ইউআইইউতে শহীদ ইরফান স্মরণে দোয়া মাহফিল
Published: 26th, July 2025 GMT
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ইউআইইউ) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ইরফান ভূঁইয়াসহ সব শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শহীদ ইরফান ভূঁইয়া ইউআইইউ এর শিক্ষার্থী ছিলেন।
শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুর আড়াইটায় ইউআইইউ অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ইউআইইউর উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এএসএম সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্ব জুলাই স্মরণ আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার ডা.
অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন, বিবিএ প্রোগ্রামের পরিচালক অধ্যাপক ড. সালমা করিম এবং সিএসই বিভাগের প্রধান ড. সুমন আহম্মেদ। এছাড়া জুলাই ২০২৪ গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন শহীদ ইরফান ভূঁইয়ার পিতা আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানে বক্তারা গণঅভ্যুত্থানের তাৎপর্য, সংগ্রামীদের আত্মত্যাগ এবং স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এ আন্দোলনের অবদান নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনা অনুষ্ঠানে ২০২৪-এর জুলাই স্মরণে একটি ভিডিও ডকুমেন্টরি প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনা শেষে ২০২৪ গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় একটি দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ইউআইইউ কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শহীদ ইরফান ভূঁইয়াসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে দোয়া করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তাসহ অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন স মরণ
এছাড়াও পড়ুন:
হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স।
গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’
পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।
আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’
তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ