একটি জাতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ‘বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ ঢাবি উপাচার্যের' শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন‌। ওই সংবাদটি অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো ‘প্রকাশিত সংবাদ বিষয়ে ঢাবি কর্তৃপক্ষের বক্তব্য' শীর্ষক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একটি জাতীয় দৈনিকে রবিবার (২৭ এপ্রিল) প্রকাশিত ‘বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ ঢাবি উপাচার্যের’ শীর্ষক সংবাদের প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। সংবাদে পরীক্ষা ছাড়াই শূন্য পদে নিয়োগের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা অসত্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর।

আরো পড়ুন:

শেরে বাংলাকে ‘সুপার স্টার মুসলিম জাতীয়তাবাদী` ঘোষণা

‘শহীদ পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াচ্ছে না অন্তর্বর্তী সরকার’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে ২০২৪ সালের ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের পর উপাচার্যসহ প্রশাসনিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে পরিবর্তন আনা হয়। সে সময় উপাচার্য দফতরসহ বিভিন্ন দফতর থেকে ফ্যাসিস্ট সরকারের সহায়তাকারী ও পূর্বের প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলির জন্য শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জোর দাবি উঠে। এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ফ্যাসিস্ট সরকারের সহায়তাকারী এবং পূর্বের প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপাচার্য দফতর থেকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে।

পরবর্তীতে লোকবল সংকট, দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ততা ও কাজের দক্ষতা বিবেচনা করে উপাচার্যের বিভাগের কর্মচারী ফিরোজ শাহকে উপাচার্য দফতরে বদলি করা হয়েছে এবং তাকে প্রটোকলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ, ১৯৭৩ এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে উপাচার্য যেকোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে যেকোনো সময় যেকোনো বিভাগ/দপ্তর/ইনস্টিটিউটে বদলি/প্লেসমেন্ট দিতে পারেন উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ ক্ষমতাবলে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করেই ফিরোজ শাহকে উপাচার্য দফতরে বদলি করা হয়েছে। এটি কোন নতুন নিয়োগ বা পদোন্নতি নয়। একই বেতন স্কেলভুক্ত এক পদ থেকে অন্য পদে স্থানান্তর মাত্র। এ ধরনের অনেক পূর্ব নজির আছে। যেকোনো সময় তাকে উপাচার্য মহোদয়ের নিজ বিভাগে বা অন্যত্র পুনরায় বদলির সুযোগ রয়েছে।

সংবাদটি সত্যনিষ্ঠভাবে উপস্থাপন না হওয়ায় জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইসিকে নিশানা করে ‘অ্যাটম বোমা’ ফাটালেন রাহুল গান্ধী, এখনো বাকি ‘হাইড্রোজেন বোমা’

ভারতের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোটচুরির অভিযোগ এনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, এটা ‘অ্যাটম বোমা’। তবে আরও ভয়ংকর তথ্য তিনি পরে আনবেন, যা ‘হাইড্রোজেন বোমার সমতুল্য’।

আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আবার বিস্ফোরক অভিযোগ এনে রাহুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের মদদে কিছু লোক, সংস্থা ও কল সেন্টার সংগঠিতভাবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বেছে বেছে কংগ্রেস, দলিত, আদিবাসী ভোটারদের নাম বাদ দিচ্ছে।

আজ সংবাদ সম্মেলন করে রাহুল বলেন, নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে নকল আবেদন করে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।

‘অ্যাটম বোমা’ ফাটানোর দিন রাহুল কর্ণাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রের ‘ভোট চুরির’ নমুনা পেশ করেছিলেন। আজ তিনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন কর্ণাটকেরই আলন্দ কেন্দ্রকে।

রাহুলের অভিযোগ, নকল আবেদনের মাধ্যমে ওই কেন্দ্রের ৬ হাজার ১৮ জন ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। যেসব কেন্দ্রে কংগ্রেস শক্তিশালী, বেছে বেছে সেসব কেন্দ্রকেই নিশানা করা হয়েছে। ভুয়া ভোটারের নাম তোলার পাশাপাশি বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। এটা সংগঠিতভাবে করা হচ্ছে। কর্ণাটক পুলিশ সেই বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলেও নির্বাচন কমিশন কোনো তথ্য দিচ্ছে না।

রাহুলের অভিযোগ, যাঁদের নামে আবেদন জানানো হচ্ছে এবং যাঁদের নাম মোছার আরজি জানানো হচ্ছে, তাঁদের কেউ–ই তা জানতে পারছেন না। সংবাদ সম্মেলনে এই ধরনের কিছু মানুষকে রাহুল হাজিরও করান।

কিছু নম্বরও দাখিল করে রাহুল বলেন, এসব নম্বর থেকে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। তাঁর প্রশ্ন, ওই নম্বরগুলোয় ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ‘ওটিপি’ কীভাবে গেল?

কংগ্রেস নেতা বলেন, নির্দিষ্ট কিছু ঠিকানা থেকে নির্দিষ্ট ‘আইপি’ অ্যাড্রেস ব্যবহার করে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। অভিযোগ তদন্ত করে দেখতে কর্ণাটক পুলিশের গোয়েন্দারা ইসির কাছে কিছু তথ্য চেয়েছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জ্ঞানেশ কুমার কোনো তথ্যই দেননি। এতেই বোঝা যাচ্ছে, ইসি ভোটচোরদের আড়াল করছে।

রাহুল বলেন, কর্ণাটক সিআইডি ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে ইসিকে ১৮ বার চিঠি লিখেছে। অথচ একটি চিঠিরও জবাব ইসি দেয়নি। ইসিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাহুল বলেন, কমিশন স্বচ্ছ হলে এক সপ্তাহের মধ্যে কর্ণাটক সিআইডিকে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করুক।

রাহুল মহারাষ্ট্রের রাজুরা বিধানসভা আসনের ভোটার তালিকা তুলে ধরে বলেন, সেখানে অনলাইনে ৬ হাজার ৮৫০ জনের নাম অবৈধভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন রাজ্যে ভোটার তালিকায় এভাবে সংযোজন–বিয়োজন চলছে।

এর আগেও রাহুল নিশানা করেছিলেন সিইসি জ্ঞানেশ কুমারকে। আজও তিনি তাঁকে কাঠগড়ায় তোলেন। রাহুল বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ করার বদলে তিনি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেই চলেছেন। ভোট চুরি করাচ্ছেন। ভোটচোরদের রক্ষাও করছেন।

রাহুলের অভিযোগ এবারও খারিজ করে দিয়েছে ইসি। রাহুলের ডাকা সংবাদ সম্মেলনের পর আজ ইসি এক বিবৃতি দেয়। তাতে রাহুলের অভিযোগ ‘অসত্য ও ভিত্তিহীন’ জানিয়ে বলা হয়, অনলাইনে কেউ কোনো ভোটারের নাম বাদ দিতে পারেন না। নাম বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য শোনা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ