জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবাসনে সাক্ষাৎকার শুরু ১৪ জুন
Published: 1st, June 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত ‘মেধাবী’ প্রকল্পের আওতায় হলে আসন বরাদ্দের লক্ষ্যে ১৪ জুন সাক্ষাৎকার গ্রহণ শুরু হবে। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. শেখ গিয়াসউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত মেধাবী প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪০ শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। ১৪ জুন শুরু হয়ে তিন দিনব্যাপী তাঁদের সাক্ষাৎকার কার্যক্রম চলবে। আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার ক্রমিক নম্বর অনুযায়ী নিম্নোক্ত সময়সূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।
প্রথম ধাপে ১ থেকে ২০০ ক্রমিক পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে ১৪ জুন। দ্বিতীয় ধাপে ২০১ থেকে ৪০০ ক্রমিক পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হবে ১৫ জুন। তৃতীয় ধাপে ৪০১ থেকে ৫৪০ ক্রমিক পর্যন্ত আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হবে ১৬ জুন।
তিন দিনব্যাপী এ সাক্ষাৎকার কার্যক্রম প্রতিদিন সকাল ১০টায় শুরু হবে। আবেদনকারীদের নির্ধারিত দিন ও সময় অনুযায়ী উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ ছাড়া যেসব শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদন করেছেন, কিন্তু এখনো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে আবেদনপত্রের হার্ডকপি জমা দেননি, সাক্ষাৎকারে অংশ নিতে তাঁদের আবশ্যিক আবেদনপত্রের হার্ডকপি সঙ্গে আনতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হার্ডকপি ছাড়া কোনো আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হবে না। সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের পোর্ট কনটেইনার রোডে অবস্থিত মেধাবী প্রকল্প কার্যালয়ে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে নির্ধারিত তারিখগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে সাক্ষাৎকার কেন্দ্রে যাতায়াতের জন্য বাস সার্ভিস চালু থাকবে। সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে ও সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে দুটি বাস ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে যাবে।
গত ২০ মে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত মেধাবী প্রকল্পের আওতায় শিক্ষার্থীদের হলে আসন বরাদ্দে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত মেধাবী প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে ৫০০ ছাত্রের আবাসনের লক্ষ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের (১৯তম ব্যাচ, প্রথম বর্ষ) আগ্রহী ছাত্রদের ২৭ মের মধ্যে গুগল লিংক এবং সরাসরি আবেদন ফরমে আবেদন করতে বলা হয়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ন্যূনতম ঐকমত্যের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে সনদ করতে চাই: আলী রীয়াজ
দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের উদ্দেশ্য নিয়ে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘আমরা চাই এমন কিছু ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে, যেখানে সব রাজনৈতিক দল অন্তত ন্যূনতম পর্যায়ের ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারে এবং সেগুলো জুলাই সনদ করা যায়। সেটাই এই সংলাপের মূল উদ্দেশ্য।’
মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধিরা এতে অংশ গ্রহণ করেন।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘কিছু বিষয়ে হয়তো একমত হওয়া যাবে, তবে প্রত্যেক দলই তাদের নিজ নিজ অবস্থান, দলীয় ইশতেহার এবং রাজনৈতিক অভিপ্রায় ধরে রাখবে। তবে কোনো দল যদি অতিরিক্ত কিছু যুক্ত করতে চায়, তাদের সেই মতামত প্রকাশের সুযোগ থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় সনদে আমরা কেবলমাত্র সেসব প্রস্তাবই অন্তর্ভুক্ত করতে চাই, যেগুলোতে আপনাদের সম্মতি থাকবে। আমরা আলাদাভাবে প্রতিটি দলের সঙ্গে আলোচনা না করে সম্মিলিত সংলাপের পথ বেছে নিয়েছি, যাতে পারস্পরিক যুক্তি-বিশ্লেষণের মাধ্যমে অবস্থানে পরিবর্তন আসতে পারে। সেই বিবেচনায় একটি কাঠামো দাঁড় করাতে চাই আমরা।’
আলী রীয়াজ বলেন, ‘প্রতিটি বিষয়ে একমত হওয়া না গেলেও, আমাদের কিছু উপসংহার টানতেই হবে—বিশেষ করে সময়ের সীমাবদ্ধতার কথা মাথায় রেখে। আমাদের লক্ষ্য হলো জুলাই মাসের মধ্যে জাতীয় সনদটি চূড়ান্ত করা।’
তিনি বলেন, ‘‘সেই সনদে কোনো বিষয় অন্তর্ভুক্ত হবে আর কোনটি হবে না, সে সিদ্ধান্ত আমাদেরকেই নিতে হবে। যেসব প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত হবে না, সেগুলোকেও উল্লেখ করা হবে ‘আলোচিত হলেও ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি’—এই বিবেচনায়।”
আলী রীয়াজ বলেন, ‘আজকের আলোচনার এজেন্ডায় রয়েছে—সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, সংসদে নারীদের সংরক্ষিত আসন, স্থায়ী সংসদীয় কমিটি, সরকারের মেয়াদ এবং এসব ব্যবস্থাকে কীভাবে কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা যায়, সে বিষয়গুলো।’
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠক আরও উপস্থিত আছেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।
বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, এবি পার্টি, গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত আছেন।