শিশুর পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
Published: 18th, March 2025 GMT
বরগুনায় ধর্ষণের শিকার কিশোরী ও তার পরিবারের নিরপত্তা নিশ্চিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া মাগুরায় নির্যাতনে মৃত্যুবরণকারী শিশুর বড় বোনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে এই নিরাপত্তা দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত এক সম্পুরক আবেদনের শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন। একই আদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪ ধারা নিয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে করতেও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই আইনের ১৪ ধারায় বলা হয়েছে, ধর্ষণসহ নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না। যদি পরিচয় প্রকাশ করা হয় তাহলে দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ ও ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন।
আবেদনে বলা হয়েছে, বরগুনা পৌর এলাকায় গত ৪ মার্চ বিকেলে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে সপ্তম শ্রেণিপড়ুয়া কিশোরীকে এক বখাটের নেতৃত্বে কয়েকজন অপহরণ করে। এরপর তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। পরদিন সকালে ওই কিশোরীকে স্থানীয় পার্কে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা (৩৭) ওই দিন রাতেই বরগুনা সদর থানায় সিজিত রায়সহ দুই জনের নামে ধর্ষণের মামলা করেন। এরপর ১১ মার্চ কর্মস্থলে গিয়ে নিখোঁজ হন কিশোরীর বাবা। ওই দিন দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে বাড়ির পাশে তার লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ভিকটীমের পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। অন্যদিকে মাগুরায় ধষর্ণের শিকার হয়ে মারা যাওয়া শিশু আছিয়ার বোনও নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে আবদেনে উল্লেখ করা হয়েছে। এজন্য দুটি পরিবারের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য আবেদনে হাইকোর্টের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
মরিচখেতে তাজা গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করলেন সেনাসদস্যরা
সুনামগঞ্জে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় এক কৃষকের মরিচখেতে একটি তাজা গ্রেনেড পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চালবন গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান তাঁর মরিচখেতে গিয়ে মাটি খোঁড়ার সময় ওই গ্রেনেড পান। বিষয়টি জানাজানি হলে উৎসুক লোকজন সেখানে ভিড় করেন। এরপর বিষয়টি বিশ্বম্ভরপুর থানার পুলিশকে জানানো হয়।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মখলিছুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রেনেড সাদৃশ্য ওই বস্তু দেখতে পায়। এরপর সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় থাকা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে ঘটনাটি জানানো হয়। আজ দুপুরে সেখান থেকে লেফটেন্যান্ট আল হোসাইনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল এসে প্রথমে এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। পরে সেটি নিষ্ক্রিয় করার উদ্যোগ নেন তাঁরা। নিষ্ক্রিয় করার সময় গ্রেনেডটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। চারপাশের মাটি গর্ত হয়ে যায়।
সেনা কর্মকর্তা আল হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেনেডটি বিশ্বযুদ্ধ কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কোনোভাবে আসতে পারে। এটি মাটির নিচে ১০০ বছরের কমবেশি সময়ে সক্রিয় থাকে। তিনি আরও বলেন, এলাকাবাসীর উচিত ছিল আগেই বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানো। এটি বিস্ফোরিত হলে জানমালের অনেক ক্ষতি হতে পারত।