ফরিদুর রেজা সাগরের গোয়েন্দা সিরিজ ‘ছোটকাকু’। গত ১৭ বছর ধরে প্রতি ঈদ অনুষ্ঠানমালায় চ্যানেল আই সিরিজটি প্রচার করে থাকে। এবারো তার ব্যতিক্রম নয়।
ঈদ উপলক্ষে নির্মিত এই সিরিজের নতুন পর্বের নাম ‘মিশন মুন্সিগঞ্জ’। গত বছরের কোরবানি ঈদে প্রচারিত ‘হবিগঞ্জের হরবোলা’-এর মতো এবারো ছোটকাকু পরিচালনা করছেন অনিমেষ আইচ। তবে নির্মাতা সিরিজটির নাম দিয়েছেন ‘ছোটকাকু চ্যাপ্টার টু’।
দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি খুনের সংবাদে বিচলিত হয়ে পড়েন ছোটকাকু। ঢাকায় খুন হন একজন উকিল, দ্বিতীয় খুন লালমনিরহাটে একজন চিকিৎসক, তৃতীয় খুনটা হয় ফেনীতে একজন রাজনীতিবিদ। অদ্ভুত ব্যাপার হলো, তিনজনই একসময় মুন্সিগঞ্জে ছিলেন। এসব খুনের রহস্য উদঘাটনে ছোটকাকু ছুটে যান মুন্সিগঞ্জে। কাহিনি জট পাকায়। সেই জট খোলার মিশনে নামেন ছোটকাকু। এভাবেই এগিয়েছে সিরিজটির গল্প।
আরো পড়ুন:
নিহার সঙ্গে তৌসিফের ‘অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ’
গুজব নিয়ে নির্মিত নাটিকায় বিদেশিরা
ছোটকাকু চরিত্রে অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন। তিনি বলেন, “ছোটকাকুর সঙ্গে আমার একটা ভালোবাসার বিষয় আছে। আমি ঢাকা শহরে এসে প্রথমে শিশু-কিশোর সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হই। সেই যুক্ত হওয়ার কারণে আমি যে মানুষটি এসেছিলাম, তার চিন্তা ভাবনাগুলো বদলে যায়। সে হিসেবে আমার সর্বক্ষণ মনে হয়, এই যে শিশু-কিশোরদের জন্য কিছু করতে চাওয়া, এটা একেবারেই এখন নেই। তাই এটা করা।”
‘মিশন মুন্সিগঞ্জ’-এ আফজাল হোসেন ছাড়াও অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, শহীদুজ্জামান সেলিম, আশনা হাবিব ভাবনা প্রমুখ। ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় দিন থেকে অষ্টম দিন পর্যন্ত সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে চ্যানেল আইয়ে প্রচার হবে সিরিজটি।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক ছ টক ক স র জট
এছাড়াও পড়ুন:
রাজনীতিতে না জাড়ানোর কারণ জানালেন প্রীতি জিনতা
বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা এখন অভিনয়ে অনিয়মিত। অভিনয়ে তাকে দেখা না গেলেও নিজের ক্রিকেট দলের হয়ে মাঠে তাকে প্রায়ই দেয়া যায়। মাঝে গুঞ্জন উঠেছিলে রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন তিন। অবশ্য এবিষয়ে টুঁশব্দও করেননি এই অভিনেত্রী।
এদিকে মাস তিনেক আগে কংগ্রেসের পক্ষ অভিযোগ তোলা হয়েছিল, প্রীতি জিনতার ১৮ কোটি টাকার ঋণ নাকি মকুফ করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। শুধু তাই নয়, প্রীতি নাকি তার সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বিজেপির হাতে সঁপে দিয়েছেন- এমন অভিযোগও ওঠে। এরপর বলিউড নায়িকার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা শুরু হয়।
সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডলে প্রীতি জিনতাকে একজন জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি কি ভবিষ্যতে বিজেপিতে যোগ দেবেন? আপনার গত কয়েক মাসের টুইট দেখে তো তেমনটাই মনে হচ্ছে। জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘সোশাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারীদের এটাই একটা সমস্যা। সবাই এত বিচার করতে বসে যান সবকিছু নিয়ে। আমি যেমনটা আগে বলেছি, মন্দিরে, মহাকুম্ভে যাওয়া কিংবা নিজের পরিচয় নিয়ে আমি গর্বিত। তার মানে এই নয় যে এসমস্ত কারণে আমি বিজেপিতে যোগ দেব।’
প্রীতি বলেন, ‘ভারতের বাইরে থাকার ফলে আমি দেশের প্রকৃত মূল্য উপলব্ধি করতে পেরেছি এবং আর পাঁচজন ভারতীয়র মতোই গর্ববোধ করি আমার দেশকে নিয়ে।’
রাজনীতিতে না আসার কারণ গত ফেব্রুয়ারি মাসেও জানিয়েছিলেন প্রীতি জিনতা। সেসময় তিনি বলেন, ‘রাজনীতি আমার দ্বারা হবে না। বিগত কয়েক বছরে একাধিক রাজনৈতিক দল আমাকে টিকিট দিতে চেয়েছে। এমনকি রাজ্যসভার আসনের প্রস্তাবও এসেছিল। তবে আমি বিনম্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছি। কারণ, আমার ইচ্ছে নেই। আর আমাকে ‘সৈনিক’ বললেও অতিরঞ্জিত হবে না। কারণ, আমি একজন আর্মি পরিবারের সন্তান। আমার বাবা সৈনিক এবং আমার দাদাও। আর্মি পরিবারের সন্তান হওয়ায় আমাদের মানসিকতা খানিক আলাদা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিজেদের উত্তর ভারতীয়, দক্ষিণ ভারতীয় কিংবা হিমাচলী বা বাঙালি বলে ভাবি না, আমাদের পরিচয় শুধুমাত্র ভারতীয়। আর হ্যাঁ, দেশভক্তি আমাদের রক্তে।’ সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।