বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। 

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মুহিবুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ১৭ সদস্যের এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। 

জাবি ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি হিসেবে বাংলা বিভাগের ১৭-১৮ সেশনের (৪৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী মুহিবুর রহমান (মুহিব) এবং সেক্রেটারি হিসেবে দর্শন বিভাগের ১৭-১৮ সেশনের (৪৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী মুস্তাফিজুর রহমান দায়িত্ব পেয়েছেন।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন—শিক্ষা ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন সাকি (৪৭তম ব্যাচ), দাওয়াহ সম্পাদক মশিউর রহমান (৪৭তম ব্যাচ), অফিস ও প্রচার সম্পাদক মো.

মাজহারুল ইসলাম (৪৮তম ব্যাচ), অর্থ সম্পাদক মো. রাকিবুল হাসান (৪৮তম ব্যাচ), মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক মো. রাকিবুল ইসলাম (৪৯তম ব্যাচ), ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক মো. তৌহিদ হাসান (৪৯তম ব্যাচ), বিজ্ঞান সম্পাদক মো. তৌফিক হুসাইন (৪৮তম ব্যাচ), গবেষণা সম্পাদক আরিফুল ইসলাম (৪৯তম ব্যাচ), আন্তর্জাতিক সম্পাদক মাহদী হাসান জিহাদ (৪৮তম ব্যাচ), প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক মো. সাফায়েত মীর (৪৯তম ব্যাচ), পরিবেশ ও সমাজসেবা সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম (৪৯তম ব্যাচ); সাহিত্য, প্রকাশনা ও ক্রীড়া সম্পাদক মাহাদী হাসান (৪৯তম ব্যাচ), ছাত্র অধিকার সম্পাদক মো. রাকিব হোসেন (৫০তম ব্যাচ), তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক আলী আহম্মদ (৫০তম ব্যাচ) এবং মানবাধিকার সম্পাদক মো. রায়হান উদ্দীন (৫০তম ব্যাচ)।

কমিটির গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে জাবি ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মুস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, “প্রতি বছরের জানুয়ারি মাসে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সব স্তরে নতুন কমিটি দেয় ছাত্রশিবির। কমিটির সভাপতি শিবিরের সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হন এবং সেক্রেটারি সদস্যদের পরামর্শের ভিত্তিতে মনোনীত হয়। পরে এতে কেন্দ্রীয় সভাপতি-সেক্রেটারি অনুমোদন দেন। সদস্যদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা, দায়িত্বশীলতা, আনুগত্য ইত্যাদি বিষয়গুলো বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে বাকি নেতৃত্ব অনুমোদন করেন শাখা সভাপতি ও সম্পাদক।”

গত বুধবার (২২ জানুয়ারি) ‘আস্ক শিবির, নো শিবির’ শীর্ষক সেমিনারে দুই দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন জাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মুহিবুর রহমান মুহিব। 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ৪৭তম ব য চ র রহম ন ল ইসল ম সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

৫০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি আসছে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) আগামী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই ৫০তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে যাচ্ছে। কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এখন পর্যন্ত চাহিদাপত্র পিএসসিতে আসেনি, তবে ধারণা করা হচ্ছে এই বিসিএসের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।

বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই একটি রোডম্যাপ তৈরি করে প্রতিবছর নভেম্বর মাসে নতুন বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং পরের বছরের ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ওই বিসিএসের ফলাফল প্রকাশের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। এই রোডম্যাপ অনুযায়ী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নতুন বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম প্রথম আলোকে বলেন, ‘৫০তম বিসিএসের জন্য চাহিদাপত্র প্রেরণের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পত্র পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদিত পদসংখ্যা পাওয়ার পরই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। আমাদের ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী নভেম্বরেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে এবং আগামী বছরের ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ফলাফল প্রকাশের লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’

আরও পড়ুন১০ ব্যাংক ও ১ আর্থিক প্রতিষ্ঠান নেবে ১৮৮০ অফিসার, ফি ২০০৩০ অক্টোবর ২০২৫

৫০তম বিসিএস: একটি বিশেষ মাইলফলক

পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, ৫০তম বিসিএসকে তারা শুধু একটি নিয়মিত পরীক্ষা নয়, বরং পিএসসির কার্যক্ষমতা যাচাইয়ের বড় সুযোগ হিসেবে দেখছেন। এই পরীক্ষার আবেদন, প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পর্যায়—সব ধাপ নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী সম্পন্ন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন। সূত্র জানায়, এবার প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সিলেবাস ও পরীক্ষার কাঠামো প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে, তবে পরীক্ষার ব্যবস্থাপনায় কিছু প্রযুক্তিগত পরিবর্তন আসতে পারে। পিএসসির সদস্যদের মতে, ৫০তম বিসিএস হবে ‘প্রযুক্তিনির্ভর ও সময়নিষ্ঠ’ পরীক্ষার সূচনা।

আরও পড়ুন৪৮তম বিশেষ বিসিএসে আর পদ বাড়ানোর সুযোগ নেই৩০ অক্টোবর ২০২৫

চলমান তিন বিসিএসের অগ্রগতি

৫০তম বিসিএসের প্রস্তুতির পাশাপাশি কমিশন এখন তিনটি সাধারণ বিসিএসের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর মধ্যে ৪৫তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা চলছে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৬ হাজার ৫৫৮ জন প্রার্থী। পিএসসি জানিয়েছে, আগামী ১০ ডিসেম্বর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে। এই বিসিএসের মাধ্যমে ২ হাজার ৩০৯ জন ক্যাডার কর্মকর্তা এবং ১ হাজার ২২ জন নন-ক্যাডার প্রার্থী নিয়োগ পাবেন।

অন্যদিকে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে। বর্তমানে চলছে উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজ। কমিশন সূত্রে জানা গেছে, মূল্যায়ন শেষ হলেই মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করা হবে। এ ছাড়া ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে, যেখানে ১০ হাজার ৬৪৪ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। ঢাকাসহ ৮টি বিভাগীয় শহরের ২৫৬টি কেন্দ্রে একযোগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে অংশ নিয়েছিলেন ৩ লাখ ৭৪ হাজারের বেশি প্রার্থী।

আরও পড়ুনহার্ভার্ডের গবেষণা বলছে, মূল্য হারাতে বসেছে ১০ ডিগ্রি২৮ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৫০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি আসছে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই