মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ‘মানবিক করিডোর’ দেওয়া নিয়ে আলোচনার মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘ওইখানেই ফুলস্টপ দেন, আর এক পা-ও আগাবেন না।’

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাভারের আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার দেওয়ান ইদ্রিস উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে শ্রমিক অধিকার পরিষদের সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

নুর বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর ঝুঁকি তৈরি হয়, এমন কোনও সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারসহ কাউকেই নিতে দেওয়া হবে না। সরকারের প্রতি সমর্থন-ভালোবাসা থাকলেও সরকার যা ইচ্ছে তাই করবে, সেটা মেনে নেওয়া হবে না।’

শ্রমিক সমাবেশে বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী অ্যাডভোকেট শেখ শওকত হোসেন ফরহাদ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো.

রাশেদ খান বলেন, আমরা যদি নিজেদের মধ্যে বিবাদে জড়িয়ে পড়ি, তবে আওয়ামী লীগই সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে। জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে না পারলে আওয়ামী লীগ আবার ফিরে আসবে, আর ফিরে এলে কাউকে রেহাই দেবে না। সবাইকে কচুকাটা করবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন শিল্প কারখানার শ্রমিকরা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র ল হক ন র র খ ইন সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

গণঅধিকার পরিষদের নেতার বাড়িতে হামলা, সাবেক দুই এমপির নামে মামলা

গণঅধিকার পরিষদের নেতা আব্দুর রহিমের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও লুটপাটের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক দুই সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরী ও হাবিবে মিল্লাত মুন্নাসহ আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) ৫১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

বুধবার (৩০ জুলাই) সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে গণঅধিকার পরিষদের সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহিম বাদী হয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর বিকেলে আসামিরা সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রামগাতী গ্রামে আব্দুর রহিমের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও লুটপাট করে। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। পরে আব্দুর রহিমকে মারধর করে থানায় নেওয়া হয় এবং একটি মিথ্যা মামলায় আদালতে পাঠানো হয়। সে সময় ভয় ও রাজনৈতিক চাপে মামলা করা সম্ভব হয়নি।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন—সিরাজগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন প্রমুখ।

ঢাকা/অদিত্য/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পরিবেশ-প্রতিবেশ পুনরুদ্ধারে এখনই যা দরকার
  • গণঅধিকার পরিষদের নেতার বাড়িতে হামলা, সাবেক দুই এমপির নামে মামলা