ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যা দিবস পালিত
Published: 26th, March 2025 GMT
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতের শহীদদের স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে মোমবাতি প্রজ্বালন ও শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের গণহত্যা ইতিহাসের সবচেয়ে নিকৃষ্টতম গণহত্যার একটি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই গণহত্যা আরও বেদনাবিধুর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আরও বলেন, ‘এই গণহত্যায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের অনেক সদস্যকে আমরা হারিয়েছি। অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। দেশটি স্বাধীন হয়েছে বলেই আমরা আজ এখানে দাঁড়িয়ে আছি, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছি। এই স্বাধীনতার পেছনে অকুতোভয় বীরসেনানিদের চরম আত্মত্যাগ রয়েছে। এই বীরসেনানিদের প্রতি আমাদের দায় আছে, রক্তের ঋণ আছে। রক্তের এই ঋণ আমাদের প্রতিদিন স্মরণ করতে হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা বক্তব্য দেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মানিব্যাগ তুলতে সেপটিক ট্যাংকে নেমে বড় ভাইয়ের মৃত্যু, ছোট ভাই হাসপাতালে
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে যাওয়া মানিব্যাগ তুলতে গিয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁকে খুঁজতে গিয়ে তাঁর ছোট ভাইও ট্যাংকে নেমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ডোমাবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবকের নাম সোহেল আহমদ (২৭)। তিনি ডোমাবাড়ি এলাকার মজম্মিল আলীর ছেলে ও পেশায় দিনমজুর ছিলেন। আহত হয়েছেন তাঁর ছোট ভাই ইমন আহমদ (২৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে টয়লেটে যান সোহেল। তাঁর কোমরে লুঙ্গিতে গুঁজে রাখা মানিব্যাগ কমোডের ফাঁক দিয়ে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে যায়। পরে মানিব্যাগটি তুলতে ট্যাংকে নামেন তিনি। অনেকক্ষণ হয়ে গেলেও সোহেল না ওঠায় খোঁজ নিতে ট্যাংকে নামেন ছোট ভাই ইমন। এরপর তাঁদের আর কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে জুড়ী ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান চালায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মই ব্যবহার করে ট্যাংকে নেমে দুই ভাইকে উদ্ধার করেন।
জুড়ী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা শামীম আহমদ বলেন, দুই ভাই ট্যাংকের ভেতরে বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা অসিত রঞ্জন দেবনাথ বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই সোহেল আহমদ মারা যান। ইমন আহমদ আশঙ্কামুক্ত। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।