এভারটনের বিপক্ষে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে ২-২ ড্র করে লিভারপুল। ম্যাচের পর দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ও হাতাহাতি ছড়িয়ে পড়ে ডাগআউটেও। এই বিশৃঙ্খলার মধ্যেই রেফারির সঙ্গে অসদাচরণ করায় লিভারপুল কোচ আর্নে স্লট লাল কার্ড দেখেন।

ম্যাচ শেষে এভারটনের আব্দুলায়ে ডোকুর উসকানিমূলক উদযাপন ঘটনার সূত্রপাত করে। রেফারি মাইকেল অলিভার এরপর চারজনকে লাল কার্ড দেন—লিভারপুলের কুর্টিস জোন্স, কোচ আর্নে স্লট, সহকারী কোচ সিপকে হালশঅফ এবং এভারটনের ডোকুরকে।

স্লটের লাল কার্ডের কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, রেফারির সঙ্গে হাত মেলানোর সময় তিনি আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করেছিলেন। লাল কার্ড দেখার পর তিনি কোনো গণমাধ্যমে কথা বলেননি এবং পোস্ট ম্যাচ সংবাদ সম্মেলনেও উপস্থিত হননি।

এই শাস্তির ফলে স্লটকে দুই ম্যাচের জন্য ডাগআউটে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এতে আগামী রোববার উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে ম্যাচে তিনি দলের সঙ্গে থাকতে পারবেন না।

প্রিমিয়ার লিগের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'মার্সিসাইড ডার্বি শেষে আপত্তিকর, অবমাননাকর ও অশালীন ভাষা ব্যবহারের কারণে লিভারপুলের প্রধান কোচ আর্নে স্লটকে লাল কার্ড দেখানো হয়। এ কারণে তাকে দুই ম্যাচের টাচলাইন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।'

সহকারী কোচ হালশঅফও নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন, ফলে উলভস ও ভিলার বিপক্ষে লিভারপুলের ডাগআউটে দেখা যেতে পারে আরেক সহকারী কোচ জন হেইটিঙ্গাকে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ শুরু 

কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ। মহান মে দিবস উপলক্ষে ঢাকার নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত এ সমাবেশে হাজার হাজার নেতকর্মী উপস্থিত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কারী গোলাম মোস্তফার কোরআন তেলাওয়াত শুরু করেন।

এর আগে দুপুর ১২টা থেকে সমাবেশ মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন। 

দুপুর আড়াইটায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে ঢাকা মহানগরী ও আশপাশের জেলা থেকে দলে দলে নেতাকর্মীরা যোগ দেন সমাবেশে।

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত আছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা। সমাবেশে শ্রমিক দলের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হবে ১২ দফা দাবি। 

সমাবেশ স্থলে দেখা যায়, নেতাকর্মীরা ব্যানার, মাথায় নানা রঙের ক্যাপ, দলীয় টি-শার্ট পরে নয়পল্টনে আসছেন। জায়গায় জায়গায় চলছে স্লোগান, দলীয় সংগীত আর ঢাক-ঢোলের বাদ্য।

সমাবেশস্থলে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি উপস্থিত রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আহ্বায়ক হেলাল খান, সদস্যসচিব জাকির হোসেন রোকন প্রমুখ।

এদিকে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সমাবেশস্থলে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। জিরো পয়েন্ট থেকে পল্টনমুখী সড়ক সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা রাখা হয়েছে।

টানা চার মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রথম এতো বড় সমাবেশ করছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।

এর আগে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট প্রথম বাধাহীন সমাবেশ করে বিএনপি। এতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। পুরো এলাকায় ছিল উচ্ছ্বল নেতাকর্মীদের ভিড়।

ঢাকা/এএএম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ