বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে সুনামগঞ্জের সীমান্ত এলাকা থেকে ২ ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

শুক্রবার সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার সীমান্ত থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হচ্ছেন, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ইস্ট খাসিয়া হিল জেলার সাইগ্রাম থানার ডালিয়াবস্তি গ্রামের ভূপেন্দ্র গারোর ছেলে মালুছ গারো (৩০) ও তার ভাই করল গারো (৪৫)।

এছাড়া একইদিন সিলেটের বিছনাকান্দি, পান্তুমাই, উৎমা, ডিবির হাওরসহ বিভিন্ন সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় কমলা, চিনি, ৫টি গরু, চা-পাতা, মদ ও ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ শিং মাছ জব্দ করা হয়। যার বাজার মূল্য ৪৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকা।

৪৮ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.

হাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সম্প্রতি আরও তিন ভারতীয় নাগরিককে আটক করে বিজিবি।

এদিকে ৪০০ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ বাংলাদেশি ট্রাক চালককে আটক করেছে মহানগর পুলিশের শাহপরাণ (রহ.) থানা পুলিশ।

শুক্রবার ভোররাতে সিলেট-তামাবিল সড়কের সুরমা গেট এলাকা থেকে চিনিসহ তাকে আটক করা হয়। আটক আলমগীর চাঁদপুরের শাহারাস্তি থানার পাড়ান নগরের গাজী মিয়ার ছেলে। উদ্ধার চিনির বাজারমূল্য প্রায় ২৩ লাখ ৫২ হাজার টাকা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আটক

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ