ইংল্যান্ডের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার সিড লরেন্স আর নেই
Published: 22nd, June 2025 GMT
ইংল্যান্ড ক্রিকেট ইতিহাসের এক অনন্য নাম ডেভিড ‘সিড’ লরেন্স চলে গেলেন না ফেরার দেশে। ইংল্যান্ড ও গ্লস্টারশায়ারের সাবেক এই পেসার মৃত্যুকালে ৬১ বছর বয়সী ছিলেন।
গত বছর মোটর নিউরন ডিজিজে আক্রান্ত হন লরেন্স। তবে অসুস্থতা তাকে থামাতে পারেনি। রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে গেছেন এই সাবেক ক্রিকেটার। এমন মানবিক অবদানের জন্য চলতি মাসেই পেয়েছিলেন রাজকীয় সম্মাননা ‘এমবিই’।
ডেভিড লরেন্স ইতিহাস গড়েছিলেন ইংল্যান্ডের প্রথম জন্মসূত্রে কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার হিসেবে। ১৯৮৮ সালে লর্ডসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকে নিয়েছিলেন তিন উইকেট। যদিও মাত্র পাঁচটি টেস্ট ও একটি ওয়ানডে খেলেই থেমে যায় তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার।
গ্লস্টারশায়ারের হয়ে ১৬ বছরের ক্যারিয়ারে ২৮০টি ম্যাচ খেলে ৬২৫ উইকেট নিয়েছেন লরেন্স। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ হলেও হাল ছাড়েননি। ১৯৯৭ সালে কাউন্টি ক্রিকেটে ফিরে খেলেন চারটি ম্যাচ। এরপর পেশাদার ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ান।
অবসরের পর বহুমুখী কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন লরেন্স। নাইটক্লাব ব্যবসা, অপেশাদার বডিবিল্ডিং থেকে শুরু করে ২০২২ সালে হন গ্লস্টারশায়ার ক্রিকেট ক্লাবের সভাপতিও ছিলেন তিনি। মোটর নিউরন ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার পরও দায়িত্ব পালন করে গেছেন নিরলসভাবে।
গত সেপ্টেম্বরে বিবিসি ব্রেকফাস্ট-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লরেন্স জানান, অসুস্থতার পর তার প্রেরণা ছিলেন ইংল্যান্ডের সাবেক রাগবি তারকা রব বোরো, যিনি একই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এই বিষয়ে তিনি কথা বলেন বোরোর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সাবেক সতীর্থ কেভিন সিনফিল্ড-এর সঙ্গেও।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ডাকসু নেতার প্রবীণ ব্যক্তিকে লাঠি হাতে শাসানো নিয়ে সমালোচনা-বিতর্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ডাকসুর এক নেতার একজন প্রবীণ ব্যক্তিকে লাঠি হাতে শাসানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ডাকসুর কার্যনির্বাহী সদস্য সর্বমিত্র চাকমা ওই ব্যক্তিকে লাঠি হাতে শাসাচ্ছেন এবং ক্যাম্পাস থেকে চলে যেতে বলছেন। ভিডিওতে আরও দেখা যায়, প্রক্টরিয়াল টিমের একজন সদস্য ওই ব্যক্তির ব্যাগে লাঠি দিয়ে কয়েকবার আঘাত করছেন।
গত মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা। অনেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবীণ এক ব্যক্তির সঙ্গে এমন আচরণের প্রতিবাদ জানান। আবার কেউ কেউ এ ঘটনার পক্ষে অবস্থান জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে সর্বমিত্র চাকমা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘যে বৃদ্ধ লোকটিকে দেখছেন, আমি শুরুর দিন থেকে এই লোককে সেই মেট্রোস্টেশন থেকে তুলছি প্রতিরাতে। লোকটা ক্যাম্পাস ছেড়ে যায়-ই না, ওনার সাথে আরেকজন আরও বৃদ্ধ, উনিও মাদকাসক্ত। এই লোকের কাছে এর আগে একবার গাঁজা পাওয়া গেছিল। এই লোকগুলোকে তোলাটা অত্যন্ত কঠিন, তুললে আগায় ৪ কদম। তাই লাঠিসোঁটা ছাড়া বা ভয়-ভীতি প্রদর্শন না করে তাদের তোলা যায়–ই না।’
ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এ বি জুবায়ের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে সর্বমিত্র যেই মুরুব্বিকে লাঠি হাতে শাসাচ্ছে, তিনি একজন মাদক কারবারি। বেশভূষা দেখে বোঝার উপায় না থাকলেও সত্য হচ্ছে, তিনি ক্যাম্পাস এরিয়ায় মাদক কারবারের সাথে জড়িত। তাকে বারবার উঠিয়ে দেওয়া হলেও তিনি ক্যাম্পাস এরিয়া ছাড়ছেন না। কারণ, এইখানে তার মাদকের কারবার! সর্বমিত্রের নিজেই লাঠি হাতে নিয়ে মুরুব্বিকে শাসানোর এই অ্যাপ্রোচকে আমি ঠিক মনে করি না। প্রক্টরিয়াল টিমের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নিলে ব্যাপারটা আরও সুন্দর হতো।’
ঘটনার সমালোচনা করেছেন ছাত্রদলের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইব্রাহিম হোসেন। ভিডিওটি ফেসবুকে শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘বাবা, তুমি একটু শান্ত হও, তার হাঁটুর বয়সও হয়নি তোমার। ক্ষমতা পাইছ, তার মানে এই না যে অপব্যবহার করবে। সেদিন তো ছবি তোলা নিয়ে কত জ্ঞান দিলেন—মবের ছবি তোলা নিষিদ্ধ, আজকে কে যেন ভুলে ভিডিও করছে।’