জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অর্জিত গণতন্ত্র রক্ষায় সর্বদা সোচ্চার থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ কো–চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তাঁরা বলেছেন, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান কোনো দলীয় নয়, এটি জাতীয় বিবেকের জাগরণ। এটি কেবল সরকারের পতন নয়, এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অধিকার নিশ্চিত করার সংগ্রাম।

৫ আগস্ট ঐতিহাসিক ছাত্র-গণ অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আজ সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে দলের এ দুই জ্যেষ্ঠ নেতা এ কথা বলেন।

বিবৃতিতে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মুজিবুল হক বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, গণ-অভ্যুত্থানের এই চেতনা অটুট থাকবে, এই সংগ্রাম সফল হবে এবং এই বাংলাদেশ একদিন পল্লিবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বপ্নের মতো সত্যিকার অর্থে একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্রে পরিণত হবে।’

বিবৃতিতে নেতারা আরও বলেন, ৫ আগস্ট ইতিহাসের সেই গৌরবময় দিন, যেদিন বাংলাদেশের সাহসী ছাত্রসমাজ, সাধারণ মানুষ, শিল্পী-সাহিত্যিক, আইনজীবী, প্রবাসী এবং সর্বস্তরের মানুষ একতাবদ্ধ হয়ে অন্যায়, দুর্নীতি, দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান শেখ হাসিনার দীর্ঘকালীন কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান ঘটিয়েছিল, তা এক নতুন যুগের সূচনা করেছিল। এটি ছিল বাংলাদেশের মানুষের জাগরণের দিন, এটি ছিল নতুন আশার শপথের দিন। জাতীয় পার্টি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, এই গণ-অভ্যুত্থান ছিল একটি স্বতঃস্ফূর্ত ও ন্যায়ভিত্তিক বিপ্লব, যেখানে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও সাংবিধানিক অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য ছাত্র-জনতা রক্তে ও ঘামে ইতিহাস লিখেছেন।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মুজিবুল হক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি সেই সব শহীদকে, যাঁরা জুলাই গণহত্যার নির্মম শিকার হয়েছেন। আমরা গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই সেই সব সংগ্রামীর প্রতি, যারা পরিবার, ক্যারিয়ার, জীবনের নিশ্চয়তা বিসর্জন দিয়ে দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার রক্ষায় অবিচল ছিলেন।’

জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে এ দুই নেতা অর্জিত গণতন্ত্র রক্ষায় সর্বদা সোচ্চার থাকার অঙ্গীকার করেন। তাঁরা সরকার জনগণের সেবক আর জনগণ হবে প্রকৃত মালিক—এমন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন বলে জানান।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম জ ব ল হক গণতন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

আস্থা রাখতে চাই, ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হবে: টুকু

বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে। নির্বাচনে প্রত্যেক জায়গায় বিএনপি বিজয় অর্জন করতে সক্ষম হবে। সরকার ঘোষণা দিয়েছে, রোজার আগেই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হবে। জনগণ আশা করে, সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। আমরা আস্থা রাখতে চাই, ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন হবে।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল সদরের ঘারিন্দা এলাকায় উপজেলা বিএনপির মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ পিআর পদ্ধতি প্রত্যাখ্যান করেছে। মানুষ কিন্তু পিআর পদ্ধতি বোঝে না। মানুষ আগে যেভাবে ভোট দিয়েছে এবং যে পদ্ধতিতে মানুষ অভ্যস্ত, সেই প্রদ্ধতিতে ভোট দেবে মানুষ। পিআর প্রদ্ধতি বলে তারা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। সেজন্য তারা ভিন্ন পথে যড়যন্ত্র করতে চায়। কাজেই যারা পিআর পদ্ধতি কথা বলে, তারা নির্বাচনের বিপক্ষে বলে আমি মনে করি। 

টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন— জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান খান শফিক প্রমুখ।

ঢাকা/কাওছার/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই সনদের আইনি ভিত্তিসহ কয়েকটি দাবিতে রাজধানীতে সাত দলের বিক্ষোভ-সমাবেশ
  • জাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথে ভাঙল ৩ দশকের অচলায়তন
  • চট্টগ্রামে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বিমান বাহিনীর যৌথ মহড়ায় ‘ইনক্যাপ সিরিমনি’
  • পিআরেরও দু–একটা সাইড এফেক্ট আছে, কিন্তু অধিকাংশই ভালো দিক: ইসলামী আন্দোলন
  • সংসদে সংরক্ষিত আসন সংস্কার: আশার আলো নাকি মরীচিকা
  • আস্থা রাখতে চাই, ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হবে: টুকু
  • ‘ভোটারদের আস্থা নিশ্চিত করা বিএনপির দায়িত্ব’
  • জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
  • আমেরিকানদের হাতে সময় আছে মাত্র ৪০০ দিন
  • হুংকার দিয়ে জাতীয় নির্বাচন ঠেকান যাবে না: জাহিদ হোসেন