হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় আরফান কাজী (২১) নামে একজন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার আমতলী এলাকায় চুনারুঘাট-মাধবপুর সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত আরফান কাজী মাধবপুর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের আব্দুর রহিম কাজীর ছেলে।  আহতরা হলেন একই গ্রামের রহমান মাহিন (২২) ও হৃদয় আহমেদ (২১)।  

মাধবপুরের তেলিয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বুলবুল আহমেদ জানান, মোটরসাইকেলে চুনারুঘাট থেকে মাধবপুরে ফিরছিলেন আরফান, মাহিন ও হৃদয়। আমতলী এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা মাইক্রোবাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেলটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। গুরুতর আহত হন ওই ৩ আরোহী। 

স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে আরফানকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আর গুরুতর আহত অবস্থায় মাহিন ও হৃদয়কে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত মাহিন ও হৃদয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে তাদের ঢাকায়ও পাঠানো হতে পারে। 

তিনি আরও জানান, পুলিশ গিয়ে মাইক্রোবাসটি দুর্ঘটনাস্থলে পাননি। 

ঢাকা/মামুন/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আলীকদমে নিখোঁজ আরেক পর্যটকের লাশ উদ্ধার

বান্দরবানের আলীকদমে নিখোঁজ হওয়া তিন পর্যটকের মধ্যে আরেকজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা লাশটি স্মৃতি আক্তারের (২৪) বলে তাঁর সঙ্গী পর্যটকেরা শনাক্ত করেছেন।

আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আলীকদম উপজেলা সদর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে তৈনখালের আমতলি ঘাট এলাকায় ভাসমান অবস্থায় লাশটি পাওয়া যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে এ নিয়ে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হলো।

আলীকদম ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আবদুর রহিম জানিয়েছেন, সকালে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে লাশের সংবাদ পাওয়া যায়। আমতলি ঘাট থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বেঁচে ফিরে আসা ১৯ পর্যটককে আলীকদম থানায় রাখা হয়েছে।

পর্যটকদের মধ্যে রাহাত হোসেন নামের একজন জানান, আজকে উদ্ধার হওয়া লাশটি স্মৃতি আক্তারের। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায়। স্মৃতি আক্তার ও মো. হাসান পর্যটন ব্যবস্থাপনা সংস্থা ট্যুর এক্সপার্টের সহপরিচালক। তাঁদের ব্যবস্থাপনায় এই ভ্রমণ আয়োজিত হয়।

৮ জুন দুটি দলে ৩৩ জন পর্যটক আলীকদম ও থানচি উপজেলার মধ্যবর্তী দুর্গম ক্রিস্টং পাহাড়ে গিয়েছিলেন। পাঁচ দিনের ভ্রমণে এক দলে ১১ জন ও তিন দিনের ভ্রমণের আরেক দলে ২২ জন পর্যটক ছিলেন। গত বুধবার তিন দিনের ভ্রমণ শেষে ২২ জনের দলটি ফিরে আসার পথে প্রবল বৃষ্টিতে হঠাৎ শামুকঝিরি ঝরনায় পাহাড়ি ঢল নামে। তাঁদের মধ্যে ১৯ জন ফিরে এলেও জুবাইরুল, হাসান ও স্মৃতি পেছনের দিকে থাকায় নিখোঁজ হন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, নিখোঁজ তিন পর্যটকের মধ্যে আজ স্মৃতি আক্তার ও গতকাল জুবাইরুল ইসলামের লাশ পাওয়া গেছে। লাশ দুটি বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। মো. হাসানের লাশ এখনো পাওয়া যায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিখোঁজ তিনজনকে শনাক্তের জন্য মানবিক কারণে ১৯ জন পর্যটককে থানায় রাখা হয়েছে। তাঁরা না হলে নিখোঁজ তিনজনকে শনাক্ত করার কেউ থাকবে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আলীকদমে নিখোঁজ আরেক পর্যটকের লাশ উদ্ধার