ছাত্র সংসদের মতো ‘ভোটবিপ্লব’ জাতীয় নির্বাচনেও হবে: জামায়াত নেতা রফিকুল
Published: 20th, October 2025 GMT
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ডাকসু, জাকসু, চাকসু, রাকসুর মতো ‘ভোটবিপ্লব’–এর আশা করছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান।
রফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের ভিপি (ভিপি প্রার্থী) ভোট পাইছে ৩ হাজার আর শিবিরের ভিপি (ভিপি প্রার্থী) ভোট পাইছে সাড়ে ১২ হাজার। আপনারা টের পাইতাছেন না? বাংলাদেশের মানুষ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ রকম একটা নীরব ভোটবিপ্লব করবে, ইনশা আল্লাহ।’
আজ সোমবার বিকেলে ঢাকার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ মিছিল–পূর্ব সমাবেশে এ কথা বলেন রফিকুল ইসলাম। নির্বাচনসহ নানা প্রশ্নে বিএনপির সঙ্গে বিরোধের মধ্যে তিনি এ কথা বলেন, তবে কোনো দলের নাম তিনি উল্লেখ করেননি।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর এ বছর ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রতিটিতেই বিজয়ী হয়েছে জামায়াতের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা রয়েছে। সেই নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব), তার আগে নভেম্বরে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে জামায়াত। সে দাবিতেই আজ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা।
সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের। কিন্তু তিনি ‘অনিবার্য কারণে’ উপস্থিত থাকতে পারেননি বলে জানানো হয়। তাই রফিকুল ইসলাম প্রধান অতিথি হয়ে যোগ দেন এ সমাবেশে।
রফিকুল ইসলাম বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট দিতে হবে। এরপর জুলাই সনদের ভিত্তিতেই আগামী মধ্য ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। গণহত্যার বিচার দ্রুত শেষ করতে হবে। প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। এসব দাবি মেনে নেওয়া না হলে জামায়াতের আন্দোলন চলতেই থাকবে।
নির্বাচনের ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির দাবি জানানোর পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারকে হুঁশিয়ার করে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অবশ্যই দলীয়করণের ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। নইলে স্বৈরাচারী, ফ্যাসিবাদী প্রশাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণ যেভাবে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ লড়াই করেছে, আপনাদের বিরুদ্ধেও আগামী দিনে বাংলাদেশের মানুষ রাজপথে লড়াইয়ে নেমে যাবে। তখন কিন্তু কেউই আর পালানোর জায়গা পাবেন না।’
জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের ঢাকা-৫ আসনের মনোনীত প্রার্থী কামাল উদ্দিন, ঢাকা-৬ আসনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থী মুহাম্মদ আবদুল মান্নান প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেট, ময়মনসিংহ নাকি অন্য কোনো দল—কারা হবে চ্যাম্পিয়ন
আরও একবার শিরোপার হাতছানি সিলেট বিভাগের সামনে। জাতীয় ক্রিকেট লিগের গত আসরেই প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। এবারও শেষ রাউন্ডের ম্যাচে বরিশাল বিভাগের মুখোমুখি হওয়ার আগে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে দলটি। এই ম্যাচ জিতলে এবারের জাতীয় লিগের ট্রফিটাও যাবে তাদের ঘরে। হেরে গেলে বা ম্যাচ ড্র করলে শুরু হবে পয়েন্ট তালিকার জটিল হিসাব–নিকাশ।
এমন ‘বাঁচা–মরার’ ম্যাচে সিলেটের জন্য ধাক্কা হয়ে এসেছে চোট ও ব্যক্তিগত কারণে তিন পেসার রেজাউর রহমান, খালেদ আহমেদ ও ইবাদত হোসেনের খেলতে না পারা। তবে তাঁদের অভাব পূরণ করার সামর্থ্য বাকি পেসারদের আছে বলে মনে করেন সিলেটের কোচ রাজিন সালেহ। প্রথম আলোকে কাল তিনি জানালেন দলের সাফল্যের রহস্যও, ‘তরুণ অথবা সিনিয়র, আমাদের দলের প্রতিটা খেলোয়াড় নিবেদিত। আমাদের দলের ভেতরের যে পরিবেশ, প্রতিটা ছেলেই সিলেটকে ধারণ করে।
শেষ রাউন্ডে সিলেটের পা হড়কালে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে জোরালো হবে ময়মনসিংহের। ঢাকা মেট্রোর পরিবর্তে এবারের আসরেই প্রথমবারের মতো জাতীয় লিগে খেলছে ময়মনসিংহ। মাত্র এক দিনের অনুশীলনেই দলটিকে টুর্নামেন্ট খেলতে নামতে হয়েছিল।
শীর্ষে থাকা সিলেটের চেয়ে দুই পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে শেষ রাউন্ডে রাজশাহীর বিপক্ষে খেলতে নামবে ময়মনসিংহ। দলটির এবারের যাত্রা নিয়ে কোচ নাজমুল হোসেন বলেন, ‘হোটেলে ও মাঠে অনুশীলনের সময় একসঙ্গে বেশি সময় কাটিয়ে খেলোয়াড়দের মধ্যে বন্ধন তৈরির চেষ্টা করেছি। ওদের ভালো ও খারাপ সময়ে সমর্থন দিয়েছি। দলের এ বন্ধনটাই আমাদের শক্তি।’
এই দুই দলের বাইরেও ৬ ম্যাচে দুটি করে জয় পাওয়া রংপুর, খুলনা, চট্টগ্রাম ও বরিশালের সামনেও শিরোপা জয়ের সুযোগ আছে। রোমাঞ্চ নিয়ে তাই অপেক্ষায় জাতীয় লিগের শেষ রাউন্ড।
এনসিএলের পয়েন্ট তালিকাপয়েন্টের হিসাব :
ম্যাচ জিতলে ৮ পয়েন্ট
ড্র করলে প্রতি দল ২ পয়েন্ট
টাই করলে প্রতি দল ৪ পয়েন্ট
বোনাস পয়েন্ট হিসাব:
ইনিংস ব্যবধানে জিতলে ১ পয়েন্ট
১০ উইকেটে জিতলে ১ পয়েন্ট
পরপর দুই ম্যাচ জিতলে ১ পয়েন্ট
টানা ৩ ম্যাচ জিতলে ২ পয়েন্ট
টানা ৪ ম্যাচ জিতলে ৩ পয়েন্ট
টানা ৫ ম্যাচ জিতলে ৪ পয়েন্ট
টানা ৬ ম্যাচ জিতলে ৫ পয়েন্ট
পয়েন্ট সমান হলে কী দেখা হবে?
* সবচেয়ে বেশি জয়
*সবচেয়ে কম হার
*সমান হওয়া দলের বিপক্ষে মুখোমুখি লড়াইয়ে কে বেশি পয়েন্ট পেয়েছে
*প্রতিপক্ষের বেশি উইকেট নিতে পেরেছে কোন দল
*সবচেয়ে বেশি রান করেছে কারা
শেষ রাউন্ডে কে কার মুখোমুখিআরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়াতেও ১ হাজার রান, যে রেকর্ডে রুটের ওপরে শুধুই একজন০৫ ডিসেম্বর ২০২৫