শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবায় মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অন্তত ২০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তারা। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ঢাকায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ জানায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে লতিফ ফকির এবং ফয়জুল করিম মাদবরের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। সোমবার সরকারি জমিতে মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় দুপক্ষের লোকজন ১৮ থেকে ২০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৬টি ককটেল উদ্ধার করে।

পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ওসি গোলাম রসুল বলেন, ‘‘বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে, এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/আকাশ/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ ককট ল

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ