অভিনয়শিল্পী মেহের আফরোজ শাওনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে কোন মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রাথমিকভাবে তা জানা যায়নি।

কোন অভিযোগে শাওনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানতে চাইলে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার প্রথম আলোকে বলেন, ‘তিনি রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র করছিলেন।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইতিকাফে পরিবারকে ভুলে যাবেন না

ইতিকাফ করছেন আল্লাহর জন্য, তবু পরিবারকে ভুলে থাকা উচিত হবে না। বরং পরিবারের প্রধান দায়িত্ববান হলে ইতেকাফ কিছুতে দায়িত্ব থেকে তাকে অব্যাহতি দেয় না। রাসুল (সা.)-এর জীবনে দেখি, তিনি ইতেকাফকালে পরিবারকে বিস্মৃত হতেন না। এমনকি নিয়মিত খোঁজ নিতেন, তাদের সুযোগ-সুবিধার প্রতি লক্ষ্য রাখতেন।

সাফিয়া (রা.) পক্ষ থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি রমজানের শেষ দশ দিনে তিনি রাসুলের (সা.) সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলেন। রাসুল (সা.) তখন মসজিদে ইতেকাফ করছেন। তিনি কিছু সময় তথায় অবস্থান করে কথা বললেন, এরপর উঠে যাবার উদ্‌যোগ করলেন। রাসুল (সা.) বললেন, তুমি তাড়াহুড়ো কোরো না...। (বুখারি, হাদিস: ২,০৩৮)

বরং রাসুল (সা.) তাঁকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এগিয়ে এলেন। (বুখারি, হাদিস: ২,০৩৫)

একটি বর্ণনায় আছে, সাফিয়াকে লক্ষ্য করে তিনি বললেন, তাড়াহুড়ো কোরো না, আমি তোমার সঙ্গে বেরোব। তার আবাস ছিল উসামার বাড়িতে, (রাসুল পৌঁছে দেওয়ার জন্য) বেরিয়ে এলেন। (বুখারি, হাদিস: ২,০৩৮)

রাসুল (সা.) তাঁর পরিবারের কথা ভুলে যাননি। তাঁর নিরাপত্তার কথা ভেবেছেন। এমনকি মসজিদে ইতেকাফ করলেও তিনি মসজিদ থেকে বের হয়ে থাকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন।

আরও পড়ুনইতিকাফ অবস্থায় কী করা যায়, করা যায় না২১ মার্চ ২০২৫

রাসুলের সাহাবিগণ নারীদের প্রতি লক্ষ্য রাখার পাশাপাশি শিশুদের প্রতিও বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করতেন। রুবাইয়ি বিনতে মুআউয়িজ বলেন, ‘রাসুল (সা.) মদিনার প্রান্তিক এলাকায় অবস্থিত আনসারদের গ্রামে বার্তা পাঠালেন, যে ব্যক্তি রোজা রেখেছে, সে যেন রোজা পূর্ণ করে নেয়, আর পানাহার করছে যে, সে যেন পূর্ণ দিবস এভাবেই অতিবাহিত করে। এরপর আল্লাহ চাহে তো নিশ্চয় আমরা রোজা পালন করব, ছোট ছোট শিশুদেরও রোজা রাখতে বলব। তাদের নিয়ে আমরা মসজিদে যাব, তাদের হাতে তুলে দেব পশমের খেলনা। খাবারের জন্য কেউ যদি কাঁদে, তবে ইফতারের সময়ে তাদের খেতে দেব।’ (মুসলিম, হাদিস: ১,১৩৬)

এই বর্ণনা থেকে বোঝা যায়, এমনকি তিনি শিশুদের দিকে খেয়াল রেখেছেন, শিশুদের আনন্দের বিষয়টি বিবেচনা করেছেন। সুতরাং আল্লাহর ইবাদতে সন্ন্যাস গ্রহণ করার মতো দুনিয়াভোলা হওয়ার বিধান ইসলামে নেই। পরিবারের খোঁজখবর রাখা সুন্নত।

আরও পড়ুনতাহাজ্জুদ নামাজে ওঠার জন্য কয়েকটি কৌশল০৬ জুলাই ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ