ধোঁকাবাজ রাজনীতিকদের দিয়ে দেশের পরিবর্তন সম্ভব নয়: শফিকুর রহমান
Published: 1st, February 2025 GMT
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “জুলাই-আগস্টের বিপ্লবসহ দেশের সব গণহ্যাতার বিচার করতে হবে। যাদেরকে গুম করা হয়েছিল বা এখনো যাদের গুম করে রাখা হয়েছে, এই দুইটি অপরাধের বিচার করতে হবে। অন্য বিচার আস্তে আস্তে হোক, সেগুলো নিয়ে আমাদের অসুবিধা নেই। তবে অগ্রাধিকার দিয়ে এই দুইটি বিচার খুব দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে। এটা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য না, এই বিচার করতে হবে সমাজকে কলঙ্কমুক্ত করার জন্য।”
তিনি বলেন, “মেধাবীরা দেশ থেকে পড়ালেখার জন্য অন্য দেশে গেলে আর ফেরে না। দুই থেকে আড়াইশ বছর আগেও আমাদের দেশের ওপর মোগল, ব্রিটিশ ও পর্তুগীজরা ঝাপিয়ে পড়তো ভাগ্য গড়ার জন্য। এখন উল্টো রথ কেন? আমাদের দেশের নেতারা বলে, দেশের চেয়ে দল বড়। আমরা দেখি দলের চেয়ে ব্যক্তি বড়। ধোঁকাবাজির রাজনীতি যারা করবে, তাদের মাধ্যমে দেশের আমূল পরিবর্তন সম্ভব নয়।”
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের সরকারি জুবিলি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরো পড়ুন:
নির্বাচনের আগেই বিচার করতে হবে: সাদ্দাম
জামায়াত-বিএনপির মধ্যে কোনো সংঘাত নেই: দুদু
ডা.
তিনি আরো বলেন, “সব ধর্মের মানুষের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি। গত জালেম সরকার ১০ হাজার রাজাকারের তালিকা তৈরি করেছে। সেই তালিকায় ৮০ ভাগ লোকই আওয়ামী লীগের। আমরা যদি ক্ষমতায় যেতে পারি, তা হলে আমরা শিক্ষায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেব। আমরা যে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলব সেই শিক্ষা হবে কর্মমুখী।”
আওয়ামী লীগকে ইঙ্গিত করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “তাদের অনেকেই আমাদের পাসপোর্ট-ভিসা ও টিকেট ছাড়াই অমুক দেশে তুমুক দেশে পাঠিয়ে দিতেন। তারাই এখন পালিয়ে গেছেন পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়া। দুনিয়ার জেলকে আমরা পরোয়া করি না। আমাদের মাথার তাজ পাঁচজন নেতাকে একে একে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। তারা অপশক্তির সঙ্গে আপস করেননি।”
তিনি বলেন, “আমরা চাই আমাদের বেশি বেশি সমালোচনা করুন। সমালোচনা করলে আমাদের কাজের গতি আরও বাড়বে। আমরা যদি ভালো কাজ করতে না পারি, তাহলে আমাদেরকে ছেড়ে যাবেন। আমরা জনগণের সমথর্ন নিয়ে ক্ষমতায় যেতে পারলে সুনামগঞ্জকে উন্নয়নের গতিতে এগিয়ে নিয়ে আসা হবে। যদি আমরা ক্ষমতায় যেতে না পারি তাহলে দাবি আদায়ের জন্য আপনাদের সাথে আন্দোলন করে দাবি আদায় করবো উন্নয়নের জন্য।”
জামায়াতের আমির বলেন, “আমি সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে ডাক্তার হিসেবে কাজ করেছি। সুনামগঞ্জ মাছের অভয়াশ্রম। আমাদের দেশের প্রায় ৭৮ শতাংশ মানুষ যে কোনো ভাবেই হোক না কেন কৃষির সঙ্গে জড়িত।”
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক মো. আব্দল্লাহ ও জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট রেজাউল করিমের যৌথ সঞ্চালনায় এবং সুনামগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা তোফায়েল আহমদ খাঁনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, জামায়াতে ইসলামীর সিলেট মহানগর উত্তরের আমির ফখরুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর সিলেট জেলা শাখার আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, সিলেট মহানগর শিবির সভাপতি শাহীন আহমেদ।
ঢাকা/মনোয়ার/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ন মগঞ জ ব চ র করত ইসল ম র র জন য কর ম র
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়
সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।
সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।
সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।
সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।
সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।
সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।
সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।