জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত ‘মেধাবী’ প্রকল্পের আওতায় হলে আসন বরাদ্দের লক্ষ্যে ১৪ জুন সাক্ষাৎকার গ্রহণ শুরু হবে। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. শেখ গিয়াসউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত মেধাবী প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪০ শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। ১৪ জুন শুরু হয়ে তিন দিনব্যাপী তাঁদের সাক্ষাৎকার কার্যক্রম চলবে। আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার ক্রমিক নম্বর অনুযায়ী নিম্নোক্ত সময়সূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।

প্রথম ধাপে ১ থেকে ২০০ ক্রমিক পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে ১৪ জুন। দ্বিতীয় ধাপে ২০১ থেকে ৪০০ ক্রমিক পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হবে ১৫ জুন। তৃতীয় ধাপে ৪০১ থেকে ৫৪০ ক্রমিক পর্যন্ত আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হবে ১৬ জুন।

তিন দিনব্যাপী এ সাক্ষাৎকার কার্যক্রম প্রতিদিন সকাল ১০টায় শুরু হবে। আবেদনকারীদের নির্ধারিত দিন ও সময় অনুযায়ী উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এ ছাড়া যেসব শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদন করেছেন, কিন্তু এখনো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে আবেদনপত্রের হার্ডকপি জমা দেননি, সাক্ষাৎকারে অংশ নিতে তাঁদের আবশ্যিক আবেদনপত্রের হার্ডকপি সঙ্গে আনতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হার্ডকপি ছাড়া কোনো আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হবে না। সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের পোর্ট কনটেইনার রোডে অবস্থিত মেধাবী প্রকল্প কার্যালয়ে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে নির্ধারিত তারিখগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে সাক্ষাৎকার কেন্দ্রে যাতায়াতের জন্য বাস সার্ভিস চালু থাকবে। সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে ও সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে দুটি বাস ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে যাবে।

গত ২০ মে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত মেধাবী প্রকল্পের আওতায় শিক্ষার্থীদের হলে আসন বরাদ্দে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত মেধাবী প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে ৫০০ ছাত্রের আবাসনের লক্ষ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের (১৯তম ব্যাচ, প্রথম বর্ষ) আগ্রহী ছাত্রদের ২৭ মের মধ্যে গুগল লিংক এবং সরাসরি আবেদন ফরমে আবেদন করতে বলা হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রকল প ১৪ জ ন

এছাড়াও পড়ুন:

গেইল-পেরেরাদের পারিশ্রমিক, হোটেল বিল না দিয়েই লিগের আয়োজকেরা পালিয়েছেন

টুর্নামেন্টের নাম ইন্ডিয়ান হেভেনস প্রিমিয়ার লিগ বা আইএইচপিএল। ভূস্বর্গ খ্যাত কাশ্মীরে আয়োজিত টুর্নামেন্টটি ক্রিস গেইল, থিসারা পেরেরাদের জীবনে নিয়ে এসেছে মহা বিড়ম্বনা। বিশ্ব ক্রিকেটের নামি এই খেলোয়াড়দের হোটেলে রেখে শহর থেকে পালিয়ে গেছেন লিগের আয়োজকেরা। খেলোয়াড়, ম্যাচ কর্মকর্তাদের পারিশ্রমিক দেওয়া হয়নি, পরিশোধ করা হয়নি হোটেলের বিলও।

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে। গত ২৫ অক্টোবর আট দল নিয়ে শুরু হওয়া আইএইচপিএল শেষ হওয়ার কথা ছিল ৮ নভেম্বর। কিন্তু শনিবার সকালে খেলোয়াড়দের জানানো হয়, কারিগরি কারণে দিনের খেলা বাতিল করা হয়েছে। এরপর রোববার সকালে হোটেলে থাকা খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা জানতে পারেন, আয়োজকেরা আগের রাতে শ্রীনগর ছেড়ে চলে গেছেন।

হোটেল কর্তৃপক্ষ জানায়, আয়োজকদের কাছ থেকে তারা কোনো বিল পায়নি। সেই সময় প্রায় ৪০ জনের মতো খেলোয়াড় ও কর্মকর্তা হোটেলেই আটকা পড়েছিলেন।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) কর্মকর্তা মেলিসা জুনিপার আইএইচপিএলে আম্পায়ারিং করতে গিয়েছিলেন। শ্রীনগরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আয়োজকেরা হোটেল থেকে পালিয়ে গেছেন। তারা হোটেল, খেলোয়াড় বা আম্পায়ার কারও বিল পরিশোধ করেননি। আমরা হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমঝোতায় এসেছি যেন সবাই বেরিয়ে যেতে পারে।’

শ্রীনগরের যে হোটেলে খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের রাখা হয়েছিল, সেখানকার এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘আয়োজকেরা ১০ দিন আগে খেলোয়াড়দের জন্য ১৫০টি কক্ষ চেয়েছিলেন। তাঁরা বলেছিলেন, ক্রিস গেইলের মতো তারকার কারণে কাশ্মীরের পর্যটন উপকৃত হবে। কিন্তু রোববার সকালে দেখি তাঁরা উধাও হয়ে গেছেন। আমাদের বিলও দেননি। গেইলসহ কয়েকজন খেলোয়াড় শনিবারই হোটেল ছেড়ে চলে গেছেন।’

গেইল ছাড়াও টুর্নামেন্টে খেলতে গিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার থিসারা পেরেরা, নিউজিল্যান্ডের জেসি রাইডার, দক্ষিণ আফ্রিকার রিচার্ড লেভি এবং ওমানের আয়ান খান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টুর্নামেন্টের প্রচারণায় যে সব পোস্টার ব্যবহার করা হয়েছে, তার একটিতে বাংলাদেশের সাকিব আল হাসানের ছবিও বড় আকারে দেখা গেছে।

ভারতের সাবেক ক্রিকেটার পারভেজ রসুল এই টুর্নামেন্টে খেলেছিলেন। তিনি জানান, কয়েকজন বিদেশি খেলোয়াড় হোটেলে আটকা পড়েছিলেন। পরে ব্রিটিশ হাইকমিশনের সহায়তায় তাঁরা বেরিয়ে যান, ‘এক ইংলিশ আম্পায়ার হাইকমিশনে যোগাযোগ করেছিলেন’।

স্থানীয় এক ক্রিকেটার জানান, আয়োজকেরা সম্ভবত ধারণাই করতে পারেননি এমন একটি টুর্নামেন্ট চালাতে কত বড় বাজেট প্রয়োজন। শেষ মুহূর্তে স্পনসররা সরে যাওয়ায় অর্থ সংকট তৈরি হয়েছিল, ‘প্রথম দিন নির্ধারিত পোশাকও ছিল না, স্থানীয়ভাবে কিনে আনা হয়েছিল। কোনো খেলোয়াড়ের সঙ্গেও লিখিত চুক্তি করা হয়নি।’

টুর্নামেন্টটির আয়োজক ছিল যুবা সোসাইটি মোহালি নামের একটি সংস্থা। সহযোগিতায় ছিল জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর স্পোর্টস কাউন্সিল। কাউন্সিলের এক কর্মকর্তা জানান, আইএইচপিএল সভাপতি আশু দানি পুলিশের ছাড়পত্র ও মাঠ ব্যবহারের অনুমতি নিয়েছিলেন, ‘তারা আমাদের টাকা দিয়েছে। এখানে সরকারের সরাসরি সংশ্লিষ্টতা নেই। কেন লিগ মাঝপথে বন্ধ হয়ে গেল, আমরা জানি না।’

তবে ২২ অক্টোবরের একটি সরকারি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জম্মু ও কাশ্মীরের বিভাগীয় কমিশনার অংশুল গার্গের সভাপতিত্বে আইএইচপিএল নিয়ে এক প্রস্তুতি সভার কথা উল্লেখ ছিল, যেখানে অনুমান করা হয়েছিল বকশি স্টেডিয়ামে ২৫–৩০ হাজার দর্শক উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু বাস্তবে দর্শক উপস্থিতি ছিল হতাশাজনক। টিকিটের দাম কমিয়েও সাড়া মেলেনি।

এ ব্যাপারে বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁর মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

সম্পর্কিত নিবন্ধ