নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাদের নিয়ে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার নবনিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি নুরুজ্জামান সরদার। তাঁদের নিয়ে ওসির সঙ্গে ছবিও তোলেন। পরে সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডি থেকে পোস্ট করেছেন। এর পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

গত শুক্রবার বিকেলে কাশিয়ানী থানায় গিয়ে ওসি মো.

হাফিজুর রহমানের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক দলের ওই নেতা সাক্ষাৎ করেন। এ সময় নুরুজ্জামান সরদারের সঙ্গে কাশিয়ানী উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম, সহসভাপতি শামিম ও ছাত্রলীগ নেতা রুবেল মুন্সী উপস্থিত ছিলেন।

ওসি মো. হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি অল্প কিছুদিন হয়েছে যোগদান করেছি। সেদিন নুরুজ্জামান সাহেব কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে এসে নিজ দলের নেতা-কর্মী বলে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। আমি তো নতুন আসছি, তাই কাউকে চিনি না। পরে তাঁরা সবাই আমার সঙ্গে ছবি তোলেন।’

জানতে চাইলে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নুরুজ্জামান সরদার বলেন, ‘ওরা আগে ছাত্রলীগ করত, তবে এখন করে না। আর ওরা রাজনৈতিক পরিচয় দিতে আমার সঙ্গে ওসির কাছে যায়নি। ভুল হয়েছে আমি ছবি তুলে আমার ফেসবুকে আপলোড করেছি। এখন এইটা নিয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করছে।’

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সংস্কারের প্রশ্নে ব্যক্তি–দলের স্বার্থের চেয়ে দেশকে প্রাধান্য দিতে হবে: নুরুল হক

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক বলেছেন, আর কোনো শাসক যাতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পথ অনুসরণ করে নাগরিকদের নিপীড়নসহ দেশকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে না পারে, সে জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সংস্কার প্রশ্নে ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থের চেয়ে দেশকে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে।

আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে সংস্কার প্রশ্নে গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের শুরুতে নুরুল হক এসব কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার অংশ হিসেবে আজ গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

বৈঠকের শুরুতে নুরুল হক বলেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে গণ অধিকার পরিষদের আহ্বান থাকবে, যে সংস্কারগুলো আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঠিক হবে, সেগুলো যেকোনো মূল্যে এই সরকারের অধীনেই বাস্তবায়ন করতে হবে।

নুরুল হক বলেন, বিগত ১৬ বছরে দেশের স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত হয়ছিল। গণ অধিকার পরিষদ নবীন রাজনৈতিক দল হলেও ২০১৮ সাল থেকে তাঁরা মামলা, হামলা ও নির্যাতনের শিকার।

বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন ছিল ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের নতুন অধ্যায়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন হয়েছে।

সম্মিলিতভাবে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, তাঁদের লক্ষ্য দ্রুততম সময়ে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা।

সংস্কার প্রশ্নে সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, শুধু আলোচনার মধ্য দিয়েই সংস্কার বাস্তবায়ন হবে না। সবার একত্রিত থাকার তাগিদ সব সময় জারি রাখতে হবে।

ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান, সাবেক বিচারপতি এমদাদুল হক ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার।

আলোচনায় গণ অধিকার পরিষদের ১০ সদস্যদের প্রতিনিধিদল অংশ নিচ্ছে। নুরুল হক ছাড়া প্রতিনিধিদলে রয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, সিনিয়র সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র ফারুক হাসান, গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর সদস্য খালিদ হোসেন, হাবিবুর রহমান রিজু, সাকিব হোসেন, দপ্তর সম্পাদক শাকিলুজ্জামান, সহমানবাধিকার–বিষয়ক সম্পাদক ফাতেমা দিশা, যুব উইংয়ের সদস্য মুমতাজুল ইসলাম, গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্বেচ্ছাশ্রমে চট্টগ্রামে খাল খনন করছে বিএনপি
  • গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যের ওপর নির্ভর করবে সংলাপের সাফল্য: আলী রীয়াজ 
  • জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদ
  • সংস্কারের প্রশ্নে ব্যক্তি–দলের স্বার্থের চেয়ে দেশকে প্রাধান্য দিতে হবে: নুরুল হক