ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ নির্ভুলভাবে করতে কঠোর নির্দেশ দিলেন নির্বাচন কমিশনার
Published: 13th, January 2025 GMT
ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ খুব সতর্কতার সঙ্গে এবং নির্ভুলভাবে করতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়ার চ্যালেঞ্জ এবং চ্যালেঞ্জ উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই নির্দেশ দেন। নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আসুন, আমরা সবাই মিলে এই জাতিকে একটা ভালো ভোটার তালিকা উপহার দিই।’
‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সক্ষমতা’ বৃদ্ধি শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর, নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আফরোজা খাতুন প্রমুখ।
নির্বাচন কমিশনার মো.
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়ার চ্যালেঞ্জ একটাই, সেটা হলো মনকে ঠিক করা। উদ্দেশ্য মহৎ থাকলে চ্যালেঞ্জ কোনো কিছু না। ১ শতাংশ ত্রুটিও যদি নির্বাচন কমিশনের থাকে, সেটি থাকা উচিত না। জনগণের থাকতে পারে, বুঝে হোক না বুঝে হোক, বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার জন্য হোক—এটা তারা করবেই। দালালমুক্ত করা এটা কোনো কঠিন কাজ না। সাবধান করে দিচ্ছি, এটি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে, আমাদের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করতে হবে।’
আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘এনআইডি নিয়ে বিগত দিনে অনেক বদনাম আছে। তাই আমাদের সতর্কতার সঙ্গে নির্ভুল ভোটার লিস্ট করতে হবে। জাতিকে ভালো ও নির্ভেজাল ভোটার তালিকা উপহার দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন কাজ করে যাচ্ছে।’
৩৫ লাখ নতুন ভোটার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ভালো একটি নির্বাচন করার জন্য আমাদের যা যা করা দরকার, আমাদের তা–ই করতে হবে। সেটার পূর্বশর্ত হলো একটি সুষ্ঠু, ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা। সেটার দায়িত্ব আপনাদের। এই দায়িত্ব যদি আপনারা পালন না করেন, তাহলে কিন্তু বিপদ আছে।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।