ভ্রমণের পরিকল্পনা মানেই আনন্দ, উত্তেজনা আর অনেক প্রস্তুতি। তবে বাংলাদেশের ভ্রমণকারীদের মধ্যে সচরাচরই ফ্লাইট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে বেশ কিছু দ্বিধা, শঙ্কা, কৌতূহল এবং জানার ইচ্ছা কাজ করে। বুকিংটা ঠিকভাবে হবে কি না, তাঁদের এতগুলো টাকা ঠিক জায়গায় যাচ্ছে কি না, ভ্রমণের আগে-পরে কোনো সাহায্য লাগলে পাব কি না—এমন নানা রকম দুশ্চিন্তা।

এ রকম দুশ্চিন্তার পেছনে কারণ হচ্ছে, সম্প্রতি হয়ে যাওয়া এই ইন্ডাস্ট্রির বেশ কিছু ঘটনা। একের অধিক ট্রাভেল এজেন্সির হঠাৎ হারিয়ে যাওয়া ভ্রমণকারী ও তাঁদের গ্রাহকদের মনে নানা রকম প্রশ্ন ও অবিশ্বাসের জন্ম দিয়েছে। এ বিষয়ে যেমন ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ভ্রমণকারীরা, তেমনই হচ্ছেন এর সঙ্গে জড়িত আনুষঙ্গিক প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তারাও। এর সূত্র ধরে গোযায়ানের মতো অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সিগুলো (ওটিএ) নিয়ে ভ্রমণকারী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে নানা রকম প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।

ফ্লাইট বুকিং এখন আর আগের মতো জটিল কিছু নয়, বরং একটু সচেতন হলেই নিজের ভ্রমণকে করা যায় অনেক বেশি নিশ্চিন্ত ও নিরাপদ।

এ প্রসঙ্গে গোযায়ানের গ্রুপ সিওও ইমামুল ইসলাম জানান, ‘সাম্প্রতিক এই ঘটনাগুলো খুবই অপ্রত্যাশিত। গোযায়ানের শুরু থেকেই আমাদের লক্ষ্য ছিল গ্রাহকদের জন্য একটি বিশ্বস্ত ও নিরাপদ প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা। আর তাই গোযায়ান কখনই অন্য কোনো এজেন্সির মাধ্যমে টিকিট বিক্রি অনুমোদন করে না। আমরা চাই, গ্রাহকেরা সরাসরি আমাদের প্ল্যাটফর্মে তাঁর টিকিট নিজে বুক করবেন এবং তাঁর জন্য প্রয়োজনীয় সব রকম তথ্য দিয়ে আমরা সাহায্য করব।’

তাই ভ্রমণকারীদের উচিত এসব বিষয়ে সব সময় সচেতন থাকা এবং আগে থেকেই জ্ঞান রাখা। নিরাপদে ফ্লাইট টিকিট বুক করার সময় কিছু জিনিস মাথায় রাখা খুবই জরুরি। প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে, বুকিং প্ল্যাটফর্ম বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এমন প্ল্যাটফর্ম বাছাই করা উচিত, যেখান থেকে বুকিং করলে ভ্রমণকারী নিজের বুকিং ও টিকিটের সুরক্ষা নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন। টিকিটের কপি সব সময় ভালোভাবে চেক করে নিতে হবে—এজেন্সির নাম, নিবন্ধন নম্বর, আইএটিএ নম্বর ও টিকিট ফেয়ার বিস্তারিত দেওয়া আছে কি না।

এ বিষয়ে ইমামুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি ফ্লাইট টিকিট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমে সুরক্ষিত। যেহেতু গোযায়ান সরাসরি এয়ারলাইনের সঙ্গে কাজ করে, তাই আমরা বুকিং ও বুকিং-পরবর্তী যেকোনো কাজের জন্য সরাসরি এয়ারলাইনস পলিসি অনুসরণ করি এবং সে অনুযায়ী আমাদের কাস্টমারদের গাইড করে থাকি।’

ফ্লাইট বুকিং এখন আর আগের মতো জটিল কিছু নয়, বরং একটু সচেতন হলেই নিজের ভ্রমণকে করা যায় অনেক বেশি নিশ্চিন্ত ও নিরাপদ। সঠিক তথ্য জানা, যাচাই-বাছাই করে বুকিং করা এবং নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করাই হতে পারে একটি ঝামেলাহীন যাত্রার প্রথম পদক্ষেপ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প ল য টফর ম ভ রমণক র আম দ র ন র পদ ফ ল ইট

এছাড়াও পড়ুন:

কীভাবে নিরাপদে আর নিশ্চিন্তে ফ্লাইট টিকিট বুক করবেন

ভ্রমণের পরিকল্পনা মানেই আনন্দ, উত্তেজনা আর অনেক প্রস্তুতি। তবে বাংলাদেশের ভ্রমণকারীদের মধ্যে সচরাচরই ফ্লাইট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে বেশ কিছু দ্বিধা, শঙ্কা, কৌতূহল এবং জানার ইচ্ছা কাজ করে। বুকিংটা ঠিকভাবে হবে কি না, তাঁদের এতগুলো টাকা ঠিক জায়গায় যাচ্ছে কি না, ভ্রমণের আগে-পরে কোনো সাহায্য লাগলে পাব কি না—এমন নানা রকম দুশ্চিন্তা।

এ রকম দুশ্চিন্তার পেছনে কারণ হচ্ছে, সম্প্রতি হয়ে যাওয়া এই ইন্ডাস্ট্রির বেশ কিছু ঘটনা। একের অধিক ট্রাভেল এজেন্সির হঠাৎ হারিয়ে যাওয়া ভ্রমণকারী ও তাঁদের গ্রাহকদের মনে নানা রকম প্রশ্ন ও অবিশ্বাসের জন্ম দিয়েছে। এ বিষয়ে যেমন ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ভ্রমণকারীরা, তেমনই হচ্ছেন এর সঙ্গে জড়িত আনুষঙ্গিক প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তারাও। এর সূত্র ধরে গোযায়ানের মতো অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সিগুলো (ওটিএ) নিয়ে ভ্রমণকারী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে নানা রকম প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।

ফ্লাইট বুকিং এখন আর আগের মতো জটিল কিছু নয়, বরং একটু সচেতন হলেই নিজের ভ্রমণকে করা যায় অনেক বেশি নিশ্চিন্ত ও নিরাপদ।

এ প্রসঙ্গে গোযায়ানের গ্রুপ সিওও ইমামুল ইসলাম জানান, ‘সাম্প্রতিক এই ঘটনাগুলো খুবই অপ্রত্যাশিত। গোযায়ানের শুরু থেকেই আমাদের লক্ষ্য ছিল গ্রাহকদের জন্য একটি বিশ্বস্ত ও নিরাপদ প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা। আর তাই গোযায়ান কখনই অন্য কোনো এজেন্সির মাধ্যমে টিকিট বিক্রি অনুমোদন করে না। আমরা চাই, গ্রাহকেরা সরাসরি আমাদের প্ল্যাটফর্মে তাঁর টিকিট নিজে বুক করবেন এবং তাঁর জন্য প্রয়োজনীয় সব রকম তথ্য দিয়ে আমরা সাহায্য করব।’

তাই ভ্রমণকারীদের উচিত এসব বিষয়ে সব সময় সচেতন থাকা এবং আগে থেকেই জ্ঞান রাখা। নিরাপদে ফ্লাইট টিকিট বুক করার সময় কিছু জিনিস মাথায় রাখা খুবই জরুরি। প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে, বুকিং প্ল্যাটফর্ম বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এমন প্ল্যাটফর্ম বাছাই করা উচিত, যেখান থেকে বুকিং করলে ভ্রমণকারী নিজের বুকিং ও টিকিটের সুরক্ষা নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন। টিকিটের কপি সব সময় ভালোভাবে চেক করে নিতে হবে—এজেন্সির নাম, নিবন্ধন নম্বর, আইএটিএ নম্বর ও টিকিট ফেয়ার বিস্তারিত দেওয়া আছে কি না।

এ বিষয়ে ইমামুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি ফ্লাইট টিকিট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমে সুরক্ষিত। যেহেতু গোযায়ান সরাসরি এয়ারলাইনের সঙ্গে কাজ করে, তাই আমরা বুকিং ও বুকিং-পরবর্তী যেকোনো কাজের জন্য সরাসরি এয়ারলাইনস পলিসি অনুসরণ করি এবং সে অনুযায়ী আমাদের কাস্টমারদের গাইড করে থাকি।’

ফ্লাইট বুকিং এখন আর আগের মতো জটিল কিছু নয়, বরং একটু সচেতন হলেই নিজের ভ্রমণকে করা যায় অনেক বেশি নিশ্চিন্ত ও নিরাপদ। সঠিক তথ্য জানা, যাচাই-বাছাই করে বুকিং করা এবং নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করাই হতে পারে একটি ঝামেলাহীন যাত্রার প্রথম পদক্ষেপ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ