ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেছেন, ‘‘নারী সংস্কার কমিশন প্রধান উপদেষ্টার নিকট যে প্রস্তাবনা দাখিল করেছে তা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর চিন্তাচেতনা, বোধ-বিশ্বাস ও সভ্যতা-সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক। এ প্রস্তাব ইসলামের সাথে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। ইসলামের সাথে যুদ্ধ করতে আসলে নিজেরাই পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাবে।’’

রবিবার (২০ এপ্রিল) এক বিবৃ‌তি‌তে তি‌নি এসব কথা ব‌লেন।

ইমতিয়াজ আলম বলেন, ‘‘ইসলামসহ অন্যান্য ধর্মেও পতিতাবৃত্তি চরমভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর শাস্তির বিধানও কোরআনে স্পষ্ট বর্ণনা করা হয়েছে। ইসলামের পরিভাষায় যাকে জিনা আখ্যায়িত করা হয়েছে তাই হলো পতিতা বা বেশ্যাবৃত্তি। ইচ্ছায় অনিচ্ছাসহ যেভাবেই হোক না কেন তা কেবলই জিনা হিসেবে বিবেচিত হবে।’’

তিনি বলেন, ‘‘সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব শুধুই পচিমা সংস্কৃতির লিফলেট মাত্র। যা শুধু ইসলামেই না বরং তা আমাদের হাজার বছরের গৌরবময় ঐতিহ্যের সাথে সাংঘর্ষিক।’’ 

তিনি সংস্কার দেওয়া প্রস্তাবক ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ার উচ্চারণ করে বলেন, অবিলম্বে এ প্রস্তাব প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় দেশের মানুষ ফুঁসে ওঠলে পরিস্থিতি হবে অত্যন্ত ভয়াবহ।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রস ত ব ইসল ম র

এছাড়াও পড়ুন:

বিআইডব্লিউটিসির সব নৌযান ধূমপানমুক্ত করার ঘোষণা

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আওতাধীন ফেরীসহ সব নৌযান শতভাগ ধূমপানমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ও পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষায় ও শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মো. সলিম উল্লাহ্ এ ঘোষণা দেন। এছাড়া তিনি সঠিক কর্মপরিকল্পনা ও এটি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান।

বৃহস্পতিবার (২২ মে’২৫) বিআইডব্লিউটিসির সভা কক্ষে ঢাকা আহছানিয়া মিশন ও বিআইডব্লিউটিসির যৌথ আয়োজনে ‘শতভাগ ধূমপানমুক্ত নৌপরিবহন নিশ্চিতকরণে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এই ঘোষণা দেন।

আরো পড়ুন:

নৌবাহিনী প্রধান-মালদ্বীপ হাইকমিশনার সাক্ষাৎ

চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ নৌপথে ফেরি সার্ভিসের উদ্বোধন সোমবার

মো. সলিম উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব বেলায়েত হোসেন, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মাশরুখ আহমেদ, বিআইডাব্লিউটিসির মহাব্যবস্থাপক (প্রশাশন) জেসমিন আরা বেগম, কারিগরি পরিচালক কাজী ওয়াসিফ আহমাদ, নৌপুলিশের হেলাল উদ্দিন এবং ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের উপ-পরিচালক মোখলেছুর রহমান।  

মূল প্রবন্ধে ঢাকা আহছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী শরিফুল ইসলাম জানান, গ্লোবাল এডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে (গ্যাটস) ২০১৭ এর তথ্যমতে দেশে প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লাখ মানুষ তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার করে। এর মধ্যে ধূমপান করে ১ কোটি ৯২ লাখ মানুষ এবং প্রায় ৪ কোটি মানুষ ধূমপান না করেও পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে। পরোক্ষ ধূমপানের এই হার ৪২.৭ শতাংশ। এর মধ্যে গণপরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে ৪৪ শতাংশ। ফেরি ও যাত্রীবাহী জাহাজও এই গণপরিবহনের অন্তর্ভূক্ত, যেখানে প্রতিনিয়ত মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, ফেরিতে যত্রতত্র ধূমপানের চিত্র দেখতে পাওয়া যায়। যাত্রীরা ফেরির ক্যান্টিনে খেতে গিয়েও পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়। পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে সবাইকে রক্ষা করতে ফেরিসহ সব নৌযানকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

পাশাপাশি, বিআইডাব্লিউটিসির নৌযান ধূমপানমুক্ত রাখতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান ও ধূমপানমুক্ত সাইনেজ লাগানো এবং এর সব কার্যালয়কে শতভাগ ধূমপান ও স্মোকিং জোনমুক্ত রাখতে সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে বিআইডব্লিউটিসির অন্যান্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, নৌপরিহন মন্ত্রণালয়, বিআইডব্লিউটিএ, নৌ পুলিশের এবং বিভিন্ন তামাকবিরোধী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/হাসান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ