‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার প্রায় দুই বছর পর বড়পর্দায় ফিরছেন আফরান নিশো। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে তাঁর আসন্ন সিনেমা ‘দাগি’র শুটিং। প্রায় ২ মাস ৫ দিন পর ক্যামেরা ক্লোজ হলো ‘দাগি’র।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে পরিচালক শিহাব শাহীন ১২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘ইটস র্যা প আপ’। হ্যাশট্যাগে লিখেছেন ‘দাগি’।
ভিডিওতে দেখা যায়, শুটিং শেষ হওয়ার খুশিতে নির্মাতাসহ বাকি কলাকুশলীরা দারুণ উচ্ছ্বসিত। সবাই একসঙ্গে হাত উঁচু করে, ‘ভি’ চিহ্ন দেখিয়ে সমস্বরে বলে ওঠেন, ‘র্যা প আপ’! এর পর সে সময় ভিডিওতে আফরান নিশো মজা করে বলেন, ‘সকল মুখের ঝগড়ার সমাপ্তি। এখন থেকে হাতাহাতি হবে!’
এর আগে গেল বছরের ডিসেম্বরে সৈয়দপুরে ‘দাগি’ সিনেমার শুটিং শুরু হয়। এর পর পঞ্চগড়, রাজশাহী, বরিশাল, মানিকগঞ্জ, ঢাকায় সিনেমাটির শুটিং হয়। ‘দাগি’ যৌথভাবে প্রযোজনা করছে এসভিএফ আলফা আই এনটারটেইনমেন্ট ও চরকি।
সিনেমাটিতে আফরান নিশো ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন তমা মির্জা, সুনেরাহ বিনতে কামাল, মনোজ প্রামাণিক, শহিদুজ্জামান সেলিম, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ।
আসছে ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আফর ন ন শ
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫