মাগুরার মোহাম্মদপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে লাল মোল্লা (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো একজন।

শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেলে মাগুরা-মোহাম্মদপুর সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত লাল মোল্লা উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের মৃত জলিল মোল্লার ছেলে ও পেশায় বাবুর্চি ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাবুর্চি কাজের জন্য বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে মাগুরার দিকে আসছিলেন লাল মোল্লা। ধলহারা এলাকায় এলে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে দুই মোটরসাইকেলের দুই আরোহী আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন:

নড়াইলে সড়ক দুর্ঘটনায় দম্পতি নিহত

মে মাসে ৫৯৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬১৪

মাগুরা রামনগর হাইওয়ে সড়কের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিদ্ধার্থ সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা/শাহীন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

হঠাৎ ওড়ার শক্তি হারায় উড়োজাহাজটি

ভারতের গুজরাট প্রদেশের রাজধানী আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজ (বোয়িং ৭৮৭-৮) বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। পর্যাপ্ত থ্রাস্ট (আকাশে ওঠার শক্তি) না পাওয়া, দুই ইঞ্জিনই বিকল হয়ে যাওয়া, ফুয়েল মিটারিং সিস্টেম বন্ধ হওয়া কিংবা বার্ড স্ট্রাইক (পাখির সঙ্গে সংঘর্ষ) মতো কারণগুলোকে সামনে রেখে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ভারতীয় তদন্তকারীদের সঙ্গে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞরাও যোগ দিয়েছেন। সহায়তা দেবে বোয়িংও। 

ভিডিও বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, উড়োজাহাজটি ৬২৫ ফুট উঁচুতে উঠে আর ওড়ার শক্তি পাচ্ছিল না। শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি এক্স পোস্টে লেখেন, ধ্বংসের দৃশ্যটি দুঃখজনক।     

শুক্রবার রয়টার্সকে দুটি পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থল থেকে একটি ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করা হয়েছে। পোস্টমর্টেম কক্ষের একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, পরিবার মুখ দেখে শনাক্ত করায় ছয়টি মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে ভারত সরকার এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ বিমান বহর বন্ধ রাখার কথা ভাবছে। অন্যদিকে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে বোমা আতঙ্ক দেখা দেওয়ায় জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়েছে একটি ফ্লাইট।

বিবিসির যাচাই করা ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানটি আবাসিক এলাকার ওপর দিয়ে খুব নিচু দিয়ে উড়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ প্রাপ্ত ফ্লাইট ডেটা অনুসারে, বিমানটি ৬২৫ ফুট (প্রায় ১৯০ মিটার) উচ্চতা পর্যন্ত উঠেছিল। এর পর বিমানটি ওড়ার শক্তি হারিয়ে ফেলে এবং ক্রমেই নিচে নেমে যায় ও বিস্ফোরণ ঘটে। বিমানটি আকাশে ছিল মাত্র ৩০ সেকেন্ড।

বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুপুর ১টা ৩৯ মিনিটে (স্থানীয় সময়) উড্ডয়ন করে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রাকালে ফ্লাইট এআই১৭১ গুজরাট বিমানবন্দরের কাছাকাছি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। তাতে ২৪২ জন যাত্রী ছিলেন। একজন বাদে বাকি সবারই মৃত্যু ঘটেছে। মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের ওপর আছড়ে পড়ায় ছয় শিক্ষার্থী মারা গেছেন। বিমানটি চালাচ্ছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সাবহারওয়াল ও কো-পাইলট ক্লাইভ কুন্ডার। বিমান চালনায় তাদের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। 

আকাশে ওড়ার আগে শেষ মুহূর্তে তোলা একটি ছবি শেষ স্মৃতি হয়ে রইল। বিমানে থাকা চিকিৎসক দম্পতি ও তাদের তিন শিশুর সেই সেলফি এখন সবার হৃদয়ে দাগ কেটেছে। ছবিতে দেখা যায়, ডা. প্রত্যুষ জোশী ও ডা. কৌমি ব্যাস প্লেনের এক পাশে পাশাপাশি বসে আছেন। অন্য পাশে বসা তাদের তিন সন্তান– আট বছরের মেয়ে মিরায়া আর পাঁচ বছরের যমজ দুই ছেলে নকুল ও প্রদ্যুৎ। শিশুদের চোখেমুখে প্লেনে চড়ার আনন্দ, বাবার ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হাসির চেষ্টা করছে তারা। কিন্তু কে জানত, এই ছবিই হয়ে উঠবে পরিবারটির শেষ ছবি।


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইরানের
  • ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে যাওয়া ঘোষণা ইরানের
  • ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে নিহত ৪, আহত ৭০-এর বেশি
  • ইসরায়েলে ইরানের হামলায় নিহত ৩, আহত ৬৩
  • ইসরায়েলে ইরানের হামলায় নিহত ১, আহত ৬৩
  • ইসরায়েলে ইরানের হামলায় আহত ৬৩ নিহত ১, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু
  • ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আহত ৬৩, নিহত ১ 
  • রক্ত দিলে মানবিক অনুভূতি জেগে ওঠে
  • বন্দরে মসজিদের ঈমামকে মুসল্লিদের রাজকীয় বিদায় 
  • হঠাৎ ওড়ার শক্তি হারায় উড়োজাহাজটি