গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে জবিশিসের মানববন্ধন
Published: 20th, March 2025 GMT
গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস ও বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জবিশিস)।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো.
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, “ফিলিস্তিনিরা আজ হামলার শিকার হচ্ছে, আমাদেরও একই অবস্থা হতে পারে। তাই সবাইকে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। বাংলাদেশে বিগত বছরগুলোতে অসংখ্য ইজরায়েলি পণ্য কেনা হয়েছিল, যা দিয়ে দেশের জনগণের ওপর গুপ্তচর বৃত্তি চালানো হয়েছে। সেসব পণ্য নিষিদ্ধ করতে হবে। বিগত সময়ে যত ইসরায়েলি জাহাজ দেশে এসেছে, সবগুলোর তথ্য প্রকাশ করতে হবে।”
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্দিন বলেন, “বিশ্ব আজ যে নির্মম চিত্র দেখছে, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। পবিত্র রমজানে যখন পুরো বিশ্ব ঘুমিয়ে, সেখানে আমার ফিলিস্তিনি ভাই বোনদের হাহাকার। আমি ইন্তেফাদা ফাউন্ডেশনকে আহ্বান করবো, তারা যেন ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ায়। আমরা নিজের সাধ্যমতো সাহায্য করবো।”
মানববন্ধনের শেষে ফিলিস্তিনের শোষিত ও নির্যাতিত জনগণের জন্য বিশেষ দোয়া ও ফিলিস্তিনি জনগণের মুক্তি কামনা করা হয়।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইরান পারমাণবিক স্থাপনাগুলো আরো শক্তিশালী করে পুনর্নির্মাণ করবে
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান জানিয়েছেন, তেহরান তার পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে ‘আরো শক্তিশালী করে’ পুনর্নির্মাণ করবে। রবিবার সরকারি সংবাদমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তার দেশ পারমাণবিক অস্ত্রের সন্ধান করছে না।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে স্থাপনাগুলোতে বোমা হামলা চালিয়েছিল সেগুলো পুনরায় চালু করার চেষ্টা করলে তেহরান ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে নতুন করে হামলার নির্দেশ দেবেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেন, “ভবন ও কারখানা ধ্বংস আমাদের জন্য কোনো সমস্যা তৈরি করবে না, আমরা আরো শক্তির সাথে পুনর্নির্মাণ করব।”
জুনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছিল। ওই সময় ওয়াশিংটন বলেছিল, স্থাপনাগুলো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির লক্ষ্যেএকটি কর্মসূচির অংশ ছিল। তবে তেহরান জানিয়েছিল, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে বেসামরিক উদ্দেশ্যে।
ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমের প্রসঙ্গে পেজেশকিয়ান বলেছেন, “এগুলো জনগণের সমস্যা সমাধানের জন্য, রোগের জন্য, জনগণের স্বাস্থ্যের জন্য।”
ঢাকা/শাহেদ