নরসিংদীর পাঁচদোনা-ঘোড়াশাল আঞ্চলিক সড়কে বাস, মাইক্রোবাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে তৃষা (১২) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ১০ থেকে ১২ জন।
রবিবার (১৫ জুন) দুপুরে ওই সড়কের চাকশাল মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত তৃষা জেলার রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ী এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে। সে অটোরিকশার যাত্রী ছিল।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যাতায়াত পরিবহনের একটি বাস চাকশাল মোড়ে পৌঁছালে বিপরীতে দিক থেকে আসা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দিয়ে অপর একটি মাইক্রোবাসের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে অটোরিকশায় থাকা তৃষা নামের এক শিশু ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আহত হন অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসের ১০ থেকে ১২ জন জন যাত্রী। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যান।
আরো পড়ুন:
পঞ্চগড়ে ভ্যান-নসিমন সংঘর্ষে নিহত ১
পটুয়াখালীতে বাসের ধাক্কায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু
মাধবদী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জুয়েল রানা বলেন, ‘‘তিন গাড়ির সংঘর্ষে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে, চালক পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’
ঢাকা/হৃদয়/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫
টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।
আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।
এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।
রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।