জবিতে বাংলাদেশ তরুণ লেখক ফোরামের সপ্তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
Published: 24th, July 2025 GMT
‘সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হোক লেখনীর ধারায়’ স্লোগানকে ধারণ করে বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের সপ্তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) এ উপলক্ষে আয়োজিত র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে বিজ্ঞান ভবন ও সমাজবিজ্ঞান ভবন প্রদক্ষিণ করে রফিক ভবনের সামনে এসে কেক কাটার মধ্য দিয়ে শেষ হয়। এতে সংগঠনের বর্তমান ও সাবেক নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘শুভদিন তরুণ কলামের জন্মদিন’, ‘সপ্ত বছরে পদার্পণ’, ‘দেশপ্রেম নির্ভীক, জগন্নাথের কলাম সৈনিক’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
আরো পড়ুন:
খুবিতে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতাবিষয়ক সেমিনার
রাবিতে ‘জুলাই-২৪ কর্নার’ উদ্বোধন
জবি শাখার সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম বলেন, “এই ফোরামের হাত ধরে শত শত তরুণের সুপ্ত প্রতিভা জেগে উঠছে। দেশের ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যুক্ত হয়েছে, যারা কলমের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে। আমাদের স্বপ্ন—একদিন এই সংগঠন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়বে বিশ্বজুড়ে, আর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নেতৃত্বে থাকবে।”
সভাপতি আব্দুল কাদের নাগিব বলেন, “বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম শুধু একটি সংগঠন নয়; এটি তরুণদের অন্তরে দেশ ও মানবতার ভালোবাসা জাগিয়ে তোলে। লেখার মাধ্যমে সত্য তুলে ধরার সাহস শেখায়। আমরা গর্বিত এমন একটি সৃজনশীল সংগঠনের অংশ হতে পেরে।”
‘সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হোক লেখনীর ধারায়’ প্রতিপাদ্যে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের যাত্রা শুরু হয়। তরুণ লেখকদের পরামর্শ প্রদান, পত্রিকায় লেখা প্রকাশে সহযোগিতা করা এবং লেখালেখি বিষয়ক সভা, সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন করে থাকে সংগঠনটি।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল দ শ তর ণ স গঠন
এছাড়াও পড়ুন:
গেইল-পেরেরাদের পারিশ্রমিক, হোটেল বিল না দিয়েই লিগের আয়োজকেরা পালিয়েছেন
টুর্নামেন্টের নাম ইন্ডিয়ান হেভেনস প্রিমিয়ার লিগ বা আইএইচপিএল। ভূস্বর্গ খ্যাত কাশ্মীরে আয়োজিত টুর্নামেন্টটি ক্রিস গেইল, থিসারা পেরেরাদের জীবনে নিয়ে এসেছে মহা বিড়ম্বনা। বিশ্ব ক্রিকেটের নামি এই খেলোয়াড়দের হোটেলে রেখে শহর থেকে পালিয়ে গেছেন লিগের আয়োজকেরা। খেলোয়াড়, ম্যাচ কর্মকর্তাদের পারিশ্রমিক দেওয়া হয়নি, পরিশোধ করা হয়নি হোটেলের বিলও।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে। গত ২৫ অক্টোবর আট দল নিয়ে শুরু হওয়া আইএইচপিএল শেষ হওয়ার কথা ছিল ৮ নভেম্বর। কিন্তু শনিবার সকালে খেলোয়াড়দের জানানো হয়, কারিগরি কারণে দিনের খেলা বাতিল করা হয়েছে। এরপর রোববার সকালে হোটেলে থাকা খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা জানতে পারেন, আয়োজকেরা আগের রাতে শ্রীনগর ছেড়ে চলে গেছেন।
হোটেল কর্তৃপক্ষ জানায়, আয়োজকদের কাছ থেকে তারা কোনো বিল পায়নি। সেই সময় প্রায় ৪০ জনের মতো খেলোয়াড় ও কর্মকর্তা হোটেলেই আটকা পড়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) কর্মকর্তা মেলিসা জুনিপার আইএইচপিএলে আম্পায়ারিং করতে গিয়েছিলেন। শ্রীনগরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আয়োজকেরা হোটেল থেকে পালিয়ে গেছেন। তারা হোটেল, খেলোয়াড় বা আম্পায়ার কারও বিল পরিশোধ করেননি। আমরা হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমঝোতায় এসেছি যেন সবাই বেরিয়ে যেতে পারে।’
শ্রীনগরের যে হোটেলে খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের রাখা হয়েছিল, সেখানকার এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘আয়োজকেরা ১০ দিন আগে খেলোয়াড়দের জন্য ১৫০টি কক্ষ চেয়েছিলেন। তাঁরা বলেছিলেন, ক্রিস গেইলের মতো তারকার কারণে কাশ্মীরের পর্যটন উপকৃত হবে। কিন্তু রোববার সকালে দেখি তাঁরা উধাও হয়ে গেছেন। আমাদের বিলও দেননি। গেইলসহ কয়েকজন খেলোয়াড় শনিবারই হোটেল ছেড়ে চলে গেছেন।’
গেইল ছাড়াও টুর্নামেন্টে খেলতে গিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার থিসারা পেরেরা, নিউজিল্যান্ডের জেসি রাইডার, দক্ষিণ আফ্রিকার রিচার্ড লেভি এবং ওমানের আয়ান খান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টুর্নামেন্টের প্রচারণায় যে সব পোস্টার ব্যবহার করা হয়েছে, তার একটিতে বাংলাদেশের সাকিব আল হাসানের ছবিও বড় আকারে দেখা গেছে।
ভারতের সাবেক ক্রিকেটার পারভেজ রসুল এই টুর্নামেন্টে খেলেছিলেন। তিনি জানান, কয়েকজন বিদেশি খেলোয়াড় হোটেলে আটকা পড়েছিলেন। পরে ব্রিটিশ হাইকমিশনের সহায়তায় তাঁরা বেরিয়ে যান, ‘এক ইংলিশ আম্পায়ার হাইকমিশনে যোগাযোগ করেছিলেন’।
স্থানীয় এক ক্রিকেটার জানান, আয়োজকেরা সম্ভবত ধারণাই করতে পারেননি এমন একটি টুর্নামেন্ট চালাতে কত বড় বাজেট প্রয়োজন। শেষ মুহূর্তে স্পনসররা সরে যাওয়ায় অর্থ সংকট তৈরি হয়েছিল, ‘প্রথম দিন নির্ধারিত পোশাকও ছিল না, স্থানীয়ভাবে কিনে আনা হয়েছিল। কোনো খেলোয়াড়ের সঙ্গেও লিখিত চুক্তি করা হয়নি।’
টুর্নামেন্টটির আয়োজক ছিল যুবা সোসাইটি মোহালি নামের একটি সংস্থা। সহযোগিতায় ছিল জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর স্পোর্টস কাউন্সিল। কাউন্সিলের এক কর্মকর্তা জানান, আইএইচপিএল সভাপতি আশু দানি পুলিশের ছাড়পত্র ও মাঠ ব্যবহারের অনুমতি নিয়েছিলেন, ‘তারা আমাদের টাকা দিয়েছে। এখানে সরকারের সরাসরি সংশ্লিষ্টতা নেই। কেন লিগ মাঝপথে বন্ধ হয়ে গেল, আমরা জানি না।’
তবে ২২ অক্টোবরের একটি সরকারি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জম্মু ও কাশ্মীরের বিভাগীয় কমিশনার অংশুল গার্গের সভাপতিত্বে আইএইচপিএল নিয়ে এক প্রস্তুতি সভার কথা উল্লেখ ছিল, যেখানে অনুমান করা হয়েছিল বকশি স্টেডিয়ামে ২৫–৩০ হাজার দর্শক উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু বাস্তবে দর্শক উপস্থিতি ছিল হতাশাজনক। টিকিটের দাম কমিয়েও সাড়া মেলেনি।
এ ব্যাপারে বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁর মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।