খেলার মাঠে মার্কেট করছে কাটাখালী পৌরসভা, প্রতিবাদে মানববন্ধন
Published: 4th, August 2025 GMT
এলাকায় একটিই খেলার মাঠ। পাশে দুইটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সেই মাঠেই খেলাধুলা করতেন শিক্ষার্থী এবং এলাকার তরুণরা। এখন খেলার মাঠে নির্মাণ করা হচ্ছে মার্কেট। এতে খেলাধুলার স্থান হারিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে রাস্তায় নেমে মার্কেট নির্মাণের প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার কাপাশিয়া এলাকার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
যাদের জন্য এই মার্কেট করা হচ্ছে, সেই ব্যবসায়ীরাও এসেছিলেন আন্দোলনকারীদের কাতারে। সবাই প্রতিবাদ করেছেন এমন সিদ্ধান্তের।
কাপাশিয়া এলাকায় কাটাখালী পৌরসভা এলাকাবাসীর আপত্তি উপেক্ষা করে সম্প্রতি মার্কেট নির্মাণের কাজও শুরু করে। পরে অবশ্য বাঁধার মুখে কাজ থেমে গেছে। পৌরসভার পরিকল্পনা অনুযায়ী, আপাতত একতলা হবে মার্কেটটি। পরবর্তীতে চারতলা পর্যন্ত সম্প্রসারণ হবে। থাকবে কমিউনিটি সেন্টারও।
আরো পড়ুন:
ঝালকাঠিতে কর্দমাক্ত রাস্তায় কচুগাছ লাগিয়ে প্রতিবাদ
চাটমোহরে সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন
এই মাঠটিতে একসময় সপ্তাহের দুইদিন পশুর হাট বসত। কয়েক বছর ধরে শুধু কোরবানির আগে পশুহাট বসত। ফাঁকা মাঠে সারাবছর খেলাধুলা চলত। এখন সব বন্ধ আছে।
সোমবার (৪ আগস্ট) সকাল ১১টায় কাপাশিয়া বাজারে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের পাশে মানববন্ধনের আয়োজন করে ‘কাপাশিয়ার সর্বস্তরের জনগণ’। এতে কাপাশিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এবং মহানগর বিজনেস অ্যান্ড টেকনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা অংশ নেন। কাপাশিয়া বাজারের ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষও অংশ নেন কর্মসূচিতে।
মানববন্ধানে জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব আকুল হোসেন মিঠু বলেন, “আমাদের এলাকায় আর একটাও খেলার মাঠ নেই। আমরা খেলার মাঠ হত্যা করে মার্কেট চাই না। কাপাশিয়া হাটের পাশেই সরকারি জায়গা আছে। সেখানে মার্কেট করা হোক। আমরা আমাদের সন্তানদের জন্য খেলার মাঠ উন্মুক্ত চাই। এই মাঠ আমরা কোনোভাবেই নষ্ট হতে দেব না।”
কাপাশিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.
মহানগর বিজনেস অ্যান্ড টেকনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ মকছেদ আলী বলেন, “একে একে সব খেলার মাঠ শেষ করে দেওয়া হয়েছে। এলাকার একমাত্র এই খেলার মাঠ আমরা হারিয়ে যেতে দেব না। এজন্য যা যা করা দরকার আমরা সবাই মিলে তাই করব।”
কাপাশিয়া বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুব ইসলাম বলেন, “বাজার ছেড়ে স্কুলের পাশে গিয়ে খেলার মাঠে মার্কেট করা হচ্ছে। সেখানে মার্কেট হলেও কেউ যাবে না। ব্যবসায়ীদের লাভ হবে না। আবার খেলার মাঠটিও হারিয়ে যাচ্ছে। কার সিদ্ধান্তে কেন সেখানে মার্কেট করা হচ্ছে আমরা জানি না। অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে।”
স্থানীয় সমাজসেবক জিল্লুর রহমানের পরিচালনায় ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন- পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম, ব্যবসায়ী রাজন ইসলাম।
কাটাখালী পৌরসভার সচিব সিরাজুম মুনীর বলেন, “আমার জানা মতে, এখন সেখানে কাজ বন্ধ আছে বাধার কারণেই। কাজ শুরুর আগেও বাধা এসেছিল। সে সময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এলাকার লোকজনকে নিয়ে বসা হয়েছিল। তারপরই কাজ শুরু হয়। এখন আবার জটিলতা শুরু হয়েছে। একজন সাধারণ কর্মচারী হিসেবে আমার কিছু করার সুযোগ নেই।”
কাটাখালী পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহিদ হাসান। এলাকাবাসীর বাধা উপেক্ষা করে মার্কেট করা সম্ভব কি না, এ প্রশ্নে তিনি বলেন, “লোকজন বিপক্ষে না। কারা বিপক্ষে?”
মানববন্ধনের কথা শুনে তিনি বলেন, “কাজ অনেকখানি হয়েছে। তারপর কাজটা কয়েকজন ব্যক্তির জন্য বন্ধ আছে। এটা সরকারি কাজ। লোকজন করতে দেবে না, এটা তো জানি না। বরং, মার্কেট নির্মাণের জন্য কয়েকজন আবেদনও করেছিলেন। কারা মানববন্ধন করেছেন, আমরা খোঁজখবর নেব।”
ঢাকা/কেয়া/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম র ক ট কর ম নববন ধ ব যবস য় প রসভ র র জন য এল ক র
এছাড়াও পড়ুন:
সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার ও ২১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার, নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন, দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন, চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের পুনর্বহাল এবং পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ২১ দফা দাবিতে শহরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিক ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিক ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জের সভাপতি আবু সাউদ মাসুদের সভাপতিত্বে এবং একেএম মাহফুজুর রহমানের সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিউ নেশন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক এ আর ফররুখ আহমেদ খসরু, ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মো: মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক মনির হোসেন, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের রূপগঞ্জ প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম হানিফ, দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন পত্রিকার সাংবাদিক উজ্জল হোসেন মাসুম, দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মেহবুব মিয়া, দৈনিক পূর্বাভাস পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি, দৈনিক দেশ পত্রিকার সাংবাদিক মোখলেসুর রহমান তোতাসহ প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, ‘নো ওয়েজ বোর্ড, নো মিডিয়া’ নীতি কার্য্যকর, সাংবাদিকদের বেতন সর্বনিম্ন ৩৫ হাজার টাকা নির্ধারণ, প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন ও দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন, সাংবাদিক সুরক্ষা নীতিমালা প্রনয়ন, সাংবাদিকদের সাপ্তাহিক ছুটি ২দিন নির্ধারণ, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনীসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার, গনমাধ্যমের স্বাধীনতা বিরোধী সকল কালাকানুন বাতিল, আইন অনুযায়ী সাংবাদিকদের ন্যায্যা পাওনা আদায়ের জন্য পৃথক শ্রম আদালত স্থাপন সহ ২১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ আমরা মানববন্ধন করছি।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের আহ্বান অনতিবিলম্ভে আমাদের এসব দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি এম আর কালাম, নাহিদ আজাদ, বাংলাদেশ নিউজের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ইমতিয়াজ আহমেদ, নিউজ টুয়েন্টিফোর টেলিভিশনের নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি শরিফ সুমন, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি মোশতাক আহমেদ, বাংলাদেশের খবর পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি আল আমিন, দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি সাব্বির হোসেন, মানব জমিনের ফতুল্লা প্রতিনিধি আবু সাঈদ পাটুয়ারী রাসেল, মুসলিম টাইমসের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি সাইফুল্লাহ খালিদ রাসেল, চ্যানেল এস এর সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন মুল্লা, দৈনিক সংগ্রামের সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি ইখতিয়ার রাহয়ান, সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম আরজু, এস এম জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ, সম্রাট প্রমুখ।