খুলনার আলোচিত যুব মহিলা লীগ নেত্রী ফাতেমা আফরোজ রিক্তাকে গ্রেপ্তার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাকে নগরীর খালিশপুর হাউজিং এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

তিনি খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি। 

নগর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি তৈমুর আলম জানান, ফাতেমা আফরোজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল। এসব নিয়ে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে খুলনা সদর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। 

ফাতেমা খালিশপুরের বাসিন্দা মো.

মুজিবর রহমান শেখের মেয়ে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ য বল গ

এছাড়াও পড়ুন:

মাদরাসা ছাত্র ইয়াসিনকে হত্যা করেছে আ.লীগের দোসররা: বিএনপি

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে মাদরাসা ছাত্র ইয়াসিন হত্যার বিচার চেয়েছে উপজেলা বিএনপি। তাদের দাবি, ছাত্রদলের নাম ভাঙিয়ে রাজনীতিতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দোসররা তাকে হত্যা করেছে।

সোমবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় ভেদরগঞ্জ উপজেলা চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে এমনটি জানান উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান তালুকদার রতন। 

তিনি বলেন, “ইয়াসিন আহমেদ ফারদিন কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মী ছিল না। সে মাদরাসার ছাত্র ছিল। তাকে পরিকল্পিতভাবে ছাত্রদলের নাম ভাঙিয়ে আওয়ামী লীগের দোসররা হত্যা করেছে। এটা ছিল রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও আধিপত্য বিস্তারের ধারাবাহিকতা।” 

আরো পড়ুন:

লঞ্চের ডেকে টাকা তুলছিলেন বিএনপির কর্মী, যাত্রীদের পিটুনি

‘দুর্বল যারা, তারাই পুলিশের ওপর সওয়ার হয়’

তিনি বলেন, “আমরা এই নির্মম হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।”

বিএনপির এই নেতা বলেন, “হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের পরিচয় স্থানীয়রা জানেন। আওয়ামী লীগের দোসররা তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। একটি পক্ষ এই ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের আড়াল করতে বিএনপিকে জড়িয়ে মিথ্যাচার করছে। আমরা চাই, প্রশাসন তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করুক।” 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবুল হাশেম ঢালী, মো. আসলাম হোসেন মাঝী, বি.এম মোস্তাফিজুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা হানিফ মাহমুদ ছৈয়াল, আখতার হোসেন রাড়ী, মো. দুলাল সরদার, আনিসুর রহমান স্বপন সরদার, ভেদরগঞ্জ পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সেকান্দার তালুকদার, মিন্টু বেপারি, আলম চৌকিদার, সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক বেপারি।

স্থানীয় সূত্রে জানায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত ৬ জুন (বৃহস্পতিবার) রাতে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায ইয়াসিনসহ অন্তত ১০ জন গুরুত্বর আহত হন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ইয়াসিনকে প্রথমে শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল ও পরে ঢাকায় নেওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকার অরোরা স্পেলাইজড হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার (১৩ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

রবিবার (১৫ জুন) সকালে জানাজা শেষে ইয়াসিনকে ভেদরগঞ্জ পৌরসভার গৈড্যায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

ঢাকা/সাইফুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ