আপত্তির মুখে রাশমিকা মান্দানা ও ভিকি কৌশলের নাচের দৃশ্য কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ‘ছাবা’ সিনেমার পরিচালক লক্ষ্মণ উতেকার। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এই নির্মাতা।

ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ‘ছাবা’ সিনেমায় সম্ভাজি মহারাজের সঙ্গে তার মহারাণী যিশুবাইয়ের লেজিম নৃত্য পরিবেশনের দৃশ্য রয়েছে, যা বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার (এমএনএস) প্রধান রাজ ঠাকরের সঙ্গে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে পরিচালক লক্ষ্মণ উতেকার বলেন, “আমি রাজ ঠাকরের সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি জানাশোনা মানুষ। তাই আমি তার কাছ থেকে কিছু পরামর্শ এবং নির্দেশনা নিয়েছি। আমি এটা বলতে পারি, তার কথাগুলো আমার জন্য খুবই সহায়ক। তার সঙ্গে দেখা করার পর, আমি সেসব দৃশ্যগুলো কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যেখানে আমরা সম্ভাজি মহারাজকে লেজিম নৃত্য করতে দেখাতে চেয়েছিলাম।”

আরো পড়ুন:

নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছেন না রাশমিকা

যশুবাই রূপে রাশমিকা

ভারতের মহারাষ্ট্রের একটি লোকনৃত্য লেজিম। এ নাচে অন্তত পক্ষে ২০ জন নৃত্যশিল্পী অংশ নিয়ে থাকেন। এ নাচের চেয়ে সম্ভাজি মহারাজের গুরুত্ব অনেক। তা জানিয়ে লক্ষ্মণ উতরেকার বলেন, “লেজিম নাচ বড় কোনো বিষয় নয়। লেজিম নাচের চেয়ে সম্ভাজি মহারাজ অনেক বড়। তাই আমরা চলচ্চিত্রটি থেকে সেই দৃশ্যগুলো কেটে ফেলতে যাচ্ছি।”

কয়েক দিন আগে ‘ছাবা’ সিনেমার ট্রেইলার প্রকাশিত হয়। তাতে ভিকি-রাশমিকার ‘আপত্তিকর নাচের’ দৃশ্য দেখা যায়। ট্রেইলার প্রকাশের পরই মহারাষ্ট্রের একাধিক মন্ত্রী আপত্তি জানান। শুধু তাই নয় এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফার্নাভিস উদ্বেগ প্রকাশ করেন। দৃশ্যটি সিনেমায় রাখা হলে মহারাষ্ট্রে ‘ছাবা’ সিনেমা মুক্তি দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন মন্ত্রীরা।

রাশমিকা অভিনীত ‘ছাবা’ সিনেমা আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। সিনেমাটির গল্প শিবাজির পুত্র ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজের জীবনের ওপর ভিত্তি করে। দীনেশ বিজন প্রযোজিত সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন লক্ষ্মণ উতেকার।

সিনেমাটিতে ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজের চরিত্রে ভিকি কৌশল ও মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের চরিত্রে অক্ষয় খান্নাকে দেখা যাবে। সম্ভাজি মহারাজের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রাশমিকা মান্দানা। এ ছাড়া অভিনয় করেছেন— আশুতোষ রানা, ডিয়ানা পেন্টি, দিব্যা দত্ত প্রমুখ।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র কর ছ ন আপত ত

এছাড়াও পড়ুন:

৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের ভারতীয় জলসীমায় গ্রেপ্তার ১৩ বাংলাদেশি

মাত্র দুইদিনের ব্যবধানে আবারো ভারতীয় জলসীমা লঙ্ঘন করার অভিযোগে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক করা হয়েছে বাংলাদেশি ট্রলার। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মায়ের দোয়া নামক ওই ট্রলারে মোট ১৩ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি বাংলাদেশি ওই ফিশিং ট্রলারটি বাজেয়াপ্ত করেছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী।

উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে সংবাদমাধ্যমকে বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের আটক এর ব্যাপারে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। তবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বাজেয়াপ্ত ট্রলার ও ১৩ জন মৎস্যজীবীকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্তর্গত ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার হাতে ইতিমধ্যেই তুলে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তাদের আদালতে তোলা হবে। 

আরো পড়ুন:

জলবায়ু পরিবর্তনে বদলাচ্ছে রোগের চিত্র, বাড়ছে বিরল সংক্রমণ 

অজিতের পারিশ্রমিক ২৪১ কোটি টাকা!

এর আগে গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে জলসীমা অতিক্রম করার অভিযোগে আটক করা হয় ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবিকে। ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল  বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। 

প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি ‘এফবি ঝড়’ এবং ‘এফবি মঙ্গলচণ্ডী ৩৮’ নামে দুটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলারের ৩৪ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে আটক করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। পরবর্তীতে মোংলা থানার পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। পাল্টাপাল্টি মৎস্যজীবী আটকের ঘটনায় দুই দেশের তরফেই ফের কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। তবে মৎসজীবীদের প্রত্যর্পণের বিষয়ে দুই দেশের এখনো কোনোপ্রকার আলোচনা শুরু হয়নি বলেই দূতাবাস সূত্রের খবর।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ