আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) কর্মরত অর্ধশতাধিক নির্মাণ-শ্রমিককে নিয়ে স্বাস্থ্য ক্যাম্পেইন ও তরমুজ উৎসবের আয়োজন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্যাম্পাসের ডায়না চত্বরে এটির আয়োজন করা হয়।

আয়োজনের শুরুতে নির্মাণ-শ্রমিকদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাদের মাঝে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান ও মৌসুমি ফল তরমুজ দিয়ে আপ্যায়ন করানো হয়। 

এসময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড.

নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান ও আইআইইআর এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, গোলাম রব্বানী, তানভীর মন্ডল, ইয়াসিরুল কবির সৌরভসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় শ্রমিকরা বড় ভূমিকা পালন করে। আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থানেও শ্রমিকদের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। অনেক শ্রমিক এই আন্দোলনে জীবন দিয়েছে। আহত শিক্ষার্থী-জনতাকে যতটুকু সম্ভব সাহায্য করেছে। তাদের এই অবদানকে তুলে ধরতে হবে। শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিতে আমরা সবসময় তাদের সাথে আছি। 

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, শ্রমিকদের ঘামে মিশে আছে আমাদের উন্নয়ন, আমাদের সুন্দর পৃথিবী। শ্রমিকদের কোনো শ্রেণিতে বিভক্ত না করে তাদের সাথে মানুষ হিসেবে আচরণ করতে হবে। পাশাপাশি  শ্রমিকদেরও তাদের অধিকার আদায়ে সচেতন হতে হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম দ বস

এছাড়াও পড়ুন:

ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।

কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।

এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।

অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।

একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।

যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুন্দরবনে দুবলার চরে রাস উৎসব শুরু আজ, এবারও নেই মেলার আয়োজন
  • শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
  • ‘মবের’ পিটুনিতে নিহত রূপলাল দাসের মেয়ের বিয়ে আজ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • ডাইনির সাজে শাবনূর!
  • প্রার্থনার সুরে শেষ হলো ‘ফাতেমা রানীর’ তীর্থোৎসব 
  • ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
  • টগি ফান ওয়ার্ল্ডে উদযাপিত হলো হ্যালোইন উৎসব
  • উদ্ভাবন–আনন্দে বিজ্ঞান উৎসব
  • নবীনদের নতুন চিন্তার ঝলক