মেলায় দেশি-বিদেশি দেড় শ প্রজাতির ফল
Published: 19th, June 2025 GMT
মিয়াজাকি, কিং অব ব্রুনাই, চাকাপাতসহ ৫০টির বেশি জাতের আম, জামরুল, করমচা, ডেউয়া, কাঁঠাল, খেজুর, কদবেল, বাতাবি লেবু, তরমুজ, নারকেলসহ নানা জাতের দেশি-বিদেশি ফলের প্রদর্শনী চলছে নওগাঁয়। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় চত্বরে আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া ফলমেলা শেষ হবে আগামী শনিবার। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মেলা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
আজ সকাল ১০টার দিকে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁ জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ। এ সময় অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইবনুল আবেদিন উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় ফলমেলার এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়—‘দেশি ফল বেশি খাই, আসুন ফলের গাছ লাগাই’। তিন দিনের এই ফলমেলায় প্রদর্শিত হচ্ছে প্রায় দেড় শ প্রজাতির দেশি-বিদেশি ফল। মেলায় আসা দর্শনার্থীরা বিভিন্ন ফলের সঙ্গে পরিচিত হওয়া ছাড়াও ফল চাষের পদ্ধতি ও প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পারছেন।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ফলের মাধ্যমে বৈচিত্র্যময় হোক মানুষের খাদ্যাভ্যাস। ফল খেলে মানবদেহে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের চাহিদা পূরণ হয়। নিয়মিত ফল খেলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সবার উচিত নিয়ম করে প্রতি ঋতুতে মৌসুমি ফল খাওয়া। মানুষকে ফল চাষে উদ্বুদ্ধ করতে ও ফল খেতে আগ্রহী করতে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে।’
বেসরকারি চাকরিজীবী আবদুর রউফ তাঁর দুই মেয়েকে নিয়ে এই মেলায় আসেন। তিনি বলেন, ‘আমার ইচ্ছে ছিল এ রকম একটি ফলমেলায় মেয়েদের নিয়ে আসার। এখানে এসে নানা জাতের ফল দেখে ওরা ভীষণ খুশি হয়েছে। অনেক ফল দেখেছে, যা জীবনে ওরা প্রথম দেখল। আমি নিজেও অনেক ফল দেখলাম, যেগুলো আগে দেখিনি।’ আবদুর রউফের পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে সাদিয়া আক্তার বলে, ‘দেড় কেজি ওজনের আম দেখলাম। সেই আমের নাম কিং অব চাকাপাত। এত বড় আম কোনো দিন দেখিনি।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফলম ল
এছাড়াও পড়ুন:
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে হঠাৎ দুদকের অভিযান
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রধান কার্যালয়ে আজ রোববার হঠাৎ অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইপিবির আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন মেলায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে ডলারে ঘুষ নিয়েছেন সংস্থাটির এক উপপরিচালক, এমন অভিযোগে ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোয় ‘ডলারে ঘুষ নেন ইপিবির এক কর্মকর্তা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ঘটনা তদন্ত করতে এরপর তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে ইপিবি। কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা ওঠে আসে।
তবে এক বছরের বেশি সময় পার হলেও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি ইপিবি। দুদক সম্প্রতি এ বিষয়ে অনুসন্ধান করার জন্য একটি দল গঠন করে এবং ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ আমলে নিয়েই দুদক আজ অভিযান পরিচালনা করেছে বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের এক উপপরিচালকের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ ছিল। এ অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই দুদকের তিন সদস্যের একটি দল আমাদের কার্যালয়ে আসে। আমরা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করেছি। বিষয়টি অনুসন্ধান পর্যায়ে আছে।’
ইপিবি গঠিত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইপিবির অনুমোদন ছাড়া ১৪টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জামানত বাবদ ১৫০ ডলার করে নেওয়া ঠিক হয়নি।’ আরও বলা হয়, চীনের কুনমিংয়ে ২০২৩ সালের আগস্টে অনুষ্ঠিত একটি মেলায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে জামানত নেওয়া হয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া।
দুদকের সূত্রগুলো বলছে, ২০১৭ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পরিমাণের পে–অর্ডার দিয়েছেন মেলায় অংশগ্রহণকারীরা, ইপিবির এক উপপরিচালক আত্মসাতের উদ্দেশ্যে এত দিন সেগুলো নিজের জিম্মায় রেখে দিয়েছিলেন। দুদক সরেজমিন ইপিবি কার্যালয়ে এসে পে-অর্ডারগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করেছে, তবে কিছু উদ্ধার হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।