ইংল্যান্ড ক্রিকেট ইতিহাসের এক অনন্য নাম ডেভিড ‘সিড’ লরেন্স চলে গেলেন না ফেরার দেশে। ইংল্যান্ড ও গ্লস্টারশায়ারের সাবেক এই পেসার মৃত্যুকালে ৬১ বছর বয়সী ছিলেন।

গত বছর মোটর নিউরন ডিজিজে আক্রান্ত হন লরেন্স। তবে অসুস্থতা তাকে থামাতে পারেনি। রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে গেছেন এই সাবেক ক্রিকেটার। এমন মানবিক অবদানের জন্য চলতি মাসেই পেয়েছিলেন রাজকীয় সম্মাননা ‘এমবিই’।

ডেভিড লরেন্স ইতিহাস গড়েছিলেন ইংল্যান্ডের প্রথম জন্মসূত্রে কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার হিসেবে। ১৯৮৮ সালে লর্ডসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকে নিয়েছিলেন তিন উইকেট। যদিও মাত্র পাঁচটি টেস্ট ও একটি ওয়ানডে খেলেই থেমে যায় তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার।

গ্লস্টারশায়ারের হয়ে ১৬ বছরের ক্যারিয়ারে ২৮০টি ম্যাচ খেলে ৬২৫ উইকেট নিয়েছেন লরেন্স। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ হলেও হাল ছাড়েননি। ১৯৯৭ সালে কাউন্টি ক্রিকেটে ফিরে খেলেন চারটি ম্যাচ। এরপর পেশাদার ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ান।

অবসরের পর বহুমুখী কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন লরেন্স। নাইটক্লাব ব্যবসা, অপেশাদার বডিবিল্ডিং থেকে শুরু করে ২০২২ সালে হন গ্লস্টারশায়ার ক্রিকেট ক্লাবের সভাপতিও ছিলেন তিনি। মোটর নিউরন ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার পরও দায়িত্ব পালন করে গেছেন নিরলসভাবে। 

গত সেপ্টেম্বরে বিবিসি ব্রেকফাস্ট-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লরেন্স জানান, অসুস্থতার পর তার প্রেরণা ছিলেন ইংল্যান্ডের সাবেক রাগবি তারকা রব বোরো, যিনি একই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এই বিষয়ে তিনি কথা বলেন বোরোর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সাবেক সতীর্থ কেভিন সিনফিল্ড-এর সঙ্গেও।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিল যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া

কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। জি-সেভেনভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্য ও কানাডা প্রথম এই স্বীকৃতি দিল। কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি প্রথম এই ঘোষণা দেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ জানান, এই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের লক্ষ্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলেন। ইসরায়েল এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ