Risingbd:
2025-05-01@09:19:18 GMT

টেডি ডে যেভাবে এলো

Published: 10th, February 2025 GMT

টেডি ডে যেভাবে এলো

কিউট, আদুরে, ইমোশনাল উপহার টেডি বিয়ার। এই তুলতুলে উপহার পেতে কে না ভালোবাসে। আজ টেডি ডে। এই দিবসে প্রেমিকার অভিমান ভাঙাতে অথবা ভালোবাসার সম্পর্ক আরেকটু রাঙিয়ে নিতে টেডি বিয়ার হতে পারে সবচেয়ে ভালো উপহার। 

প্রতিবছর ভ্যালেন্টাইন ডে সপ্তাহের ১০ জানুয়ারিতে টেডি বিয়ার ডে পালিত হয়। ছোট, বড় নানা আকারের টেডি বাজারে পাওয়া যায়। 

টেডি বিয়ার শুধু একটি পুতুল নয় এর সঙ্গে জুড়ে আছে ঐতিহাসিক এক ঘটনা।আর এই ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমেরিকান ২৬তম প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্টের নাম। যিনি ‘টেডি’ নামে বেশি জনপ্রিয় ছিলেন।
 

ঘটনার সূত্রপাত হয় ১৯০২ সালের নভেম্বরে। সে সময় মিসিসিপি-এর গভর্নর এর ডাকে মিসিসিপি-এর জঙ্গলে ভাল্লুক শিকার করতে যান থিওডোর রুজভেল্ট। একটি ভাল্লুক শিকারের জন্য সারাদিন চেষ্টা করেন।তার সঙ্গে থাকা  অন্য শিকারিরা সকলেই অন্তত একটি করে ভাল্লুক শিকার করতে সমর্থ হন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ব্যর্থ হন। দিন শেষে
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে থাকা সরকারি কর্মকর্তারা একটি বাচ্চা কালো আমেরিকান ভাল্লুককে ধরে নিয়ে আসেন এবং প্রেসিডেন্টকে বলেন সেটিকে হত্যা করতে। 

বাচ্চা ভাল্লুকটাকে গুলি করতে চাননি প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্ট। সেই সময়ে শিকার নিয়ে বিশ্বে এতো কড়া আইন ছিল না। সামাজিকভাবেও শিকার ছিল বীরত্ব প্রদর্শনের খেলা। কিন্তু প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্টের এই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি পুরো সমাজকে নাড়া দেয়। পরের দিন গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশ পায় রুজভেল্টের মানবিকতার কাহিনী। প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্টের এই কাহিনী কার্টুন হিসেবে গোটা আমেরিকায় ছড়িয়ে পরে।
 
ওই কার্টুন দেখে আমেরিকার খেলনা কোম্পানি ‘আইডিয়াল নভেলটি অ্যান্ড টয় কোম্পানি’-এর মালিক মরিস মিকটম ও তার স্ত্রী  প্রথম তৈরি করেন খেলনা টেডি বিয়ার।

এরপরে আদুরে এই পুতুলটি শুধু উপহার হিসেবে ব্যবহার হয়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ‘টেডি বিয়ার মিউজিয়াম গড়ে উঠেছে। টেডি বিয়ার নিয়ে তৈরি হয়েছে অনেক বই এবং চলচ্চিত্র।

পুতুল টেডি বিয়ারের চেহারায় প্রাথমিক সময়ের থেকে অনেক বদল হয়েছে। ভিন্নতা এসেছে এর আকারে এবং রঙে। তবুও একশ বছরের অধিক সময় ধরে ভালোবাসার অনন্য প্রতীক হয়ে উঠেছে টেডি বিয়ার।

শিশুদের কাছে টেডি বিয়ার খেলনার উপকরণ আর প্রেমিকাদের কাছে ভালোবাসার প্রতীক।

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম র ক উপহ র

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ শুরু 

কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ। মহান মে দিবস উপলক্ষে ঢাকার নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত এ সমাবেশে হাজার হাজার নেতকর্মী উপস্থিত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কারী গোলাম মোস্তফার কোরআন তেলাওয়াত শুরু করেন।

এর আগে দুপুর ১২টা থেকে সমাবেশ মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন। 

দুপুর আড়াইটায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে ঢাকা মহানগরী ও আশপাশের জেলা থেকে দলে দলে নেতাকর্মীরা যোগ দেন সমাবেশে।

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত আছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা। সমাবেশে শ্রমিক দলের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হবে ১২ দফা দাবি। 

সমাবেশ স্থলে দেখা যায়, নেতাকর্মীরা ব্যানার, মাথায় নানা রঙের ক্যাপ, দলীয় টি-শার্ট পরে নয়পল্টনে আসছেন। জায়গায় জায়গায় চলছে স্লোগান, দলীয় সংগীত আর ঢাক-ঢোলের বাদ্য।

সমাবেশস্থলে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি উপস্থিত রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আহ্বায়ক হেলাল খান, সদস্যসচিব জাকির হোসেন রোকন প্রমুখ।

এদিকে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সমাবেশস্থলে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। জিরো পয়েন্ট থেকে পল্টনমুখী সড়ক সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা রাখা হয়েছে।

টানা চার মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রথম এতো বড় সমাবেশ করছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।

এর আগে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট প্রথম বাধাহীন সমাবেশ করে বিএনপি। এতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। পুরো এলাকায় ছিল উচ্ছ্বল নেতাকর্মীদের ভিড়।

ঢাকা/এএএম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ