হবিগঞ্জে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত, আহত ২
Published: 17th, January 2025 GMT
হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় আরফান কাজী (২১) নামে একজন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার আমতলী এলাকায় চুনারুঘাট-মাধবপুর সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আরফান কাজী মাধবপুর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের আব্দুর রহিম কাজীর ছেলে। আহতরা হলেন একই গ্রামের রহমান মাহিন (২২) ও হৃদয় আহমেদ (২১)।
মাধবপুরের তেলিয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বুলবুল আহমেদ জানান, মোটরসাইকেলে চুনারুঘাট থেকে মাধবপুরে ফিরছিলেন আরফান, মাহিন ও হৃদয়। আমতলী এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা মাইক্রোবাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেলটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। গুরুতর আহত হন ওই ৩ আরোহী।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে আরফানকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আর গুরুতর আহত অবস্থায় মাহিন ও হৃদয়কে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত মাহিন ও হৃদয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে তাদের ঢাকায়ও পাঠানো হতে পারে।
তিনি আরও জানান, পুলিশ গিয়ে মাইক্রোবাসটি দুর্ঘটনাস্থলে পাননি।
ঢাকা/মামুন/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আসামিকে আপ্যায়নের ঘটনায় আদালত পরিদর্শকসহ ৬ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার
সন্ত্রাস দমন, বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলার আসামি এবং আমতলী পৌর যুবলীগ সভাপতিকে পুলিশের ব্যারাকে নিয়ে আপ্যায়নের অভিযোগে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পরিদর্শক বশির আলমসহ ছয় পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
প্রত্যাহার হওয়া অন্য পুলিশ সদস্যরা হলেন এ টি এস আই মামুন, কনস্টেবল আশিস, মো. ফয়সাল, সোহরাব মিয়া ও শাহদাত হোসেন। তাঁদের পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিকেলে আদালত থেকে তাঁদের প্রত্যাহার করা হয়। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন বরগুনা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আল-মামুন শিকদার।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২ সেপ্টেম্বর আমতলীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পুলিশ ব্যারাকে মামলার আসামি আরিফ-উল হাসানকে ভাত খাওয়ান আদালত পরিদর্শক বশির আলম। এ সময় তাঁর সঙ্গে ব্যারাকের ভেতরে দুজন নারী, দুজন পুরুষ এবং একটি শিশু ছিল। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও প্রকাশের পর আসামিকে আপ্যায়নের অভিযোগে আদালত পরিদর্শক বশির আলমসহ ছয় পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব থেকে গতকাল প্রত্যাহার করা হয়।
বরগুনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আল-মামুন শিকদার প্রথম আলোকে বলেন, আমতলীতে আদালতের গারদখানার সংস্কারকাজ চলায় আসামিকে পুলিশ ব্যারাকে নেওয়া হয়েছিল। পরে সেখানে তাঁর খাবারের আয়োজন করা হয়। ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে আসে। তাঁদের নির্দেশে ছয় পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে, বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।