ইসরায়েলের বক্তব্যের সময় বাংলাদেশও ওয়াক-আউট করেছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
Published: 21st, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
মরক্কোতে মন্ত্রী পর্যায়ের চতুর্থ বিশ্ব সড়ক নিরাপত্তা সম্মেলনে ইসরায়েলি প্রতিনিধি দলের বক্তব্যের সময় বাংলাদেশও ওয়াক-আউট করেছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মরক্কোর মারাকেশে অনুষ্ঠিত চতুর্থ গ্লোবাল মিনিস্টেরিয়াল কনফারেন্স অন রোড সেফটিতে ইসরায়েলি প্রতিনিধি দলের বক্তব্যের সময় বেশ কিছু দেশের প্রতিনিধি তাৎক্ষণিক ওয়াক-আউট করে। কিন্তু এটিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছে কিছু মহল। কারণ, বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলও ওয়াক-আউটকারী দেশগুলোর মধ্যে ছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিন সংকট, ইসরায়েলের গণহত্যা ও ফিলিস্তিনিদের ওপর দমন-পীড়নের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান সুপরিচিত। সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে যে, এই নির্দিষ্ট পরিস্থিতি সম্পর্কে ভুল তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মরক্কোতে ওই সম্মেলনে ইসরায়েলের প্রতিনিধি মিরি রেগেভ ভাষণ দেওয়া শুরু করলে এর প্রতিবাদে অনেক দেশের প্রতিনিধিরা ওয়াকআউট করেন। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বাংলাদেশ ওয়াক-আউট না করে ইসরায়েলি প্রতিনিধির বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন বলে প্রচার করা হয়।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা
আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’
স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’
আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।