আজ গিফট কার্ড দিয়ে কেনাকাটা করার দিন
Published: 18th, January 2025 GMT
উপহার কার্ড বা গিফট কার্ড প্রদানকারী এবং গ্রহণকারী উভয়ের দারুণ অভিজ্ঞতা দিতে পারে। এই উপহারকে ‘নিখুঁত উপহার’ও বলা যায়। গিফট কার্ড দিয়ে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসটি কিনে নিতে পারেন এর গ্রাহক। বিগত কয়েক বছর ধরে গিফট কার্ডগুলোর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। খুচরা কেনাকাট ছাড়াও এখন বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, রেস্তোরাঁ, স্পা, এমনকি ভ্রমণ বুকিংয়ের জন্য ব্যবহার করা যাচ্ছে গিফট কার্ড। উপহার হিসেবে কাউকে গিফট কার্ড দিয়ে দারুণ অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।
যারা উপহার হিসেবে গিফট কার্ড পেয়েছেন তারা আজকের দিনে এই কার্ড দিয়ে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করে নিতে পারেন। আজ গিফট কার্ড দিয়ে কেনাকাটার দিন। ১৮ জানুয়ারি, গিফট কার্ড ব্যবহার দিবস।
জানা যায়, ট্র্যাসি টিলসন নামের একজন মার্কিনের হাত ধরে ২০২০ সালে দিনটি উদযাপন শুরু হয়েছিল। গিফট কার্ডের সর্বোচ্চ ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার ব্যাপারে মানুষের ভেতর সচেতনতা তৈরি করতে দিবসটির সূচনা করেন তিনি।
সূত্র: ডেজ অব দ্য ইয়ার এবং হুরে
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫