাটি অঞ্চলের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানান, গত অর্থবছরে টাকার অঙ্কে ফলের উৎপাদন দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সরেজমিন চিত্র
আনারস ও কমলার জন্য বিখ্যাত রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা। উপজেলার ঘিলাছড়ি রাবারবাগান এলাকায় দেখা যায়, বাগান থেকে কমলা তুলে এনে রাস্তার পাশে স্তূপ করছেন বাগানি নির্মল চাকমা। তাঁর সঙ্গে পাড়া–প্রতিবেশীরাও যোগ দেন এই কাজে। রাস্তার পাশ থেকে এগুলো ট্রাকে তুলছিলেন দুই শ্রমিক। এই কমলা যাবে চট্টগ্রামে। নির্মল চাকমা বলেন, ১৮ হাজার চারা রোপণ করেছেন তিনি। ফলনও ভালো হয়েছে। তবে পার্বত্য এলাকায় এবার ভালো ফলন হওয়ায় দাম তুলনামূলক কম।
ঘিলাছড়ি থেকে আনারস তুলে কেউ রাস্তার পাশে, কেউবা কাছাকাছি কুতুকছড়ি বাজারে জড়ো করেন। সেখান থেকে ব্যাপারীরা কিনে নিয়ে যান। রবি ও বৃহস্পতিবার রাঙামাটির সাপ্তাহিক বনরূপা বাজারে বেচাবিক্রি বেশি ভালো হয় বলে জানান বাগানিরা। কুতুকছড়ি বাজারে আকার অনুযায়ী, প্রতি ১০০ আনারস ৮০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়।
খাগড়াছড়ির মহালছড়ির লাচিমংয়ের ৪০ একরের বেশি বাগান রয়েছে। জেলার কয়েকজন শীর্ষ বাগানির মধ্যে তিনি অন্যতম। আম, আনারস, ড্রাগন ও মাল্টার আবাদ হয় তাঁর বাগানে। এ বছর ড্রাগন ও মাল্টার ব্যাপক ফলন হয়েছে তাঁর বাগানে। কৃষি পুরস্কার পাওয়া লাচিমং বলেন, পাহাড়ে প্রতিবছর বাগান যেমন বাড়ছে, তেমনি ফলের উৎপাদনও বাড়ছে। নতুন নতুন অপ্রচলিত ফলের চাষও হচ্ছে।
আম–আনারসের পাশে কাজুবাদাম
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, তিন পার্বত্য জেলায় একসময় ৪০টির মতো ফল উৎপাদিত হতো। এখন সেই সংখ্যা বেড়ে ৫০ ছাড়িয়েছে। তবে তিন পার্বত্য জেলায় উৎপাদিত মোট ফলের প্রায় ৮৫ শতাংশই আম, কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, আনারস, লিচু, মাল্টা ও ড্রাগন। গত ১০ বছরে পাহাড়ে আম, পেঁপে ও আনারস চাষের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। এ কারণে গত অর্থবছর আমের ফলন হয়েছে দুই লাখ টনের বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আম হয় বান্দরবানে ১ লাখ ১২ হাজার টনের বেশি। রাঙামাটিতে ৩৬ হাজার ২০০ টন ও খাগড়াছড়িতে আমের ফলন ছিল সাড়ে ৫৪ হাজার টন। গত অর্থবছরে তিন পার্বত্য জেলায় আনারস উৎপাদন হয় দুই লাখ টনের বেশি। আর পেঁপে উৎপাদিত হয় ১ লাখ ৮১ হাজার টন।
কৃষি বিভাগের হিসাবে, তিন পার্বত্য জেলায় মোট বাগানির সংখ্যা ৪০ হাজারের বেশি। সারা দেশে উৎপাদিত ফলের প্রায় ১৫ শতাংশ আসে এসব জেলা থেকে। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সারা দেশে যায় এসব ফল। বর্তমানে অনলাইনে বিক্রি বাড়ছে।
একসময় শীতকালে পাহাড়ে দেশি সাধারণ কুলের ফলন হতো। এরপর বাউকুল, আপেল কুল চাষ শুরু হয়। এখন বল সুন্দরী বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে পাহাড়ে। রাঙামাটির সুশান্ত তঞ্চঙ্গ্যা জানান, ‘কয়েক বছর ধরে বল সুন্দরী আবাদ করছি। এতে বেশ লাভবানও হচ্ছি। এ ছাড়া নতুন নতুন নানা ফলের আবাদ শুরু করেছি।’
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, এবার ২১ হাজার ১৭২ টন কুল উৎপাদিত হয়েছে তিন পার্বত্য জেলায়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাড়ে ১১ হাজার টন উৎপাদিত হয় বান্দরবানে। এ ছাড়া ২ হাজার ৮৭৪ টন কাজুবাদাম উৎপাদিত হয়েছে। পাঁচ বছর আগেও তিন পার্বত্য জেলায় কাজুবাদামের চাষ সেভাবে হতো না।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফল র চ ষ হ জ র টন ত ফল র স ন দর র ফলন
এছাড়াও পড়ুন:
গ্যাস অপচয়ে বছরে ক্ষতি ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি: পেট্রোবাংলা
কারিগরি ক্ষতির (সিস্টেম লস) নামে গ্যাস অপচয় বাড়ছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গ্যাস বিতরণ লাইনে অপচয় হয়েছে গড়ে ৬ দশমিক ২৮ শতাংশ গ্যাস। এতে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৩ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা। আর গত অর্থবছরের (২০২৪-২৫) মার্চ পর্যন্ত অপচয় হয়েছে ৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এতে আর্থিক ক্ষতি ৩ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা। এর বাইরে সঞ্চালন লাইনে অপচয় হয়েছে ২ শতাংশ।
‘দেশের জ্বালানিনিরাপত্তা: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়; গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব তথ্য উপস্থাপন করেছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)। এতে বলা হয়, ২ শতাংশ অপচয় গ্রহণযোগ্য, তাই ওইটুকু সমন্বয় করেই আর্থিক ক্ষতির হিসাব করা হয়েছে। গ্যাসের অপচয় রোধে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে ছয়টি গ্যাস বিতরণ সংস্থা।
পেট্রোবাংলা বলছে, গ্যাস অপচয়ের জন্য দায়ী হচ্ছে পুরোনো, জরাজীর্ণ পাইপলাইন; গ্যাস সরবরাহ লাইনের গ্যাসস্টেশন রাইজারে লিকেজ (ছিদ্র); তৃতীয় পক্ষের উন্নয়নকাজে পাইপলাইন ছিদ্র হওয়া এবং আবাসিক খাতে প্রচুর অবৈধ সংযোগ। তবে এসব অপচয় রোধে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় পেট্রোবাংলা। এর মধ্যে রয়েছে গ্যাস সরবরাহব্যবস্থায় মিটারিং/ মনিটরিং ব্যবস্থাপনা কার্যকর করা; লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কারিগরি ক্ষতি নিয়ন্ত্রণে রাখা; অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও উচ্ছেদ কার্যক্রম জোরদার করা এবং আবাসিক গ্রাহকদের প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা।
দেশের গ্যাস খাতের চিত্র তুলে ধরে সেমিনারে মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ইজাজ হোসেন। তিনি বলেন, দেশে গ্যাসের উৎপাদন কমতে কমতে ১৫ বছর আগের জায়গায় চলে গেছে। গ্যাস অনুসন্ধান জোরদারের কোনো বিকল্প নেই। গ্যাস চুরি ও অপচয় কমাতে হবে। সঞ্চালন ও বিতরণ মিলে কারিগরি ক্ষতি প্রায় ১০ শতাংশ, যা অনেক বেশি। সঞ্চালন লাইনে কারিগরি ক্ষতি কোনোভাবেই ২ শতাংশ হওয়ার কথা নয়। এটা ভালো করে দেখা উচিত।
শিল্পে নতুন সংযোগে গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান বলেন, সঞ্চালন লাইনে কারিগরি ক্ষতির বিষয়টি গভীরভাবে দেখা হচ্ছে। অবৈধ সংযোগ বন্ধে পেট্রোবাংলা তৎপর আছে, খোঁজ পেলেই বিচ্ছিন্ন করা হবে। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিল্পে নতুন সংযোগের ক্ষেত্রে গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে, যেহেতু তারা বেশি দাম দেবে। তাই অগ্রাধিকার বিবেচনা করে তিনটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। প্রথম ধাপের তালিকায় থাকছে, যেসব কারখানায় এখনই সংযোগ দেওয়া যাবে। এগুলো পরিদর্শন প্রায় শেষের দিকে, আগামী সপ্তাহে শেষ হয়ে যাবে।
সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, আমদানি করা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রূপান্তর করে পাইপলাইনে সরবরাহ করতে নতুন টার্মিনাল নির্মাণে অগ্রাধিকার পাচ্ছে স্থলভাগের টার্মিনাল। মহেশখালীর মাতারবাড়ী এলাকায় এটি করা হবে। এটি হলে কম দামের সময় বাড়তি এলএনজি কিনে মজুত করা যাবে। তবে এগুলো রাতারাতি করা যায় না, পাঁচ বছর সময় লাগতে পারে।
জাতীয় গ্রিডে নতুন করে দিনে ৭৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হয়েছে
তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে উৎপাদন অংশীদারত্ব চুক্তি (পিএসসি) নিয়ে একটি নিবন্ধ উপস্থাপন করেন পেট্রোবাংলার পরিচালক (পিএসসি) মো. শোয়েব। তিনি বলেন, স্থলভাগে গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য তৈরি পিএসসির খসড়া জ্বালানি বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহ নিয়ে একটি নিবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ৫০টি কূপ সংস্কার, উন্নয়ন ও খননের প্রকল্পে ইতিমধ্যে ১৮টির কাজ শেষ হয়েছে। জাতীয় গ্রিডে নতুন করে দিনে ৭৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হয়েছে। ৪টি কূপের কাজ চলমান। এ ছাড়া পেট্রোবাংলার বিভিন্ন প্রকল্পের কার্যক্রম তুলে ধরেন সংস্থাটির পরিচালক (পরিকল্পনা) মো. আবদুল মান্নান পাটওয়ারী।
সবচেয়ে বেশি বকেয়া বিদ্যুৎ খাতে
পেট্রোবাংলার আর্থিক দিক তুলে ধরেন সংস্থাটির পরিচালক (অর্থ) এ কে এম মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, গত অর্থবছরে পেট্রোবাংলার রাজস্ব আয় ৫৪ হাজার ১১৭ কোটি টাকা, এর মধ্যে অর্ধেক বকেয়া। গত মে পর্যন্ত গ্যাস বিল বকেয়া ২৭ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা। এটি ধীরে ধীরে কমে আসছে। ১৩–১৫ হাজার কোটিতে বকেয়া নেমে এলে সন্তোষজনক। সবচেয়ে বেশি বকেয়া বিদ্যুৎ খাতে ১৬ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। এরপর সার কারখানায় বকেয়া আছে ৯৬৪ কোটি টাকা। তবে বিদেশি কোনো কোম্পানির কাছে বিল বকেয়া নেই পেট্রোবাংলার। সব বিল শোধ করা হয়ে গেছে।
গত অর্থবছরে প্রতি ইউনিটে লোকসান হয়েছে ৪ টাকা
পেট্রোবাংলা বলছে, এলএনজি আমদানি শুরুর পর থেকে লোকসান শুরু হয় সংস্থাটির। প্রতিবছর সরকারের কাছ থেকে ভর্তুকি নিচ্ছে পেট্রোবাংলা। ২০১৮-১৯ সালে এলএনজি আমদানি শুরু হয়, ওই বছর ভর্তুকি ছিল ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এরপর এলএনজি আমদানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভর্তুকিও বাড়তে থাকে। গত অর্থবছরে তারা ভর্তুকি নিয়েছে ৮ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। এ পর্যন্ত পেট্রোবাংলা মোট ভর্তুকি নিয়েছে ৩৬ হাজার ৭১২ কোটি টাকা। পেট্রোবাংলার হিসাবে গত অর্থবছরে প্রতি ইউনিট গ্যাস সরবরাহে পেট্রোবাংলার খরচ হয়েছে ২৭ টাকা ৫৩ পয়সা। তারা বিক্রি করেছে ২২ টাকা ৯৩ পয়সায়। এর মানে প্রতি ইউনিটে লোকসান হয়েছে ৪ টাকা ৬০ পয়সা।