Samakal:
2025-07-31@07:28:01 GMT

ইতিহাসই স্বাধীনতার প্রেরণা

Published: 25th, March 2025 GMT

ইতিহাসই স্বাধীনতার প্রেরণা

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি পুরোমাত্রার সামরিক অভিযান পরিচালিত হয়। 
এর আগে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঢাকায় এসেছিলেন, শেখ মুজিবের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করার জন্য। মুজিবের সঙ্গে ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ, ড. কামাল হোসেন, খন্দকার মোশতাক প্রমুখ। শেখ সাহেব বক্তব্যে অটল ছিলেন। তাঁর ভাষ্য ছিল– আমরা ইলেক্টেড হয়েছি; পূর্ব পাকিস্তানে সব সিটে আমাদের প্রার্থী জিতেছে। আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম– ছয় দফাভিত্তিক সংবিধান পাকিস্তানের জন্য রচনা করা হবে। আমরা এই কর্মসূচি দিয়ে জনসমর্থন পেয়েছি। এখন আমরা ছয় দফাকে ভিত্তি হিসেবে রেখে নতুন সংবিধান করব। 

পশ্চিম পাকিস্তানের বড় দল ছিল জুলফিকার আলি ভুট্টোর পিপলস পার্টি। পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগ ছাড়াও আরও ছিল ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টিসহ কতগুলো ছোট ছোট কমিউনিস্ট গ্রুপ। আরও ছিল জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম পার্টি। একটা যুদ্ধ ধেয়ে আসছে– এটা আসলে কেউ কল্পনা করেনি। ইয়াহিয়া তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে আলাপ করতে এসেছেন; শেখ মুজিবও তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে আলাপের আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন। দু’জনের ভেতর একান্ত বৈঠকও হয়েছে। আওয়ামী লীগের ভাষ্য ছিল একটাই– আমরা ছয় দফা কর্মসূচি দিয়েছি বলেই জনগণ আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়েছে; আমাদের নির্বাচিত করেছে। আমরা জনসাধারণের মাঝে এই কর্মসূচি প্রচার করেছি; আমাদের সমর্থন জোগাতে তাদের উদ্বুদ্ধ করেছি। তারা সাড়া দিয়েছে। জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি তো আমরা ভঙ্গ করতে পারি না। ছয় দফার ভিত্তিতেই আমাদের সরকার গঠিত হবে। 

ইয়াহিয়া খানের ভাষ্য ছিল– ছয় দফা তো পাকিস্তানকে ভেঙে ফেলবে। যদিও আপনি বলছেন, পাকিস্তানের সংহতির জন্য ছয় দফা প্রয়োজন। কিন্তু রাজনৈতিক বাস্তবতা বলছে, এতে পাকিস্তান ভেঙে যাবে। আপনার পরিকল্পনা পরিবর্তন করুন। শেখ সাহেব বক্তব্য পরিবর্তন করতে রাজি হলেন না। তাজউদ্দীন আহমদের লেখা আওয়ামী লীগের লিখিত বক্তব্য ইয়াহিয়া খানকে দেওয়া হয়। ইয়াহিয়া খান সেটা পড়েন নাই। ফাইলে রেখেছিলেন। বলেছিলেন, আপনাদের প্রস্তাব আমি বিবেচনা করব। আমি চাইব যে শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের এই আলোচনার মাধ্যমেই এমন সিদ্ধান্ত আমি দেব, যেখান থেকে সবাই উপকৃত হবে। কিন্তু ইয়াহিয়া বাস্তবে তা করেননি। কারণ তাদের মনে ভয়– ছয় দফা, ১১ দফা পাকিস্তানকে ভেঙে ফেলার কর্মসূচি। শেখ মুজিব পাকিস্তান রাখতে চায় না। স্বাধীন বাংলাদেশ বা পূর্ব বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। 

শেখ সাহেব তাঁর বক্তব্য থেকে সরেননি; প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া, ভুট্টো সাহেবও সরেননি। সুতরাং বিষয়টি অমীমাংসিত থাকে। ভুট্টো ছিলেন অত্যন্ত ক্ষমতালিপ্সু। তিনি এক সময় বলতে শুরু করলেন দুই মেজরিটির পার্টির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে। রাষ্ট্র একটা। এই রাষ্ট্রের পূর্ব পাকিস্তানে সংখ্যাধিক্য আওয়ামী লীগের, অপরদিকে পশ্চিম পাকিস্তানে আওয়ামী লীগের মতো নিরঙ্কুশ সংখ্যাধিক্য না পেলেও মোটামুটি সংখ্যাধিক্য অর্জন করে পিপলস পার্টি। ভুট্টোর শেষ কথা ছিল ওটাই। দুই দলকে ক্ষমতা দিয়ে পাকিস্তান একটা পরিণতিতে পৌঁছাক। শেখ সাহেব তখন অতি-জরুরি মিটিং ছাড়া বের হতেন না। তবে তাঁর বাড়িতে প্রায় সবসময় গোটা পঞ্চাশেক মানুষ থাকত। আওয়ামী লীগের লোকেরা আসত, বসত; আলাপ করত। সবাই জানতে চায়– ‘কী করতে হবে।’

শেখ সাহেব একটা প্রতিবাদ দিবস ঘোষণা করেছিলেন এবং কর্মসূচি হিসেবে হরতাল ঘোষণা করেছিলেন। এই কর্মসূচি পালিত হওয়ার স্বার্থে শেখ মুজিব আওয়ামী লীগের প্রথম সারির সব নেতৃত্বকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে রেখেছিলেন। বলেছিলেন, আপনারা সবাই যান, এই কর্মসূচি সফল করেন। তাজউদ্দীন আহমদ, ড.

কামাল হোসেন, আমীর-উল ইসলাম তাঁকে বোঝাতে চেষ্টা করেছিলেন– এই পন্থায় এগিয়ে আমরা টিকে থাকতে পারব না। আন্দোলন নষ্ট করে দেবে। আমাদের অবশ্যই কোনো প্রকার ছাড় না দিয়ে ছয় দফা নিয়েই এগোতে হবে। আমাদের দেশে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির প্রধান ছিলেন অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ। পশ্চিম পাকিস্তানে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির প্রধান ছিলেন সীমান্ত গান্ধী আবদুল গাফফার খানের ছেলে আবদুল ওয়ালী খান। তিনি বলেছিলেন, এত দৃঢ় অবস্থানে থাকলে আমাদের চলবে না। শেখ মুজিবের সঙ্গে আরও আলাপ করে মীমাংসা করতে হবে। জনসাধারণ যদি না চায়, তাহলে আমরা কেন তাদের ধরে রাখব– এ রকম বক্তব্য রেখেছিলেন তিনি। আরেকজন নেতা ছিলেন নৌবাহিনীর। তিনিও প্রশ্ন রেখেছিলেন– পূর্ব পাকিস্তানে কেন আমরা জবরদস্তি করব। তারা বলেছিলেন, যদি জনগণ আলাদা হতে চায়, তাহলে পশ্চিম ও পূর্ব পাকিস্তানের নেতারা বসে সিদ্ধান্ত নেবেন। যে সিদ্ধান্ত হবে, সেটা আমরা সব দল মেনে নেব। 
ইয়াহিয়া খানের পরিকল্পনা ছিল ভিন্ন। ২৫ মার্চ মাগরিবের নামাজের পর তিনি বিশেষ বিমানে ইসলামাবাদ চলে যান। এখানকার গভর্নর যিনি ছিলেন তাঁকে সামরিক অভিযানের দায়িত্ব দিয়ে যান। তিনি চলে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর, রাত সাড়ে ১১টায় এই সামরিক অভিযান শুরু হয়। 

পরে আমরা জেনেছি, এই অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সার্চলাইট’। এ অভিযানের লক্ষ্য ছিল– যারা শেখ মুজিবের পক্ষে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে; তাদের আক্রমণ ও হত্যা করা। এখানকার সামরিক সরকার সেই অভিযান পরিকল্পনা অনুযায়ী শুরু করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আক্রমণ চালানো হয়। সাতজন শিক্ষককে হত্যা করা হয়। তন্মধ্যে যাদের নাম স্মৃতিতে আসছে– ছিলেন ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, পরিসংখ্যান বিভাগের মনিরুজ্জামান। একই সঙ্গে আলাদা ট্রুপে বিভক্ত হয়ে সামরিক বাহিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় প্রতিটি হলে অভিযান চালিয়েছে। ফজলুল হক হল, ঢাকা হল (এখন শহীদুল্লাহ্ হল), সলিমুল্লাহ হল, জগন্নাথ হল। জগন্নাথ হলে ৪০ জন ছাত্রকে পেয়েছিল। সেই ৪০ জনকেই মেরে ফেলে। আরও দুয়েকজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ছিলেন, তাদেরও মেরে ফেলে। দুটো মেয়েদের হল ছিল– রোকেয়া হল, শামসুন্নাহার হল। এসব জায়গাতেও মিলিটারিরা গেছে, কিন্তু কেউই ছিল না। ছাত্রীরা আত্মরক্ষার্থে আগেই হল ছেড়েছিল। আত্মীয়স্বজনের বাসায় গিয়ে উঠেছিল। বহু মানুষ, আমরাও তখন ‍পুরান ঢাকায় গিয়ে স্বজন, সুহৃদদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। যাদের সুযোগ ছিল তারা গ্রামের বাড়ি চলে গেছে। 

প্রান্তিক অগণিত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এখন পুরোনো হয়ে গেলেও তখন কমলাপুর রেলস্টেশন নতুন ছিল; সুন্দর দেখাত। রেললাইনের দু’পাশের কিছু অংশের জমি সরকারি। ওই জায়গার ভেতর প্রচুর বস্তি তৈরি হতো। মিলিটারিরা রেললাইনের দু’পাশের বস্তিতে অগণিত শ্রমজীবী, দিনমজুর ঘুমন্ত মানুষকে হত্যা করে।  রাজারবাগ পুলিশ লাইন, শহীদ মিনার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, রেলওয়ে এলাকা, সংবাদপত্রের প্রতিষ্ঠান– সর্বত্র চলে নিধনযজ্ঞ। আমার মনে হয়েছে, এই নিধনযজ্ঞের পেছনের মনস্তত্ব জানতে আমাদের ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের কালে যেতে হবে। পরবর্তী সময়ে ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ হয় ঠিকই, কিন্তু অনেক সংকট রয়ে যায়। সেসব সংকটের হাত ধরে ক্রমশ দেশভাগ, দেশভাগের অগ্র ও পশ্চাৎ-সহিংসতা, পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানের মানসিকতা নির্ধারিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। 
আমাদের দেশে বড় নেতাদের মনস্তত্ত্ব নিয়ে, ভালো-মন্দে মিলিয়ে নির্মোহ গবেষণা হয়নি। এটা হওয়া দরকার। ইতিহাসের কোন অংশটি, কাকে, কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণে, কেমন প্রভাবিত করেছে; বিশ শতকের বিভিন্ন বাঁকে রাজনৈতিক আবহ বিশ্লেষণ ও সংশ্লেষণে কোন চিন্তা, দর্শন কোন বলয়ে অলক্ষ্যে কী ভূমিকা রেখেছে; কেন ২৫ মার্চ রাত্রিতে সহিংসতার কিছু পূর্বানুমানের পরও পাকিস্তান কিংবা স্বদেশনীতির প্রশ্নে আমাদের বড় নেতাদের ভেতর দ্বিমত উপস্থিত হলো– বিশ্লেষণ করা দরকার। আমাদের অতীতের স্বাধীনতা অর্জনের অনেক অনালোকিত দিক উন্মোচন ও ভবিষ্যতের স্বাধীনতা রক্ষার অনেক গুরুত্বপূর্ণ পূর্বসিদ্ধান্ত গ্রহণে তা সহায়ক হবে।


 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বল ছ ল ন ইসল ম আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা খর্ব হলে রাষ্ট্র পরিচালনায় ভারসাম্য নষ্ট হবে: সালাহউদ্দিন

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ থেকে কিছু সময়ের জন্য ওয়াকআউট করার পর আবারও আলোচনায় যোগ দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা খর্ব করা হলে রাষ্ট্র পরিচালনায় ভারসাম্য নষ্ট হবে বলে তিনি সতর্ক করেছেন।

আজ সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার ২০তম দিনে সালাহউদ্দিন আহমদ এ কথা বলেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশে যেন আর কখনো স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদ জন্ম নিতে না পারে, সে লক্ষ্যে সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগে বিএনপি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকেই প্রস্তাব ছিল, কেউ যেন ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে না পারেন, সেটি গৃহীত হয়েছে। আমরা আরও প্রস্তাব দিয়েছি, নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি স্বাধীন সার্চ কমিটি গঠন করা হোক, যেখানে সরকারি দল, বিরোধী দল ও বিচার বিভাগের প্রতিনিধি থাকবে, সেটিও গ্রহণযোগ্য হয়েছে।’

সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘আমরাই প্রস্তাব করেছি যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে পরবর্তী সময়ে সংসদ কোনো সংশোধনী আনলে, তা রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের আগে গণভোটে যেতে হবে। এটি গৃহীত হওয়া মানে, দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় পদক্ষেপ।’

তবে এসব অগ্রগতির মধ্যেও নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা। বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহি যেমন সংসদের কাছে, তেমনি জনগণের কাছেও রয়েছে। কিন্তু যদি কর্তৃত্ব না থাকে, কেবল দায়িত্ব আর জবাবদিহি থাকে, তাহলে তা কার্যকর রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যথেষ্ট নয়।’

সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগে নির্বাহী বিভাগের হাত–পা বাঁধা হলে তা ভবিষ্যতের জন্য বাধা সৃষ্টি করতে পারে বলেও মন্তব্য করেন সালাহউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নির্বাহী বিভাগকে শক্তিশালী হতে হবে, দুর্বল নয়।’

বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা গঠনমূলক লক্ষ্য নিয়ে সংলাপে অংশ নিচ্ছে। তবে যেখানে মৌলিক দ্বিমত রয়েছে, সেখানে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকা বা মতপার্থক্য প্রকাশ করাও গণতন্ত্রের ভাষা।

সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘সব বিষয়ে ঐকমত্য হবে, এমন দাবি কেউ করেননি। দ্বিমত থাকবে, ভিন্নমত থাকবে, আর সেগুলোর মধ্য দিয়েই তো গণতন্ত্রের সংগ্রাম এগিয়ে যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি না যে নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে কাউকে ঐকমত্যে বাধ্য করা উচিত। ঐকমত্যের অর্থই হচ্ছে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে পথচলা। বিএনপি অংশ না নিলে কীভাবে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে, সেটি নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়।’

বক্তব্য শেষে সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, সংলাপের পরবর্তী পর্যায়ে বিএনপি অংশ নেবে এবং ইতিবাচক আলোচনার জন্য প্রস্তুত থাকবে।

আরও পড়ুনঐকমত্য কমিশনের বৈঠক: ফায়ার অ্যালার্ম বেজে ওঠায় হুড়োহুড়ি করে বের হলেন সবাই৫৪ মিনিট আগেবিএনপির ওয়াকআউট

কমিশনের প্রস্তাবিত সরকারি কর্ম কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান আলোচনায় অংশ নেয়নি বিএনপি। বেলা সাড়ে ১১টার পর বিষয়টি আলোচনার জন্য উপস্থাপন করেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, তাঁরা আলোচনায় অংশ নেবেন না।

পরে আলী রীয়াজ বলেন, বিএনপির পক্ষে বলা হয়েছে, তারা আলোচনায় থাকবে না। একটি রাজনৈতিক দল আলোচনায় অংশ না নিলে আলোচনা করা যাবে না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারি না।

আজ আলোচনায় অংশ নিয়েছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল।

আলোচনায় সভাপতিত্ব করছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত আছেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, এমদাদুল হক, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান ও আইয়ুব মিয়া।

আরও পড়ুনজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক থেকে বিএনপির ওয়াক আউট, পরে যোগদান২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য
  • মানিব্যাগ তুলতে সেপটিক ট্যাংকে নেমে বড় ভাইয়ের মৃত্যু, ছোট ভাই হাসপাতালে
  • সিলেটে সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
  • ৪ কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২১টি স্থাপনার নাম বদল
  • ২ বছরের ভেতরে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আপত্তি নেই বিএনপির
  • জুলাই সনদের খসড়ায় ফ্যাসিবাদের দুঃশাসনের চিত্র নেই: ইসলামী আন্দোলন
  • কক্সবাজারের সোনাদিয়া উপকূলে ভেসে এল অজ্ঞাতনামার লাশ, এখনো নিখোঁজ অরিত্র
  • তাজউদ্দীন আহমদ দেশের স্বাধীনতার প্রধান পুরুষ
  • মানবাধিকার মিশন নিয়ে উদ্বেগ, আলোচনা ছাড়া সিদ্ধান্ত ন্যায়সংগত হয়নি: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা খর্ব হলে রাষ্ট্র পরিচালনায় ভারসাম্য নষ্ট হবে: সালাহউদ্দিন