ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ছাত্র শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় ‘প্রকৃত’ অপরাধীদের ধরতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম বেঁধে দিয়েছে বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। না হলে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

আজ রোববার দুপুর ১২টা দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমাবেশে এ সময় বেঁধে দেন সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান। ‘সাম্যের নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ, হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা এবং নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার দাবিতে' সাদা দল এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।

 মোর্শেদ হাসান খান বলেন, ‘৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ‘প্রকৃত’ হত্যাকারীকে বের করা না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাব। আমরা কারও ব্যক্তিস্বার্থে কাজ করবো না। সাম্য হত্যার মোটিভকে অন্যদিকে ডাইভার্ট করতে চাচ্ছে একটা গ্রুপ। আগে সাম্য হত্যার খুনিদের বিচার হবে। আমি প্রশাসনকে অনুরোধ করবো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক হত্যার ঘটনা ঘটেছে, আপনি সাম্য হত্যার বিচার থেকে শুরু করুন।’

তিনি আরও বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিটিংয়ে ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে আলটিমেটাম দিয়ে আসবেন, আমার সন্তান হত্যার বিচার চাই। সরকারের কাছে স্ট্যান্ড নেন, আমরা সরকারের কাছে বলবো; প্রকৃত হত্যাকারীকে ধরতে হবে। সাম্যকে হত্যা করা হয়েছে আজকে পাঁচদিন পূর্ণ হলো, এই পাঁচদিনে আমরা সো কল্ড আইওয়াশ এরেস্ট দেখেছি, আমরা এটা মানতে রাজি না। প্রকৃত হত্যাকারীকে ধরতে হবে।

মানববন্ধনে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, একজন শিক্ষকের কাছে ছাত্রের লাশ অত্যন্ত ভারী। ক্যাম্পাসে আমার ছাত্র দুবৃর্ত্তের ছুরিকাঘাতে মৃত্যুবরণ করছে, আমরা ক্যাম্পাসে নিরাপদে বিচরণ করতে পারছি না। ক্যাম্পাস নিরাপদ না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলবো, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা দিতে হবে। শুধু সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশাল ক্যাম্পাস কখন কে ঘাপ্টি মেরে থাকবে; আমরা জানি না। ক্যাম্পাসকে নিরাপদ করুন।

 

সাদা দলের সদস্যসচিব অধ্যাপক মহিউদ্দীনের সঞ্চালনায় মানবন্ধনে সাদা দলের সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ নাজমুল হোসাইন বক্তব্য দেন। এ সময় সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড.

আব্দুস সালাম ও অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকারসহ সাদা দলের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ম য হত য র হত য ক র প রক ত ন র পদ

এছাড়াও পড়ুন:

সংস্কারের আলোচনা থাকলেও বাস্তব প্রতিফলন নেই: জোনায়েদ সাকি

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়ার বাস্তব অগ্রগতি নেই বলে মন্তব্য করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেছেন, সংস্কারের আলোচনা ও প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও বাস্তবে এর কোনো প্রতিফলনই দেখা যাচ্ছে না। এখনও ঘুষ, দুর্নীতি, লুটপাট অব্যাহত রয়েছে। এখনও বৈষম্য ও শোষণ-বঞ্চনা চলছেই।

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মেরিনার্স কমিউনিটি আয়োজিত মানববন্ধনে জোনায়েদ সাকি এসব কথা বলেন। ভিসা সমস্যার সমাধান, বেকার ক্যাডেট এবং রেটিংসদের চাকরি নিশ্চিতকরণ এবং ডিপ্লোমাধারীদের সিডিসি প্রদানের অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বাতিলের ৫ দফা দাবিতে মেরিনারদের এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

জোনায়েদ সাকি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ও তার উপদেষ্টাদের কাছে জানতে চাই- এখনও ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাদের আস্তানা ধ্বংস করতে না পারলে ক্ষমতায় আছেন কেন? এসব অব্যাহত থাকলে তা হবে জুলাই আন্দোলনের শহীদদের রক্ত ও তাদের আকাঙ্খার প্রতি অবমাননা। মেরিনারদের পাঁচদফা দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে অনতিবিলম্বে এসব দাবি পূরণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

মানববন্ধনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, মেরিন ইঞ্জিনিয়াররা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করে দেশের জন্য রেমিটেন্সের পাশাপাশি সম্মানও বয়ে আনেন। দেশের মানুষের কাছে অন্তর্বর্তী সরকারের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। সরকার আন্তরিকভাবে চেষ্টা করলে মেরিনারদের দাবি পূরণ করতে পারে।

বাংলাদেশ মেরিনার্স কমিউনিটির মুখ্য সংগঠক ক্যাপ্টেন রেদওয়ান সিকদারের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের  সংগঠক দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী প্রীতি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক মোহাম্মদ উল্লাহ মধু, মেরিন ক্যাপ্টেন আতিক ইউ এ খান, মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মাসুদ রানা, ইঞ্জিনিয়ার গোলাম জিলানী, ইঞ্জিনিয়ার রইচ উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন সাজ্জাদ, চিফ অফিসার কায়কোবাদ, ইঞ্জিনিয়ার বজলুল রহমান প্রমুখ।

মেরিনারদের পাঁচদফা দাবি তুলে ধরে বক্তারা বলেন, বেকার মেরিন ক্যাডেট এবং রেটিংসদের চাকরি নিশ্চিত করতে দেশীয় পতাকাবাহী জাহাজে ক্যাডেট ও ফ্রেস রেটিং দ্বিগুণ করা হোক। ডিপ্লোমাধারীদের সিডিসি প্রদানের অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। ভিসা সমস্যার সমাধান ও বিদেশি চাকরির বাজারে প্রবেশাধিকার বাড়াতে হবে। নাবিক প্রশিক্ষণ ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সবধরনের অবৈধ লেনদেন বন্ধ করতে হবে। ভেনিজুয়েলাতে বন্দি ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমানকে অতিদ্রুত মুক্ত করে আনতে হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা না থাকলে ভোট বর্জনের হুঁশিয়ারি হিন্দু মহাজোটের
  • চালিতাবুনিয়ায় নদীভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে ঢাকায় মানববন্ধন
  • রূপগঞ্জে নিরাপদ সড়কের দাবিতে সেচ্ছাসেবীদের মানববন্ধন
  • শহরে হিন্দু মহাজোটের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ 
  • গাজীপুরে গার্মেন্টস শ্রমিক হত্যার বিচারের দাবিতে কিশোরগঞ্জে মানববন্ধন 
  • বিল্ডিংয়ের বাড়তি অংশ ভাঙার দাবিতে দক্ষিণখানে মানববন্ধন
  • রাজশাহীতে বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে বাতিলের দাবি
  • সংস্কারের আলোচনা থাকলেও বাস্তব প্রতিফলন নেই: জোনায়েদ সাকি
  • প্রবাসফেরত স্বামীর মৃত্যুর ঘটনায় স্ত্রীর বিচার দাবি
  • যশোরে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় এমপিওভুক্তের দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের মানববন্ধন