সাভারে ব্যাটারি তৈরির কারখানায় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র বিস্ফোরণে দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার ভোর রাতে বিরুলিয়া ইউনিয়নের খাগান এলাকার রহিম আফরোজ কারখানার ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন- নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার গোপীনাথপুর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে ওলিউর রহমান (৫০) ও ভোলা সদরের থানার পশ্চিম চরখালি গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে ফয়েজ উদ্দিন (৪৫)।

তারা দুইজনই রহিম আফরোজ কারখানার দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করতেন।

নিহত ফয়েজ উদ্দিনের ভাই মনির হোসেন বলেন, রহিম আফরোজ কারখানার জন্য অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র কিনে আনে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার ভোর রাতে সেসব অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের একটি পিকআপ থেকে নামানোর সময় একটি বিস্ফোরণ হয়। এসময় ফয়েজ ও ওলিউর রহমান মারাত্মকভাবে আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

পরে তাদের উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেলে পাঠানো হলে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ ব্যাপারে রহিম আফরোজ কারখানা কর্তৃপক্ষের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) জুয়েল মিয়া বলেন, ভোরে ওই কারখানায় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র বিস্ফোরণে দুই জন মারা যান। বিষয়টির তদন্ত চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ঝগড়া থেকে দেয়ালে মাথা ঠোকা, সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আনলেন প্রতিবেশী

বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত প্রেম-বিচ্ছেদের একটি হলো ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের সম্পর্ক। প্রেমের সূচনা হয়েছিল পর্দার আড়ালেই, কিন্তু আলোচনায় আসে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির মাধ্যমে। ছবির রোমান্স যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল। অথচ সেই রূপকথার প্রেমই কিছুদিনের মধ্যে রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, কর্মজীবনেও কঠিন আঘাত সহ্য করতে হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে।

প্রতিবেশীর চোখে সেই সময়
বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি প্রহ্লাদ কাক্কর ছিলেন ঐশ্বরিয়ার ঘনিষ্ঠজন। ঐশ্বরিয়ার মায়ের একই ভবনে থাকতেন তিনি। সম্পর্কের শুরুর দিক থেকে ক্যারিয়ারের উত্থান—সবকিছু কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাঁর মতে, সালমান ছিলেন ভীষণ আক্রমণাত্মক। ঐশ্বরিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইতেন। প্রহ্লাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সালমান খুবই আক্রমণাত্মক ছিলেন। আমি একই ভবনে থাকতাম, সবকিছু শুনতাম-দেখতাম। ঝগড়া, চিৎকার, এমনকি দেয়ালে মাথা ঠোকা…এগুলো নিয়মিত ছিল। সম্পর্ক আসলে অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল, শুধু ঘোষণাটা পরে এসেছে। বিচ্ছেদটা সবার মধ্যে স্বস্তি এনেছিল—ঐশ্বরিয়ার, তাঁর বাবা-মায়ের, এমনকি সালমানেরও।’

ঐশ্বরিয়া ও সালমান খান

সম্পর্কিত নিবন্ধ