ভারী বৃষ্টির কারণে বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ভোরে সাজেক-বাঘাইহাট সড়কের তিনটি স্থানে পাহাড়ধস হয়। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হওয়ায় চার শতাধিক পর্যটক সাজেকে আটকা পড়েন। প্রায় নয় ঘণ্টা পর বিকেল ৩টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় সাজেকে আটকে পড়া পর্যটকদের বহনকারী গাড়িগুলো নিরাপদ স্থানে ফিরতে শুরু করেছে। 

বাঘাইছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরীন আক্তার জানিয়েছেন, দিঘিনালা ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী ও বাঘাইছড়ি উপজেলা প্রশাসন সড়কে ধসে পড়া মাটি সরানোর পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। আটকে পড়া পর্যটকদের বহনকারী গাড়িগুলো যাত্রা শুরু করেছে। 

সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা জানিয়েছেন, বুধবার রাতভর ভারী বৃষ্টির কারণে সাজেক-বাঘাইহাট সড়কের তিনটি স্থানে পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ে। এর পাশাপাশি বড় বড় পাথর ও গাছ উপড়ে পড়ায় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়েছিল।

আরো পড়ুন:

ভারী বৃষ্টিতে পাহাড়ধস, সাজেকে আটকা চার শতাধিক পর্যটক 

পাহাড় ধসে মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কে যান চলাচল বন্ধ

রিসোর্ট অ্যান্ড কটেজ অ্যাসোসিয়েশন অব সাজেকের সভাপতি সুপর্ণ দেব বর্মণ জানিয়েছেন, আটকে পড়া পর্যটকরা নিরাপদে ফিরে গেছেন। এখন পর্যটকরা আসতে ও যেতে পারবেন, কোনো সমস্যা নাই।

ঢাকা/শংকর/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প হ ড় ধস পর যটক

এছাড়াও পড়ুন:

লিফট ও এস্কেলেটর: নিরাপত্তা সবার আগে

জনগণের চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশে পর্যাপ্ত আবাসনের জায়গা না থাকায় শহরের ভবনগুলো পাল্লা দিয়ে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। আবাসিক ভবনের পাশাপাশি অফিস, মার্কেট, হোটেল, হাসপাতাল—এমনকি অনেক কারখানাও এখন বহুতল ভবন হিসেবে নির্মিত হচ্ছে। চলাচল সহজ করার জন্য এসব ভবনে লিফট, এস্কেলেটর ও মুভিং ওয়াক ব্যবহার করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি) ২০২০ অনুযায়ী, ৬ তলা বা ২০ মিটার উচ্চতার যেকোনো ভবনে লিফট স্থাপন বাধ্যতামূলক। ভবন ১৫ মিটারের চেয়ে উঁচু হলে সেখানে অন্তত একটি ফায়ার লিফট (ন্যূনতম আটজন যাত্রী বহনক্ষম) থাকা বাধ্যতামূলক। যদিও এই বিধি বাস্তবে কতটা মানা হয়, তা প্রশ্নসাপেক্ষ। ভবন ১০ তলা বা ৩২ মিটারের বেশি উচ্চতা হলে সেখানে একটি স্ট্রেচার বহনক্ষম লিফট থাকতে হবে। হাসপাতাল ভবন যদি দোতলা বা তার বেশি হয়, সে ক্ষেত্রেও এ ধরনের লিফট আবশ্যক।

লিফট ও এস্কেলেটর একটি স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র, যার অনেক যন্ত্রাংশ আমাদের দৃষ্টির বাইরে থাকে। যন্ত্র ব্যবহারে একদিকে যেমন সুবিধা রয়েছে, তেমনই কিছু ঝুঁকিও থেকে যায়। এই অসুবিধাগুলো সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে ভোগান্তি ও বিপদের আশঙ্কা বাড়ে।

মো. হাসমতুজ্জামান প্রকৌশলী ও বিল্ডিং সার্ভিসেস বিশেষজ্ঞ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে নিহত ৩ জন পেহেলগামের হামলাকারী: পার্লামেন্টে অমিত শাহ
  • লিফট ও এস্কেলেটর: নিরাপত্তা সবার আগে